Check PAGE RANK of Website pages Instantly

Check Page Rank of your Web site pages instantly:

This page rank checking tool is powered by PRChecker.info service

Saturday, December 23, 2017

অখন্ড লামা রক্ষার দাবীতে উত্তপ্ত হচ্ছে লামার রাজপথ

কার্টেসিঃ মোহাম্মদ কামারুজ্জামান, সাংবাদিকলামাবান্দরবান পার্বত্য জেলা।
************************************
লামা উপজেলার অন্তর্গত আজিজ নগর, সরই, গজালিয়া এবং ফাইতং ইউনিয়নকে বিভক্ত করে ‘সরই’ নামক একটি পৃথক উপজেলা করার প্রতিবাদে আন্দোলনে নেমেছে লামা উপজেলার বিভিন্ন পেশাজীবি সংগঠন। নবীন-প্রবীন প্রজম্মের সমন্বয়ে গঠিত এসব সংগঠনের নেতৃবৃন্দদের দাবী; একটি রাজনৈতিক সংগঠনের বর্ধিত সভার উপস্থিতির স্বাক্ষরকে তাদের অজান্তে মনগড়া আবেদনকারী দেখিয়ে ‘সরই’ নামক পৃথক একটি উপজেলা গঠনের পায়তারা করছে কর্তৃপক্ষ। এর প্রতিবাদে এবং এ লক্ষ্যে লামা উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক ২৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য গণশুনানী বন্ধ করার দাবীতে শনিবার থেকে বৃহস্পতিবার ৬দিন ব্যাপি কর্মর্সূচী ঘোষণা করেছে লামা উপজেলার বিভিন্ন সংগঠন। 
আন্দোলনকারীদের অভিযোগে প্রকাশ, বিগত ২০ জানুয়ারি/২০১৭ তারিখে অনুষ্ঠিত রাজনৈতিক কর্মি সভায় উপস্থিতি স্বাক্ষর যুক্ত করে কে বা কারা ‘জনস্বার্থে লামা উপজেলার ‘সরই ইউনিয়ন’কে প্রশাসনিক কাঠামো হিসেবে উপজেলায় রুপান্তর করার’ মিথ্যা মনগড়া আবেদন করেন। উক্ত আবেদনপত্রে আবেদনকারী হিসেবে দেখানো হয়; বিগত ২০/০১/ ২০১৭ তারিখে লামা বাজার জেলা পরিষদ গেষ্ট হাউজে অনুষ্ঠিত রাজনৈতিক কর্মি সভায় উপস্থিত রাজনৈতিক নেতা কর্মিদেরকে। দাখিলকৃত ওই আবেদনটি তারা করেননি এবং এ বিষয়ে মোটেও অবগত নয় স্থানীয়রা। কিন্তু স্বার্থান্বেষী একটি মহল নিজেদের উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য জনস্বার্থকে জলাঞ্জলি দিয়ে মনগড়াভাবে জেলা প্রশাসক এর নিকট বান্দরবান পার্বত্য জেলার অন্তর্গত আজিজনগর, সরই, গজালিয়া এবং ফাইতং ইউনিয়নকে বিভক্ত করে ‘সরই’ নামক পৃথক একটি উপজেলা গঠনের লক্ষ্যে; এলাকাবাসীর বরাত দিয়ে একটি মিথ্যা আবেদন করা হয়েছে বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার, লামা বান্দরবান পার্বত্য জেলার কার্যালয়ের স্মারক নং- ০৫.৪২.০৩৫১.৩০৫.০.৮.০০২.২০১৭-১১১৫, তারিখ : ১৪/১২/২০১৭ খ্রী: মূলে জানাযায়, উক্ত মনগড়া আবেদনের ফলে, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় প্রস্তাব প্রেরণের লক্ষ্যে জনমত জরিপের নিমিত্ত ২৮/১২/২০১৭ তারিখ বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টায় সরই ইউনিয়ন পরিষদ চত্ত্বরে সর্বস্তরের লোকজনের উপস্থিতিতে এক মতবিনিময় সভা গণশুনানী অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিবাদকারীরা জানান, মিথ্যা আবেদনের প্রেক্ষিতে সরকারের গৃহীত সিদ্ধান্তের ফলে এই গণশুনানীকে কেন্দ্র করে বর্তমানে এলাকায় চরম বিভ্রান্তিকর ও হতাশা ব্যাঞ্জক, প্রতিবাদমূখর  পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে।
একটি স্বার্থান্বেষী মহল জনস্বার্থ বিরোধী, পূঁজিবাদ মহলের আবেদন যাচাই বাছাই না করে কর্তৃপক্ষ উক্ত মনগড়া ৭ পাতার আবেদনটি আমলে নিয়ে লামা উপজেলাকে দ্বি-খন্ডিত করণের ষড়যন্ত্র করছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। রাজনৈতিক কর্মি সভায় উপস্থিতি স্বাক্ষর ব্যবহার করে মিথ্যা আবেদনের প্রতিবাদ ও লামা উপজেলাকে দ্বি-খন্ডিত করার ষড়যন্ত্র উল্লেখ করে মনগড়া আবেদনটি প্রত্যাহার করার প্রার্থণা করে জেলা প্রশাসক এর নিকট অভিযোগ দাখিল করেছেন স্থানীয়রা।
অপরদিকে সরইকে পৃথক উপজেলা করণের কার্যক্রম বন্ধসহ লামাকে জেলা ও অখন্ড লামার ঐতিহ্য রক্ষায় বিভিন্ন কর্মসূচী ঘোষণা করেছেন উপজেলাবাসী। ঘোষিত কর্মসূচীর মধ্যে রয়েছে, ২২ ডিসেম্বর সন্ধায় লামা প্রেসক্লাবে নেতৃবৃন্দদের বৈঠক। ২৩ ডিসেম্বর বিকাল থেকে জনসচেতনতা মূলক প্রচারণার অংশ হিসেবে মাইকিং, ২৪ ডিসেম্বর মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান, ২৫ ডিসেম্বর আলোচনা সভা, ২৬ ডিসেম্বর শীর্ষস্থানীয়দের সাথে সাক্ষাত ও আলোচনা, ২৭ ডিসেম্বর অর্ধদিবস হরতাল ও ২৮ ডিসেম্বর পূর্ন দিবস হরতাল কর্মসূচী পালিত হবে।
দলমত ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে অখন্ড লামা চাই, সাবেক মহকুমা লামাকে জেলা কর করতে হবে, চট্টগ্রামের লোহাগাড়া-সাতকানিয়া নিয়ন্ত্রিত সরইকে পৃথক উপজেলা ঘোষণা বন্ধ কর করতে হবে; ইত্যাদি স্লোগানে লামা উপজেলার রাজপথ সরগম হয়ে উঠেছে। প্রতি মিনিটেই অখন্ড লামা রক্ষা আন্দোলনে যুক্ত হচ্ছে নবীন প্রবীন প্রজম্মের শত শত মানুষ।
এ বাস্তবতায় সরইকে উপজেলা ঘোষণার সিদ্ধান্ত বাতিল পূর্বক পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীরবাহাদুর এমপি’র হস্তক্ষেপ কামণা করেছেন লামা উপজেহলার সচেতন সমাজ।