
অবৈধ ইট ভাটা বন্ধ করার জন্য প্রশাসন বার বার অভিযান চালায় আর লাখ টাকাও জরিমানা করে দিয়ে যায় আর অনেক সময় টিনের চুংঙা ভেঙ্গে দিয়েও মাটিতে ফেলে দিয়ে আসে। কিন্তু তারপরেও কেন অবৈধ ইট ভাটার চিমনি তে আগুন জ্বলে?
শীতের বিদায়ে এ সময় আবহাওয়াও থাকে বেশ অনুকূলে। সবুজ শ্যামলা সে পাহাড় এখন জাম্বু হয়ে পরে আছে। রক্তে মাংসে গড়া মানুষ'রা এদের জাম্বু করে দিয়ে গেছে। ঝিড়ি-ঝর্ণা যাকে আমরা এক কথায় বলে থাকিই পানি পাওয়ার একমাত্র উৎস। সেখানেও হামলা চালিয়ে পকেট ভারী করছে মানুষ নামক এক শ্রেণী। যার ফলে পানি সংকট দেখা দিতে মনে হয় আর বেশি দিন লাগবে না!
পাহাড়ে গাছ নেড়া করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ব্রীক ফিল্ড, নয় তো বিষ বৃক্ষ তামাক পোড়ানো জন্য। ঝিড়ি-ঝর্ণা কে মুরুভূমি তে পরিণত করে আর প্রশাসন কে বুড়া আঙ্গুল দেখিয়ে অবৈধ ভাবে পাথর উত্তোলন করানো দৃশ্য মনে হয় পাহাড়ে মানুষদের কাছে নতুন কিছু না। পাহাড়ে গাছ কাঁটা আর পাথর উত্তোলনের ফলে কিছু মানুষের পকেট ভারী হচ্ছে কিন্তু বেশির ভাগ কষ্ট আর বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হতে হচ্ছে পাহাড়ে সে সকল মানুষদের যাদে ঘাম পাহাড়ে এক ফোঁটা না পরলে পেতে খাবার জোগাড় হয় না।

-অ-মুখ এলাকায় অবৈধ পাথর উত্তোলন, অবৈধ ভাবে চিউনি জ্বলছে এতটি ব্রীক ফিল্ড- এমন হেড লাইন যখন খবরে কাগজে বা টিভি চ্যানেলে সম্প্রচারিত হয় তখন কি প্রশাসনের ঘুম ভাঙ্গে?
-নিত্য দিনে প্রকৃতির উপর কেমন অত্যাচার চালানো হচ্ছে তা কি দেখতে পাচ্ছে না, না কি দেখার পরও না দেখার বান করে বসে আছে?

-গত মাস খানিক আগে অনলাইন আর জাতীয় কিছু পত্র পত্রিকায় গরম খবর ছাপানো ফলে বান্দরবান লামায় ফাইতং ইউনিয়নে অবৈধ ইট ভাটা মালিকদের জরিমানা করা হয়ে ছিলো। যেমন তা আজ ৫ ফেব্রুয়ারি করা হয়েছে। কিন্তু জরিমানা করার পরেও কেন সে সব অবৈধ ইট ভাটা গুলোর চিমনি তে আগুন জ্বলে- এ প্রশ্নের জব্বাব কে বা দেবে? না কি প্রশ্ন প্রশ্নের জায়গায় থেকেই যাবে।
- পারমিট বিহীন গাছ কাঁটা, অবৈধ পাথর উত্তোলন করা লাইসেন্স আর অবৈধ ইট ভাটা লাইসেন্স দেওয়া কি বন্ধ করা যায় না!
বিশেষ
কৃতজ্ঞতা: তথ্য ও ছবি: উথোয়াইমার্মা জয়, লামা, বান্দরবান পার্বত্য জেলা।