Check PAGE RANK of Website pages Instantly

Check Page Rank of your Web site pages instantly:

This page rank checking tool is powered by PRChecker.info service

Thursday, August 10, 2017

লামায় চাল আটকের ঘটনায় আলীকদম উপজেলা চেয়ারম্যানের বক্তব্যে চার ইউপি চেয়ারম্যানের সংবাদ সম্মেলন

কার্টেসিঃ মোহাম্মদ কামারুজ্জামান, সাংবাদিক, লামা, বান্দরবান পার্বত্য জেলা।
আলীকদম উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কর্তৃক মিথ্যা ও মানহানিকর বক্তব্য দিয়ে ‘বিভ্রান্তি’ সৃষ্টির অভিযোগে উপজেলার চার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা বৃহস্পতিবার বিকেলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। আলীকদম প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত এ সংবাদ সম্মেলেন লিখিত বক্তব্যে সদর ইউপি চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন বলেন, লামায় প্রশাসন কর্তৃক চাল আটকের ঘটনায় আলীকদম উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের দেয়া বক্তব্য উদ্দেশ্য প্রণোদিত, বানোয়াট ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার শামিল।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন চৈক্ষ্যং ইউপি চেয়ারম্যান ফেরদৌস রহমান, নয়াপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান ফোগ্য মার্মা ও কুরুকপাতা ইউপি চেয়ারম্যান ক্রাতপুং ম্রো।
উল্লেখ্য, বুধবার লামা উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক ১৮৪ বস্তা চাল আটকের ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংবাদ মাধ্যমে আলীকদম উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আবুল কালামের দেওয়া বক্তব্যের জেরে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। পরে জানা যায়, জব্দ করা চালগুলি সেনাবাহিনীর রেশনের বৈধ চাল।
ইউপি চেয়ারম্যানদের দাবী, ‘উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের বক্তব্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও বানোয়াট। গত ২০১৬-১৭ অর্থবছরে আলীকদম উপজেলায় বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচী (এডিপি) খাতে ১ কোটি ১১ লাখ বরাদ্দের অর্থ লুটপাটের বিরুদ্ধে সম্প্রতি জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন ইউপি চেয়ারম্যানরা। মনগড়া ও অস্তিত্বহীন সংগঠনের নামে প্রকল্প দেখিয়ে সরকারি অর্থ লুটপাটের প্রতিবাদ করায় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দিয়ে আমাদের মানহানি করার অপচেষ্টা করছেন’।
লিখিত বক্তব্যে চেয়ারম্যানরা জানান, গত বুধবার লামা বাজারের একটি চালের দোকান থেকে ১৮৪ বস্তা চাল জব্দ করেন লামা উপজেলা প্রশাসন। চাল জব্দের ঘটনাকে কেন্দ্র করে আলীকদম উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আবুল কালাম কোন প্রকার যাচাই-বাছাই না করেই সংবাদ মাধ্যমে জানায়, চালগুলি আলীকদমের বিভিন্ন ইউনিয়নের। বিতরণ না করে সুযোগ বুঝে সংশ্লিষ্টরা কালোবাজারে বিক্রয় করে দিয়েছে’।
তারা বলেন, বৃহস্পতিবার আলীকদম ইউএনও কার্যালয়ে সেনাবাহিনীর প্রতিনিধির উপস্থিতিতে তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে প্রমাণিত হয়, লামায় জব্দকৃত চালগুলি সেনাবাহিনীর রেশনের চাল ছিল। সেগুলি ভিজিডির চাল নয়। লামায় জব্দ করা চালগুলো সিদ্ধ; আর আলীকদমে যেসব ভিজিডির চাল বিতরণ করা হয়, তা হয় আতপ চাল। আলীকদমে ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরের সর্বশেষ বরাদ্দ গত জুন মাসের ভিজিডির চাল ইতোমধ্যেই সুষ্ঠুভাবে বিতরণ করা হয়েছে বলে সংবাদিক সম্মেলনে বলা হয়।