![]() |
“অগ্রযাত্রার ৩০ বছর” এর প্রথম ডিজিটাল ব্যানার উদ্বোধন |
১৮
মার্চ লামা মাতামুহুরী ডিগ্রি কলেজ “অগ্রযাত্রার ত্রিশ বছর” পালিত হচ্ছে। এ
উপলক্ষ্যে এক জমকালো অনুষ্টানের আয়োজন করছেন কর্তৃপক্ষ। সফলতার তিন দশক অতিক্রম
করে আলোকিত মানুষ তৈরির এই প্রতিষ্ঠানটি। পুরো আয়োজনটিকে সুন্দর ও সাফল্য মন্ডিত
করতে কলেজের প্রতিষ্ঠা থেকে অদ্যবধি সকল সহযোগিতাদানকারী প্রতিষ্ঠান, সামরিক,
অ-সামরিক, বেসামরিক ব্যক্তি, অভিভাবক ও সাবেক বর্তমান সকল ছাত্র/ছাত্রীদেরকে
আমন্ত্রণ জানিয়েছেন আয়োজক কমিটি। এ লক্ষে ২৭(সোমবার) ফেব্রুয়ারি আয়োজক কমিটির
উদ্যাগে বিভিন্ন উপ-কমিটির সদস্যদের নিয়ে পরামর্শ ও প্রস্তুতী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অধ্যক্ষ মো: রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে কলেজের হলরুমে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি
ছিলেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইসমাইল। বিশেষ অতিথির মধ্যে
ছিলেন, লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার খিনওয়ান নু, সহকারী পুলিশ সুপার লামা সার্কেল,
মো: জহিরুল ইসলাম মেয়র লামা পৌরসভা, মোস্তফা জামাল সদস্য জেলা পরিষদ। এছাড়া লামা ও
আলীকদম উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদ্বয়সহ সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
![]() |
১৮.০২.২০১৭ ইং তারিখে অনুষ্ঠিতব্য উৎসবের প্রাক্তন ছাত্র ছাত্রীদের নিবন্ধন ফরম। |
প্রাক্তন ছাত্র ছাত্রীদের নিবন্ধন সংক্রান্ত তথ্যাবলী পূরণ করতে এই লিংক এ ক্লিক করুন:
অনুষ্ঠান সূত্রে প্রকাশ কলেজের ৩০ বছর পূর্তি উলক্ষ্যে ১৮ মার্চ এক মিলন মেলা- “শৈল দ্যুতি” স্বরনিকা প্রকাশ, প্রিতিভোজ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সম্মাননা প্রদানসহ বর্ণাঢ্য আয়োজনের প্রস্তুতী নিচ্ছেন। প্রতিষ্ঠা কাল থেকে এপর্যন্ত যেসব সামরিক- বেসামরিক কর্মকর্তা, প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি উদ্যাক্তারা কলেজের সারথী হিসেবে রয়েছেন তারা সবাই আমন্ত্রিত হবেন। ওই দিন প্রধান অতিথি ও কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশেসিং এমপি অনুষ্ঠান মালায় উপস্থিত থেকে ৩৬ সীটের একটি কলেজ বাস হস্তান্তর করবেন বলে বৈঠক সূত্রে জানাগেছে।
১৯৮৪ সালে লামা-আলীকদমবাসী শিক্ষাক্ষেত্রে অনগ্রসর এ দু’উপজেলায় একটি কলেজ প্রতিষ্ঠার দাবী তুলেন। ১৯৮৬ ইং সালে সাবেক লামা উপজেলা চেয়ারম্যান আলী মিয়ার উদ্যোগে ‘হাজী আলী মিয়া কলেজ’ নামে প্রতিষ্ঠানটির গোড়াপত্তন হয়। তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদ উল্যা, আব্দুল মালেক চৌধুরী, বাবু ম্রাথোয়াই অং চৌধুরী, বদরুদ্দোজা চৌধুরী, লামা সরকারী বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক সাজেদুল ইসলাম চৌধুরী, (সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান, আলীকদম) আবু জাফরসহ এলাকার কতিপয় গুণী জনের উদ্যোগে কলেজটি প্রতিষ্ঠা লাভ করে। লামা উপজেলার সাবেক প্রশাসনিক এলাকা টি,টি এন্ড ডি, সি'তে আলী মিয়া কর্তৃক দানকৃত ৩.০০ একর ভূমিতে বিগত ১৫ নভেম্বর ১৯৮৬ ইং সালে সাবেক অধ্যক্ষ মরহুম আশ্রাফুল ইসলাম চৌধুরীসহ ৯ জন শিক্ষক/অধ্যাপক ও ২ জন কর্মচারী নিয়ে কলেজের প্রশাসনিক ও শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়। কিছুদিন অতিবাহিত হওয়ার পর নামকরণ নিয়ে বিতর্কের সুত্রপাত হয়। ইত্যবসরে ৩০ সেপ্টেম্বর/১৯৮৭ সালে কলেজটি লাইন ঝিরিতে স্থানান্তর হয়।
অনুষ্ঠান সূত্রে প্রকাশ কলেজের ৩০ বছর পূর্তি উলক্ষ্যে ১৮ মার্চ এক মিলন মেলা- “শৈল দ্যুতি” স্বরনিকা প্রকাশ, প্রিতিভোজ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সম্মাননা প্রদানসহ বর্ণাঢ্য আয়োজনের প্রস্তুতী নিচ্ছেন। প্রতিষ্ঠা কাল থেকে এপর্যন্ত যেসব সামরিক- বেসামরিক কর্মকর্তা, প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি উদ্যাক্তারা কলেজের সারথী হিসেবে রয়েছেন তারা সবাই আমন্ত্রিত হবেন। ওই দিন প্রধান অতিথি ও কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশেসিং এমপি অনুষ্ঠান মালায় উপস্থিত থেকে ৩৬ সীটের একটি কলেজ বাস হস্তান্তর করবেন বলে বৈঠক সূত্রে জানাগেছে।
১৯৮৪ সালে লামা-আলীকদমবাসী শিক্ষাক্ষেত্রে অনগ্রসর এ দু’উপজেলায় একটি কলেজ প্রতিষ্ঠার দাবী তুলেন। ১৯৮৬ ইং সালে সাবেক লামা উপজেলা চেয়ারম্যান আলী মিয়ার উদ্যোগে ‘হাজী আলী মিয়া কলেজ’ নামে প্রতিষ্ঠানটির গোড়াপত্তন হয়। তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদ উল্যা, আব্দুল মালেক চৌধুরী, বাবু ম্রাথোয়াই অং চৌধুরী, বদরুদ্দোজা চৌধুরী, লামা সরকারী বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক সাজেদুল ইসলাম চৌধুরী, (সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান, আলীকদম) আবু জাফরসহ এলাকার কতিপয় গুণী জনের উদ্যোগে কলেজটি প্রতিষ্ঠা লাভ করে। লামা উপজেলার সাবেক প্রশাসনিক এলাকা টি,টি এন্ড ডি, সি'তে আলী মিয়া কর্তৃক দানকৃত ৩.০০ একর ভূমিতে বিগত ১৫ নভেম্বর ১৯৮৬ ইং সালে সাবেক অধ্যক্ষ মরহুম আশ্রাফুল ইসলাম চৌধুরীসহ ৯ জন শিক্ষক/অধ্যাপক ও ২ জন কর্মচারী নিয়ে কলেজের প্রশাসনিক ও শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়। কিছুদিন অতিবাহিত হওয়ার পর নামকরণ নিয়ে বিতর্কের সুত্রপাত হয়। ইত্যবসরে ৩০ সেপ্টেম্বর/১৯৮৭ সালে কলেজটি লাইন ঝিরিতে স্থানান্তর হয়।
কলেজটির
প্রাথমিক সংকট উত্তোরণে উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি সে সময় অবদান রাখেন তৎকালীন আলীকদম
জোন কমান্ডার ৩য় ইষ্ট বেঙ্গল রেজি: এর অধিনায়ক মোঃ শাহাজান মিয়া ও লামা সাব জোন
কমান্ডার মেজর এস, এম গোলাম রব্বানী। লে: কর্ণেল শাহাজান মিয়া লামা-আলীকদম উপজেলার
বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ, শিক্ষাবিদ প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের নিয়ে উপজেলা সম্মেলন কক্ষে
গণসংযোগ করে মতবিনিময় সভায় মিলিত হন। সভায় দীর্ঘ আলোচনার পর কলেজটির নাম পরিবর্তন
করে ‘‘মাতামুহুরী কলেজ” নামকরণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
![]() |
“অগ্রযাত্রার ৩০ বছর” এর পূস্তুতি সভা |
বিগত ২২ নভেম্বর ১৯৮৭ সালে লে: কর্ণেল শাহাজান মিয়ার সহযোগীতায় বর্তমান স্থানে ৬.০০ একর পাহাড়ের ঢালুতে কলেজটি স্থায়ীভাবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। ১৪ মার্চ ’৮৮ সালে তিনি লে: কর্ণেল শাহাজান মিয়া কলেজের উদ্ভোধন করেন। সেনা বাহিনীর সহযোগীতায় সে সময় কলেজের অর্থ সংকট নিরসন কল্পে একটি অর্থ যোগান কমিটি গঠিত হয়। ১লা জুলাই ’৮৭ ইং সালে ছাত্র/ছাত্রীর ভর্তির প্রশাসনিক অনুমোদন পেয়ে ২৭ অক্টোবর ’৮৭ ইং সালে ভর্তি শুরু করা হয়।
কলেজটিতে ভূমি দান করে অবদান রাখেন সাবেক লামা উপজেলা চেয়ারম্যান আলী মিয়া ও এডভোকেট মোজাম্মেল হক। আলী মিয়া কর্তৃক দানকৃত টি,টি এন্ড ডি,সি'তে ৩.৫০ একর জমি রয়েছে। এছাড়া লাইন ঝিরি এলাকায় কলেজের ১৯.৯২ একর জমি য়েছে। এর মধ্যে ৯.০০ একর জমি বেদখল থাকার কথা শুনা যাচ্ছে। কলেজটিতে ৩০ জন অধ্যাপক/শিক্ষক ও ১২ জন কর্মচারী রয়েছেন। কলেজের সর্বশেষ পাশের হার এইস.এস.সি ৬৫% ও ডিগ্রি পর্যায়ে ৯৬%।
![]() |
কলেজ শহীদ মিনার চত্বরে একত্রিত হয়ে “অগ্রযাত্রার ৩০ বছর” এর শুভ সূচনা |
লামা-আলীকদম-ফাঁসিয়াখালী
সড়ক থেকে উত্তরমূখী পৌর শহরের প্রধান প্রবেশদ্বার ধরে প্রায় দু’শ মিটার সামনে
ডানদিকে সৌরম্য পরিবেশে সবুজ বেষ্ঠিত পাহাড় প্রকৃতির কোলে অবস্থিত কলেজের বহুতল
ভবন। স্থানীয়দের অনবধ্য প্রচেষ্টায়, প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিানা ও পার্বত্য
চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশেসিং এমপি’র প্রতি এলাকাবাসী মাতামহুরী
ডিগ্রি কলেজ সরকারি করায়। সূতরাং শিক্ষাক্ষেত্রে পশ্চাৎপদ লামা-আলীকদম উপজেলার
দারিদ্রপীড়িত জনগোষ্ঠীর কাঙ্খিত স্বপ্ন পূর্ণ হয়েছে। ডিগ্রিতে উন্নিত এবং সরকারি
করণের ফলে মাতামুহুরী কলেজের লেখাপড়ার মানোন্নয়নসহ সার্বিক কর্মকান্ড স্বচ্ছতা
বিদ্যমান।
বিশেষ
কৃতজ্ঞতা: তথ্য ও ছবি: মো:কামারুজ্জামান ও মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা, বান্দরবান পার্বত্য জেলা।