কার্টেসিঃ মোহাম্মদ কামারুজ্জামান, সাংবাদিক, লামা, বান্দরবান পার্বত্য জেলা।
************************************
লামা উপজেলার দূর্গম ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের গয়ালমারা এলাকায় সন্ত্রাসী-চাঁদাবাজদের কবল থেকে রক্ষায় সেনাক্যাম্প স্থাপনের দাবী জানিয়েছে রাবার বাগান মালিক ও স্থানীয় গ্রামবাসীরা। মঙ্গলবার দুপুরে শতাধিক ভুক্তভোগি লোকজন মনববন্ধনোত্তর লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার-এর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারক লিপি দিয়েছেন।
স্মারক লিপিতে উল্লেখ করা হয়, লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের সর্বদক্ষিণে ১ নং ওয়ার্ড গয়ালমারা এলাকাটি দীর্ঘদিন ধরে সন্ত্রাসদ্বারা আক্রান্ত। সাম্প্রতিক সময়ে একদল সশস্ত্র পাহাড়ি সন্ত্রাসী এলাকায় চাঁদাবাজি, অপহরণ, খুন, নারী ধর্ষন করে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। সন্ত্রাসী চক্রটি রাবার মালিকদের কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে মোটাংকের চাঁদা দাবী করে আসছে। তাঁদেরকে চাঁদা না দিলে প্রাণ নাশসহ এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করছে বাগান মালিকসহ স্থানীয়দেরকে।
গত তিন মাস আগে গয়ালমারা গ্রামে এক তরুনীকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে গিয়ে পালাক্রমে ধর্ষন করেছিল সন্ত্রাসীরা। এর ফলে এলাকাবাসী আতংকিত হয়ে পড়ে এবং চরম উৎকন্ঠায় দিন কাটাচ্ছেন।
স্মারক লিপিতে আরো উল্লেখ করা হয়;‘ সন্ত্রাসীদের ভয়ে গ্রামবাসী ও বাগান মালিকের প্রতিনিধিরা নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন। ইতোমধ্যে অনেকেই ইজ্জত ও প্রাণের ভয়ে এলাকা ছেড়ে চলেগেছে।
এ অবস্থা হয়তো আর কিছুদিন বিরাজ করলে সেই এলাকাটি মানুষের বসবাস উপযোগিতা হারাবে। সন্ত্রাসীদের আগ্রাসনের ফলে গয়ালমারা এলাকায় শত একর বাগানে রাবার কস উৎপাদন ব্যহত হচ্ছে। অতিষ্ট হয়ে অনেক বাগান মালিক চলেগেছেন এবং অনেকে উৎপাদন কার্যক্রম গুটিয়ে নেয়ার মনস্থির করেছেন বলে জানাযায়।
জানাগেছে, এলাকাটি লামা উপজেলার সর্বদক্ষিনে নাইক্ষ্যংছড়ির কাছা-কাছি হওয়ায় দূর্গম যোগাযোগ হেতু পুলিশিং সেবা কষ্টসাধ্য। সাম্প্রতিক সময়ে এসব অস্থিরতার কারণে বাগান কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ায়, কয়েক হাজার রাবার শ্রমিক বেকার হয়ে পড়ার উপক্রম দেখা দিয়েছে। এছাড়া বাগান মালিকরা অর্থনৈতিক ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার পাশা পাশি বৈদেশিক মুদ্রার্জনে এ বিষয়টি অন্তরায় হয়ে দাড়িয়েছে। এ বাস্তবতায় ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড গয়ালমারা এলাকায় সেনাবাহিনীর একটি অস্থায়ী ক্যাম্প স্থাপনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামণা করেছেন বাগান মালিকসহ স্থানীয়রা।