Check PAGE RANK of Website pages Instantly

Check Page Rank of your Web site pages instantly:

This page rank checking tool is powered by PRChecker.info service

Tuesday, August 29, 2017

লামা-আলীকদমের পাহাড়ি ঢালুতে উৎপাদিত কৃষিপণ্য রপ্তানিকারকরা ট্যাক্সের নামে ভোগান্তির শিকার (পর্ব-০১)

কার্টেসিঃ মোহাম্মদ কামারুজ্জামান, সাংবাদিক, লামা, বান্দরবান পার্বত্য জেলা।
*************************************************************
দেশ ব্যপি ক্রমেই বাড়ছে বিভিন্ন কৃষিপণ্যের চাহিদা। এই চাহিদা পূরণে ভূমিকা রাখছে পার্বত্যাঞ্চল। গুণগত মান ভালো হওয়ায় এসব কৃষি পণ্য উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাতকরণের পর তা রপ্তানির পরিমাণও বাড়ছে। পাহাড়ের সবজি মধ্যপাচ্য ও ইউরোপে রপ্তানি হচ্ছে। দেশের সব এলাকাতেই সবজি চাষ হয়, বণ্যা-প্লাবনের কারণে পার্বত্য উঁচু ভূমিতে চাষে ঝুঁকি থাকেনা।
দেশে নিয়মিত বিভিন্ন কৃষিপণ্য রপ্তানি হচ্ছে। এর মধ্যে পার্বত্যালাকায়; বরবটি, কাকরোল, ঝিঙ্গে, ছড়াকচু, মিষ্টি কুমড়া, বেগুন, চালকুমড়া, লাউ, কাঁচা পেঁপে, কাঁচা কলা, শসা ও শীতকালীন সবজি শিম, লাউ, বাঁধা কপি, ধনিয়া পাতা, টমেটো, কাঁচা মরিচ, মুলাসহ কয়েক প্রকার সবজি। মানের প্রশ্নে পার্বত্যালাকার সবজির চাহিদা বেশি। এ কারণে নানা সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে লামা-আলীকদমের পাহাড়ে কৃষিপণ্য উৎপাদন করছেন। কিন্তু উৎপাদনোত্তর বিনিয়োগকারীরা ট্যাক্সের নামে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। একই পণ্যের উপর কয়েকদফা ট্যাক্স নিচ্ছে ইজাদাররা। পথে পথে চাঁদাবাজি, টুল আদায়, ভ্যাট, ট্যাক্স ইত্যাদির দায়ভার গুনতে হয় সাধারন ভোক্তারা। যদিও ব্যবসায়ীরা প্রতিনিয়তই বলেন, তারা সরকারকে ট্যাক্স দেন, বিভিন্ন পয়েন্টে চাঁদা দিয়ে থাকেন। সত্যিকার অর্থে এ সমস্ত যাবতীয় ব্যায়ের ভার উঠে ভোক্তাদের পকেটে, ব্যবসায়ীরা এর একটি কানাকড়িও বহন করেন না।
অথচ এনবিআর-এ বলা হয়েছে, কৃষিপণ্যের ট্যাক্স যে কোন এক স্থানে আদায় হবে। কিন্তু এসব কৃষিপণ্য পরিবহনকালে হাইওয়ে পুলিশসহ সড়ক মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে তল্লাশির নামে আর্থিক হয়রানি করা হচ্ছে। ইউনিয়ন, উপজেলা, পৌরসভা ও জেলা পরিষদের বাঁশকলে নিস্পেষনের শিকার রপ্তানিকারকরা/ পরিবহনকারীরা। প্রাকৃতিক জৈবগুনসমৃদ্ধ পাহাড়ের ঢালুতে বিষমুক্ত/ ক্যামিকেল বিহীন উৎপাদিত এসব কৃষিপন্যে মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশে যাচ্ছে। এর ফলে এই এলাকায় নানা জাতের সবজি চাষে আগ্রহী হচ্ছেন কৃষকরা। প্রযুক্তি ও উৎপাদন ব্যয়ের সাথে সঙ্গতি রেখে বাজারজাত নিশ্চয়তা প্রদান করে, প্রান্তিক কৃষকদেরকে সরাসরি বিনিয়োগ করছেন কিছু সংখ্যাক ক্ষুদ্রাদ্যাক্তরা। কিন্তু ট্যাক্স বিড়ম্বনা ও পরিবহনকালে নানা হয়রানির কারণে উদ্যোক্তরা আগ্রহ হারাচ্ছেন। অপরদিকে সম্ভাবনাময় কৃষি উৎপাদনে কাঙ্খিত উপার্জন বঞ্চিত হচ্ছেন প্রান্তিক কৃষক; নিয়মের তোয়াক্কা না করে সুযোগ নিচ্ছেন অন্যরা। এনবিআর ঘোষণা বাস্তবায়ন করে চলমান অন্যায় থেকে উত্তোরণে অর্থমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামণা করেছেন ভুক্তভোগিরা।