বান্দরবান
জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের ডেপুটি কমান্ডার, লামা উপজেলা আওয়ামীলীগের
উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা সার্জেন্ট (অব:) আলহাজ্ব মো: আ: আজিজকে লাঞ্চিত করার
অভিযোগ উঠেছে। ৩০ জানুয়ারি/১৭ তিনি নিজ বসত ভীটায় সংস্কার ও সম্প্রসারণের
কাজকরার সময় ১৭ আনসার ব্যাটালিয়নের পিসি আশ্রাফ কর্তৃক লাঞ্চিত হন বলে জানাগেছে।
প্রত্যক্ষ
দর্শীরা জানান, ওই দিন মুক্তিযোদ্ধা আ:আজিজ চাম্পাতলী গ্রামে নিজ বসত ভীটা সংস্কার
ও সম্প্রসারণের কাজ করছিল। বিকাল ৪টায় ১৭ আনসার ব্যটালিয়নের পিসি সীমানা
বিরোধের মনগড়া অভিযোগ তুলে আ: আজিজকে টানাহেচড়া শুরু করেন। এসময় স্থানীয়রা
বিষয়টি জানতে চাইলে পিসি আশ্রাফ সকলের সাথে বেপরোয়া আচরণ করে, এক পর্যায়ে
শারিরীকভাবে লাঞ্চিত করেন বলে গ্রাম বাসীরা জানান।
তার লাঞ্চনার
শিকার স্থানীয় বাসিন্দা মো: খোরশেদ আলম, প্রাইমারী স্কুলের অপর এক প্রধান শিক্ষক,
সহকারী শিক্ষক মো: জাহিদুল ইসলাম জানান, পিসি আশ্রাফ- আমাদের গ্রামের মুরুব্বী আ:
আজিজ-এর সাথে বেপরোয়া আচরণের কারণ জানতে চাইলে উক্ত পিসি আমাদের সাথেও একই ব্যবহার
করেন।
পৌর শাখার ১
নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি মো: ফজলুল হক, মাষ্টার ওয়ারেন্ট অফিসার (অব:) বীর
মুক্তিযোদ্ধা আ: বাতেন জানান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আ: আজিজ এলাকায় একজন সম্মানিত
প্রবীন ব্যক্তি ও উপজেলা আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা। শান্তি-শৃঙ্খলা নিরাপত্তা
বিভাগের একজন দায়িত্বশীল সদস্য তার সাথে এহেন দুর্ব্যবহার সত্যে দু:খ জনক ও
অমার্জনীয়। প্রসঙ্গত: অতি সম্প্রতি সীমানা জের ধরে চাম্পাতলী গ্রামের
বাসিন্দা সার্জেন্ট (অব:) আবুল কালামকে বেধড়ক মাধর করার ফলে তাকে চমেক পাটানো
হয়। সেখানেও তার সিকিৎসা দিতে না পারায় অবশেষে সামরিক কম্বাইন (সি.এম.এইচ)
হসপিটাল চট্টগ্রামে দীর্ঘ দু’মাস ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিতে হয়েছে।
এ ব্যপারে ১৭
আনসার ব্যাটলিয়নের অধিনায়ক-এর সাথে কথা হয়। তিনি বলেন, আজিজ সাহেবের সাথে
ব্যাটালিয়নের পূর্ব পরিচিহ্নিত সীমানা রয়েছে এবং এতে কোন বিরোধ নেই। ওই দিন
তিনি বাড়ির রুম সম্প্রসারণের কাজ করাচ্ছিলেন, সে অবস্থায় সীমানা সংক্রান্ত বিষয়ে
আমার পিসি আশ্রাফের সাথে উনার লাউডলি কথা হচ্ছিল সিম্পল। একই সময় বাহিরের
কিছু লোক এগিয়ে এসে বাক বিতন্ডায় জড়িয়ে যায়। এসময় পিসি আশ্রাফ তাদেরকেসহ আ:
আজি সাহেবকে আমার অফিসে আসার অনুরোধ করেন।
তিনি আরো
জানান, বিষয়টি আমি জেনেছি, উভয়কে মিলিয়ে দিয়েছি এবং এ ব্যপারেমেয়র সাহেবসহ পুনরায়
বসা হবে। শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে স্থানীদের অভিযোগে এর আগে একজনকে এখান থেকে বদলি
করা হয়েছে।
বিশেষ
কৃতজ্ঞতা: তথ্য ও ছবি: এম বশিরুল আলম, লামা, বান্দরবান পার্বত্য জেলা।