কার্টেসিঃ মোহাম্মদ
কামারুজ্জামান, সাংবাদিক, লামা, বান্দরবান
পার্বত্য জেলা।
*************************************** ***********************
**************************
লামা
আলীকদম ফাঁসিয়াখালী সড়কের লাইনঝিরিতে ক্রস ড্রেনের দু’টি হোল মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। ৪৪ কি: মি:
সড়ক সংস্কার বিহীন রয়েছে কয়েক বছর ধরে। অতিরিক্ত মাল পরিবহনের ফলে কুমারি ও ইয়াংছা
ভেইলি ব্রিজ দু’টির ঝুঁকিপূর্ন অবস্থা বিরাজ করছে।
সড়ক ও জনপদ বিভাগের লামা লাইনঝিরি অফিসের দুইশ্ মিটারের মধ্যে এই ঝুঁকিপূর্ন ক্রস ড্রেনের পয়েন্ট দু’টি কর্তৃপক্ষের নজর এড়িয়ে বিগত সাড়ে তিন দশক ধরে মুক্ত রয়েছে। পথচারি শাহাজান, আ: রহিম, নুরুচ্ছপা, মো: বাবুল, রহমত উল্লাহ, মো: খোকনসহ আরো অনেকে জানান, ছোট বেলা থেকে তাঁরা এই হোল দু’টি উম্মুক্ত থাকতে দেখেন। হোল দুটির মুখে কোন ধরণের ঢাকনা না থাকায় যে কোন সময় মটর সাইকেল, পথচারি ও গরু-ছাগল পড়ে মারাত্মক দুর্ঘটনাসহ প্রাণ নাশের সম্ভাবনার কথা জানান তাঁরা।
সড়ক ও জনপদ বিভাগের লামা লাইনঝিরি অফিসের দুইশ্ মিটারের মধ্যে এই ঝুঁকিপূর্ন ক্রস ড্রেনের পয়েন্ট দু’টি কর্তৃপক্ষের নজর এড়িয়ে বিগত সাড়ে তিন দশক ধরে মুক্ত রয়েছে। পথচারি শাহাজান, আ: রহিম, নুরুচ্ছপা, মো: বাবুল, রহমত উল্লাহ, মো: খোকনসহ আরো অনেকে জানান, ছোট বেলা থেকে তাঁরা এই হোল দু’টি উম্মুক্ত থাকতে দেখেন। হোল দুটির মুখে কোন ধরণের ঢাকনা না থাকায় যে কোন সময় মটর সাইকেল, পথচারি ও গরু-ছাগল পড়ে মারাত্মক দুর্ঘটনাসহ প্রাণ নাশের সম্ভাবনার কথা জানান তাঁরা।
৮০’র দশকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ১৭ ইসিবি লামা-আলীকদম-ফাঁসিয়াখালী
৪৪ কি:মি: সড়কের কাজ সম্পন্ন করে সড়ক ও জনপদ বিভাগের নিকট ন্যস্ত করেন। সড়ক জনপদ বিভাগ
বুঝে নেয়ার পর থেকে এই সড়কের বেহাল অবস্থা দেখা দেয়। জোড়াতালি দিয়ে প্রতি বছর
মেরামতের নামে সরকারের প্রচুর অর্থ খরছ দেখানো হলেও কাজের কাজ কোনটাই হচ্ছে না। ৪৪
কি: মি: সড়কের বেশ কয়েকটি স্থানে কার্পেটিং-এর অংশ বিশেষ ভেঙ্গে ড্রেনের সাথে মিশে
গেছে। এই অবস্থায় মৃত্যু ঝুঁকি নিয়ে তিন উপজেলার কয়েক হাজার মানুষ ও অসংখ্য সরকারি
বিভিন্ন এজেন্সির লোকজন এই সড়কে যাতায়ত করছে।
সড়কে যাতায়তকারি, যাত্রী, পরিবহন
শ্রমিক ও গাড়ি মালিকরা জানান, ২০১৫ সালে পাহাড় ধসের ফলে
কয়েকটি স্থানে সড়কের অংশ ভেঙ্গে যায়। বিগত বছরে সড়কের দু’তিনটি
পয়েন্টে ধারক দেয়াল নির্মাণ করে দিলেও সড়কে কোন সংস্কার কাজ হচ্ছেনা বহু বছর ধরে।
সড়কটি দিয়ে বছর ব্যাপি ওভার লোডিং কাঠের গাড়ি এবং তামাক মৌসুমে তামাক পাতা পরিবহনে
বড় বড় ট্রাক ২০-২৮ টন লোড নিয়ে চলাচল করে। এর ফলে সড়কের কুমারি ও ইয়াংছা ভেইলি
ব্রিজ দু’টিও ঝুঁকিপূর্ন অবস্থা বিরাজ করছে। এই দু’টি ভেইলি ব্রিজ তুলে, সেখানে গার্ডার ব্রিজ স্থাপন
করার প্রয়োজন দেখা দিয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা।
বছরে
পর বছর সড়কে কোন সংস্কার কাজ হচ্ছে না। বর্ষা মৌসুম এলে বিভিন্ন স্থানে মাটি
অপসারণ ও ড্রেন পরিস্কার ব্যতিত যেন সড়ক ও জনপদ বিভাগের কোন কাজ নেই। গাড়ির ডাইভার
সামচুল জানায়, আংশিক ভাঙ্গনের সাথে সাথে সড়কে সংস্কার কাজ চালিয়ে গেলে বড় ধরণের ভাঙ্গন রোধ
সম্ভব। লাইনঝিরির একটি বাঁকে বিগত কয়েক বছর পূর্বে নির্মিত ধারক দেয়াল অভ্যান্তরে
এখনো মাটি ভরাট করা হয়নি। অথচ ঠিকাদার কর্তৃক মাটির কয়েক লাখ টাকা বিল উত্তোলন করে
নিয়ে গেছে। সড়কের কয়েকটি ঝুঁকিপূর্ন বাঁকে নজর কাটারমতো রোড সাইন ও দুর্ঘটনা এড়াতে
মাটির ডিভি বা কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। সড়কটি ঝুঁকিমুক্ত রাখতে সেনাবাহিনী
ইঞ্জিনিয়ার ব্যাটালিয়নকে দায়িত্ব দেয়ার দাবী জানান, স্থানীয়রা।