Check PAGE RANK of Website pages Instantly

Check Page Rank of your Web site pages instantly:

This page rank checking tool is powered by PRChecker.info service

Tuesday, September 26, 2017

লামায় দেবী দূর্গার বোধনে প্রস্তুত কেন্দ্রিয় হরিমন্দিরসহ ৮টি পূজা মন্ডপ!



কার্টেসিঃ মোহাম্মদ কামারুজ্জামান, সাংবাদিক, লামা, বান্দরবান পার্বত্য জেলা।
***************************************************************  

লামা উপজেলায় কেন্দ্রিয় দুর্গাপূজা পরিচালনা পরিষদ এ বছর দূর্গাপূজায় ব্যতিক্রমী আয়োজন করেছেন। দক্ষিণ চট্টগ্রামে আর দশটি পূজা মন্ডপের সাথে পাল্লাদিয়ে এবারও লামা কেন্দ্রিয় হরিমন্দিরে দৃষ্টি নন্দন পূজা আয়োজন।
মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) মা দূর্গার বোধনের মধ্যদিয়ে ৫দিন ব্যাপি পূজা অর্চনা শুরু হবে। বুধবার পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপিসহ জেলার কর্ণদ্বারগণ মন্ডপ পরিদর্শন করবেন। ৩০ সেপ্টেম্বর বিসর্জনের মধ্যদিয়ে মা দূগা বিদায় নিবেন ভক্তদের কাছ থেকে।



পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পদক বিজয় আইচ বলেন, অশুভ শক্তির বিনাশের জন্য দেবী দুর্গা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রূপ ধারণ করেন। মা এবার নৌকায় চড়ে শস্যপূর্না বসুন্ধরায় আগমন করে সিংহের পিষ্টদেশে করে ভক্তদের মাঝে এসেছেন। তিনি বলেন, এবার দেবীর হাত চিরায়ত নিয়মে ১০টি থাকলেও এর শক্তিকে অগনিত হাতের মনে করা হচ্ছে।
বিজয় আইচ বলেন, শারদীয় দুর্গাপূজা পরিচালনা পরিষদ এবার ব্যাতিক্রমী কিছু তৈরির চেষ্টা করেছে। তাই এ বছর দুর্গা প্রতিমার ষ্টেজে ঠাই হয়েছে অশুভ শক্তির বিনাশের গণেশসহ অন্যান্য দেবদেবীর প্রতীকি। ৩/৪ জন ভাষ্কর ৮দিন ধরে এ প্রতিমা তৈরির কাজ করেছেন বলে তিনি জানান। প্রতিমাটির উচ্চতা ১৫ ফুট।
পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বাবুল দাশ জানান, পুরাণের বিভিন্ন কাহিনী অনুসারে আরও কয়েকটি প্রতিমা-ঠাকুর তৈরি করা হয়েছে এবার। পূজাকে ঘিরে কেন্দ্রিয় হরিমন্দির প্রাঙ্গন থেকে সম্মুখের গলি বর্ণিল আলোক সজ্জায় সজ্জিত করা হচ্ছে। সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে পূজা মন্ডপ ও আশপাশের এলাকা নজরে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
পূজা উদযাপন পরিষদের অর্থ সম্পাদক গোপন চৌধুরী জানান, এবার ভিন্ন আঙ্গিকে করা ষ্টেজে মা দূর্গার চরণে পদদলিত অসুর, ও ত্রিশুরবিদ্ধ মহিষাসুর-এর অপশক্তি বিনাশ করবে। এছাড়া রয়েছে ধনের দেবী মা লক্ষী, সিদ্ধিদাতা বাবা গণেশ, বিদ্যার দেবী মা স্বরস্বতী, সৌন্দর্যের প্রতীক বাবা কার্তিক।
লামা কেন্দ্রীয় হরিমন্দির কমিটির সভাপতি প্রসান্ত ভট্টাচার্য্য জানান, উপজেলার কেন্দ্রিয় হরিমন্দ্রির ছাড়াও লামা সদর, চাম্পাতলী, ফাঁসিয়াখালী, আজিজ নগর, মনিন্দ্রপাড়াসহ আরো ৭ টি মোট ৮টি মন্ডপে দুর্গা প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। পাশাপাশি ঘরে ঘরে চলছে পূজার প্রস্তুতি আর দুর্গার আগমনী বার্তার আনন্দ কলরব। পূজাকে ঘিরে পৌর শহরসহ উপজেলায় হিন্দু ধর্মালম্বীদের মধ্যে বইছে আনন্দ ধারা।
সনাতনি ধর্মাবলম্বি সকলকে শারদীয় শুভেচ্ছা জানিয়ে, বান্দরবান জেলা পরিষদের সদস্য মোস্তফা জামাল বলেন, হিন্দু ধর্মাবলম্বিদের বিশ্বাসমতে মা দূর্গার আগমনে সমাজে শান্তি সু-প্রতিষ্ঠিত হউক, অটুট হউক ভ্রাতৃত্বের বন্ধন। দূর্গা পূজার আনঁন্দ উৎসব সবাই উপভোগ করবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
লামা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন জানান, সু-শৃঙ্খলভাবে পূজা উদযাপনের লক্ষ্যে পুলিশ সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করে চলছেন।
পৌর মেয়র মো: জহিরুল ইসলাম সনাতনি ধর্মাবলম্বিদের শারদীয় শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, ঐতিহ্যবাহি এই দূর্গাপূজা আনন্দঘন পরিবেশে উদযাপনের জন্য তিনি সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছেন। তিনি জানান, আগামী বুধবার পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপি মন্ডপ পরিদর্শন করবেন।
লামা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইসমাইল জানান, ধর্ম যার যার উৎসব সবার। উৎসব মখুর পরিবেশে পূজা উদযাপনে সর্বাত্তক সহযোগিতা করছেন তিনিও।
লামা সার্কেলের পুলিশ সুপার আবু সালাম চৌধুরী বলেন, পূজায় অংশগ্রহণকারীদের নিরাপত্তা নির্বি
ঘ্ন করতে মন্ডগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
লামা উপজেলা চেয়ারম্যান থোয়াইনু অং চৌধুরী জানান, দূর্গাপূজার আনন্দ আমরা সবাই উপভোগ করে থাকি। তিনি সনাতনি ধর্মাবলম্বিদের শারদীয় শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, কাল পরম্পরায় দূর্গা দূর্গতি নাশ করে সমাজে শান্তি-মানবতা প্রতিষ্ঠা ও ভ্রাতৃত্ববোধ অটুট রাখার বানী নিয়ে প্রতি বছর পৃথিবীতে আগমন ঘটে।