বান্দরবানরে লামা উপজেলার রুপসীপাড়া
ইউনিয়নের ব্ক্ষৈমঝিরি পাড়ার ১১ টি পূনর্বাসিত পরিবার উচ্ছেদ আতংকে দিন কাটাচ্ছেন।
১৯৯৭ সাল থেকে একের পর এক মিথ্যা মামলার শিকার হয়ে আসছেন সেখানকার দরিদ্র
বাসিন্দারা। সরকার কর্তৃক পূনর্বাসন কর্মসূচীর আওতায় ৮০’র দশকে বন্দোবস্ত পেয়ে
তাদের নিজস্ব জমিতে বসবাস করে আসলেও স্থানীয় প্রভাবশালী জামায়াত নেতা (তৎকালীন
বান্দরবান জেলা জামায়াতের আমির) কর্তৃক একই ভুমিতে রাবার লীজ বন্দোবস্তির কারনে ওই
সব পরিবার জমি হারানোর ভয়ে রয়েছেন।
জামায়াত নেতার নামে দোকর বন্দোবস্তি (লীজ প্লট) বাতিলের জন্য ৫ জানুয়ারি/১৭ ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের একজন বান্দরবান জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ করেন। সূত্রে জানাগেছে, ১৯৮১-৮২ সালে ভুমিহীন পরিবারদের পার্বত্যাঞ্চলে পূনর্বাসন কার্যক্রমের আওতায় এসব পরিবার লামা উপজেলার ২৯৪ নং দরদী মৌজার (১২ নং-সীট) বৈক্ষম ঝিরি গ্রামে বসবাস করছেন। এদিকে ১৯৯৪-৯৫ সালে বান্দরবান জেলা জামায়াতের আমির আমিনুল ইসলাম আজাদ, ইতোপূর্বে পুনর্বাসিত পরিবারদের অনুকুলে আর হোল্ডিং-এর আওতায় বন্দোবস্তকৃত জমির ট্রেসম্যাপ করে একই ভুমি রাবার লীজ প্লট হিসেবে বরাদ্দ পাওয়ার আবেদন করেন। লীজ মোকাদ্দমা নং ৫৬ (ডি) ৯৪-৯৫, তাং-২৩-৩-১৯৯৫, লামা, ২৯৪ নং দরদরী মৌজা প্লট নং-১০, দাগ নং-২৪৩৩,২৪১০,২৩৯২-এর ২৫ একর জমি পাওয়ার আবেদন করেন। ১২/১/১৯৯৭ তারিখে জেলা প্রশাসক কর্তৃক অনুমোদন দেন। প্রভাবশালী জামায়াত নেতা তৎসময়ে প্রশাসনকে সরে জমিন যাচাই না করে তৎসংক্রান্ত যাবতীয় মনগড়া রিপোর্ট করিয়ে নিজের অনুকুলে প্লটটি বরাদ্দ নেন। এর ফলে পূনর্বাসিত ১১ পরিবারের পাশাপাশি ওই গ্রামের একটি মসজিদ ও মাদ্রাসাও ভুমি হানাতে বসেছে।
জামায়াত নেতার নামে দোকর বন্দোবস্তি (লীজ প্লট) বাতিলের জন্য ৫ জানুয়ারি/১৭ ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের একজন বান্দরবান জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ করেন। সূত্রে জানাগেছে, ১৯৮১-৮২ সালে ভুমিহীন পরিবারদের পার্বত্যাঞ্চলে পূনর্বাসন কার্যক্রমের আওতায় এসব পরিবার লামা উপজেলার ২৯৪ নং দরদী মৌজার (১২ নং-সীট) বৈক্ষম ঝিরি গ্রামে বসবাস করছেন। এদিকে ১৯৯৪-৯৫ সালে বান্দরবান জেলা জামায়াতের আমির আমিনুল ইসলাম আজাদ, ইতোপূর্বে পুনর্বাসিত পরিবারদের অনুকুলে আর হোল্ডিং-এর আওতায় বন্দোবস্তকৃত জমির ট্রেসম্যাপ করে একই ভুমি রাবার লীজ প্লট হিসেবে বরাদ্দ পাওয়ার আবেদন করেন। লীজ মোকাদ্দমা নং ৫৬ (ডি) ৯৪-৯৫, তাং-২৩-৩-১৯৯৫, লামা, ২৯৪ নং দরদরী মৌজা প্লট নং-১০, দাগ নং-২৪৩৩,২৪১০,২৩৯২-এর ২৫ একর জমি পাওয়ার আবেদন করেন। ১২/১/১৯৯৭ তারিখে জেলা প্রশাসক কর্তৃক অনুমোদন দেন। প্রভাবশালী জামায়াত নেতা তৎসময়ে প্রশাসনকে সরে জমিন যাচাই না করে তৎসংক্রান্ত যাবতীয় মনগড়া রিপোর্ট করিয়ে নিজের অনুকুলে প্লটটি বরাদ্দ নেন। এর ফলে পূনর্বাসিত ১১ পরিবারের পাশাপাশি ওই গ্রামের একটি মসজিদ ও মাদ্রাসাও ভুমি হানাতে বসেছে।
সরকারের রার্বা লীজ প্লট বরাদ্দের শর্ত ক-২, খ-১৪, গ-১৮, ঘ-২২, ঙ-২৫, চ-২৭ নং ধারা ভঙ্গ করে, প্রস্তাবিত ভুমিতে রাবার সৃজনের উপযোগতিা না করে, কানুনগো-সার্ভেযার দ্বারা সরে জমিন না গিয়ে কাল্পনিক কাগজে রিপোর্ট দেখিয়ে কি ভাবে প্লট হস্তান্তর হয়? এমন প্রশ্ন সচেতন সমাজকে বিস্ময়ে হতবাক করে। এদিকে সরে জমিন যাচাই না করে লীজ বন্দোবস্তি দেয়ায়, ওই জায়গায় বসবাসরত পূনর্বাসিত পরিবারগুলো এ অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে থাকে। প্রতিবাদকারীদের কোনঠাসা করতে প্রভাবশালী জামায়াত নেতা ওইসব দরিদ্র পরিবারের সদস্যদের নামে মিথ্য মামলা দেয়া শুরু করেন। সি,আর মামলা নং-৮১/২০০০, সিরআর মামলা নং-২০/২০০১, সি আর মামলা নং-৬/২০০৪, মিস সি আর মামলা নং-১২/২০০২ ও লামা ইউএনও বরাবর-২০০৪ সালে আরেকটি অভিযোগ করেন। প্রভাবশালী এই জামায়াত নেতার একের পর এক মামলার হাজিরা ও অভিযোগের কারণ দর্শাতে আর্থিকভাবে মারাত্বক ক্ষতির শিকার হন ওইসব পরিবারগুলো। এদিকে ২০০৫ সালের ডিসেম্বর মাসে জামায়াত নেতা মা: আমিনুল হক আজাদ মৃত্যু বরণ করলে, একই ধারাবাহিকতায় তার স্ত্রী মমতাজ বেগম লামাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মিথ্যা মামলায় জড়াতে থাকেন পুনর্বাসিত পরিবারদেরকে। অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে, তার এক আত্মীয় দ্বারা সাতকানিয়া থানা মামলা নং- ৪/৩৯/০৬ তে এক জনকে আসামী করে প্রায় ১০ বছর মামলার ঘানি টানায়।
এদিকে মমতাজ বেগম তার মৃত স্বামীকে অনুসরণ করে, ১০/৬/ ২০০০ সালে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে, মামলা নং-মে/লামা/২০০৭-৭৪১/২০০৭, মিস সি আর ১৩/২০০৮ ও রুপসীপাড়া ইউপি মামলা নং-৫৫, তাং-৫/২/২০১২, মিস সি আর মামলা নং-১৩/২০১৪ ও সর্বশেষ সিআর মামলা- ১৩/১৭- তারিখে ৮ জনকে আসামী করে লামা সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন।
পুনর্বাসিত পরিবার গুলো এ অন্যায় মূলক ভুমি লীজ বাতিলের জন্য জেলা প্রশাসক বরাবর গত- ৯৯ সালে-ডকেট নং-২৪৮, ডকেট নং-৩৭৬/২০০১, ডকেট নং-৩৭৯৩/২০০১, ডকেট নং-(১৫১৪/২০০২। এ ব্যপারে জেলা প্রশাসকের স্বারক নং-১০৪০০১৩১১০৩২০০৩০০-১০) তারিখ- ৪/১১/২০১৩ মূলে উপজেলা ভুমি অফিসের মাধ্যমে একটি তদন্ত চেয়ে চিঠি আসে, তবে কোন সু-ফল হয়নি। এর আগেও জেলা প্রশাসক বরাবর প্রেরিত প্রতিটি অভিযোগ তদন্ত করার জন্য উপজেলা ভুমি অফিসে নির্দেশনা আসলেও তার কোন প্রতিফলন হয়নি। সর্বশেষ জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে স্বারক নং-০০.০০.০৩০০.৩০৩.১২.০৫৪.১৬-১২৬৮ মূলে গত ২২/৮/১৬ তারিখে তদন্ত চেয়ে আরেকটি চিঠি আসে উপজেলা ভুমি অফিসে। এ প্রেক্ষিতে কর্তৃপক্ষ সরে জমিনে তদন্ত কাজ সম্পন্ন করেন। এদিকে মৃত জামায়াত নেতার ছেলে আতাউল্যা ও স্ত্রী মমতাজ বেগম কতিপয় লোকদ্বারা মামলা হামলাসহ বিভিন্নভাবে হুমকি প্রদান করে চলছে বলে উচ্ছেদ আতংকে থাকা পরিবারের লোকেরা জানান।
মিথ্যা মামলা ও উচ্ছেদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার দাবী জানিয়েছেন পুনর্বাসিত পরিবারগুলো। বিভিন্ন জনের হুমকীতে ভুমি মালিকরা চরম অনিরাপদ ও আতংকগ্রস্থ হয়ে পড়েন। তাদের বসত ভুমি হারানোর ভয়ে তারা আন্দোলনে নামতে পারেন বলেও জানান। বিষয়টি কর্তৃপক্ষ সু-বিবেচনা আনা প্রয়োজন রয়েছে।
বিশেষ
কৃতজ্ঞতা: তথ্য ও ছবি: মো:কামারুজ্জামান, লামা, বান্দরবান পার্বত্য জেলা।