লামায় প্রাকৃতিক পরিবেশ ধ্বংস: বণ্য প্রাণী বিলুপ্তির দ্বারপ্রান্তে…
![]() |
আজ শরিবার লামা বাজারের হরি মন্দির সামনে বন বিভাগ সদস্য আর আনসার বাহিনী যৌথ উদ্যোগে ১০টি বন মোরগ উদ্ধার করার ছবি।
|
প্রাকৃতি পরিবেশ ধ্বংস হলে বনের প্রাণী তো লোকালয়ে বা বাজারে আসবেই!
আজ সকাল সাড়ে ১১ টায় লামা হরি মন্দিরে সামনে থেকে বন বিভাগ ও আনসার বাহিনী ১০টি বন মোরগ উদ্ধার করে। মোরগ বিক্রেতা পালিয়ে যায় বলে জানা যায়। এমন দৃশ্য দেখে মুখে হাঁসি তা আর ধরে রাখতে পারলাম না। কিন্তু এ প্রসঙ্গে কিছু না লিখে চুপ করে থাকতে পারলাম না- বনে যেভাবে গাছের উপর নির্যাতন করা হচ্ছে তা পাহাড়ে গেলে বুঝা যায়। বনে গাছ না থাকলে বন মোরগের আবাসস্থল আর খাদ্য তো পাচ্ছে না যার জন্য বন মোরগের দেখা মিলেছে বাজারে! বন বিভাগের সদস্য আর আনসার বাহিনী বাজারে বন মোরগ ধরার চেয়ে সেসব ব্যক্তিদের আইনে আওতায় আনা উচিত যারা আমাদের পরিবেশ ধ্বংস করছে।
অনেক সময় কিছু মুর্হুত দেখা মিলে। যেমন কোন গরীব বা অসহায় লোক যখন তাঁর পরিবারের জন্য অথবা মেয়ের বিয়ে দেওয়া জন্য কিছু টাকা জোগার করতে বা আসবাবপত্র তৈরি করতে নিজ সৃজনকৃত গাছ কেঁটে আনে তখন বন বিভাগের জিহ্বায় পানি চলে আসে। তখন তারা সে গাছ গুলো ধরে নিয়ে যাওয়ার জন্য উঠে পড়ে লাগে। কিন্তু বর্তমানে বন বিভাগের চোখের সামনে থেকে যখন বন থেকে হাজার হাজার গাছ কেঁটে ট্রলি যোগে বাজারে মধ্য দিয়ে মাতামুহুরী নদীতে প্রকাশ্যে লাকরি বলে বিক্রয় করা হচ্ছে তখন মনে হয় বন বিভাগের চোখ চশমা দেওয়া থাকেই। যার জন্য সেসব গাছের গাড়ি তাদের চোখে পড়েনা!
![]() |
লামার
হাজার হাজার কাঠ বন বিভাগ কে মেনেজ করে চট্রগ্রাম সহ বাংলাদেশে বিভিন্ন
প্রান্তে চলে যাচ্ছে। মুস্তিমিয় কয়েকজন ব্যবসায়ী পকেট লাল হচ্ছে কিন্তু
পরিবেশ কয় যাচ্ছে তা কে বা খোঁজ খবর রাখে!
|
হাইরে বন বিভাগ তোদের চোখের চশমা তা যে কবে খোলবে? বনে যখন গাছ শেষ হয়ে যাবে তখন খুলিও! বনে গাছ তো বনে আছেই.....কে বলেছে গাছ কেঁটে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এমন কথা বলবেন কারণ আপনা গো পকেট যে গাছ ব্যবসায়ীরা ভারী করে দিয়ে গেছে।
বিশেষ কৃতজ্ঞতা: তথ্য ও ছবি: উথোয়াই মার্মা জয়, এস.কে খগেশপ্রতি চন্দ্র খোকন, লামা, বান্দরবান পার্বত্য জেলা।