মিরিঞ্জা পর্যটন কেন্দ্র :
************* সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে আনুমানিক পনর শ্ ফুট সু-উঁচু পাহাড় চুড়ায় নির্মিত হয়েছে পর্যটন কেন্দ্রটি। যেখানে দাড়িয়ে কক্সবাজার কুতুব দিয়া মহেশখালীর বেলাভূমি মনমুগ্ধকর দৃশ্য দেখাযায়। পরিকল্পিতভাবে এটিকে সাজানো হলে “মিরিঞ্জা’’ পর্যটন কেন্দ্রটি দেখতে আসবে দেশবিদেশের অনেক দর্শনার্থী। চারদিকে সবুজ বেষ্ঠনি, মেঘমালা আর সারিসারি পর্বতরাজি, অদূরবর্তী বঙ্গোপসাগরের উত্তাল তরঙ্গের সাথে একাকার সবুজের ঢেউ। শীতের কুয়াশা, বর্ষায় নরম মেঘের চাদরে প্রকৃতি তার ভালবাসায় জড়িয়ে রাখে আগন্তকদেরকে। লামা শহর থেকে ৬ ও চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক থেকে ১২ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত প্রধান সড়কের পাশ ঘেসে এ না›ঁদনিক স্থানটি। মিরিঞ্জিা পর্যটন কেন্দ্রটি ২০১০ সালে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের আওতাভুক্ত ঘোষণা করেছিলেন সরকার। পর্যটন এলাকায় ঝুলন্ত সেতু ও লেক সৃষ্টি করার জন্য ৪ কোটি ৯৯ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। এ শিল্পের বিকাশে তৎকালীন উপজেলা প্রশাসনের উদাসিনতায় উপরন্ত প্রায় কোটি টাকা অপচয় করে বাঁধ নির্মাণের ব্যর্থ চেষ্টা করে। একই বছর মিরিঞ্জা পর্যটনের বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয় করা হয় অন্য একটি পর্যটন স্পটে।
************* সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে আনুমানিক পনর শ্ ফুট সু-উঁচু পাহাড় চুড়ায় নির্মিত হয়েছে পর্যটন কেন্দ্রটি। যেখানে দাড়িয়ে কক্সবাজার কুতুব দিয়া মহেশখালীর বেলাভূমি মনমুগ্ধকর দৃশ্য দেখাযায়। পরিকল্পিতভাবে এটিকে সাজানো হলে “মিরিঞ্জা’’ পর্যটন কেন্দ্রটি দেখতে আসবে দেশবিদেশের অনেক দর্শনার্থী। চারদিকে সবুজ বেষ্ঠনি, মেঘমালা আর সারিসারি পর্বতরাজি, অদূরবর্তী বঙ্গোপসাগরের উত্তাল তরঙ্গের সাথে একাকার সবুজের ঢেউ। শীতের কুয়াশা, বর্ষায় নরম মেঘের চাদরে প্রকৃতি তার ভালবাসায় জড়িয়ে রাখে আগন্তকদেরকে। লামা শহর থেকে ৬ ও চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক থেকে ১২ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত প্রধান সড়কের পাশ ঘেসে এ না›ঁদনিক স্থানটি। মিরিঞ্জিা পর্যটন কেন্দ্রটি ২০১০ সালে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের আওতাভুক্ত ঘোষণা করেছিলেন সরকার। পর্যটন এলাকায় ঝুলন্ত সেতু ও লেক সৃষ্টি করার জন্য ৪ কোটি ৯৯ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। এ শিল্পের বিকাশে তৎকালীন উপজেলা প্রশাসনের উদাসিনতায় উপরন্ত প্রায় কোটি টাকা অপচয় করে বাঁধ নির্মাণের ব্যর্থ চেষ্টা করে। একই বছর মিরিঞ্জা পর্যটনের বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয় করা হয় অন্য একটি পর্যটন স্পটে।
যেভাবে “মিরিঞ্জা’’ স্থানটি দৃশ্যপটে আসে :
************************
১৯৯০ সালে আলীকদম জোন কমান্ডার লেঃ কর্ণেল মেজবা-উর রহমান এ স্থানে সড়কের পাশে একটি গোলঘর নির্মান করে নাম দিয়েছিলেন ‘মনোহরা’। এর কদিন পর বিগ্রেডিয়ার জেনারেল শাখাওয়াত হোসেন (সাবেক ইসি) সহ কয়েকজন সামরিক অফিসার, তৎকালীন লামা প্রেসক্লাবের সভাপতি রুহুল আমিনসহ ‘মনোহরায়’ বনভোজন করেন। সেই দিনই বনভোজনের ফাঁকে এই স্থানটিকে স্মৃতিময় করে রাখার প্রথম প্রয়াস ছিল; যেটা আজকের এই পর্যটন কেন্দ্রের গোড়াপত্তন। এ ধারাবাহিকতায় ১৪০৯ বাংলা নববর্ষ উপজাতিদের সাংগ্রাই উৎসব উদযাপনের জন্যে তৎকালীন বান্দরবান জেলা প্রশাসক হাফিজুর রহমান ভূঁঞা লামা আসার পথে ‘মনোহরায়’ সংক্ষিপ্ত যাত্রা বিরতি করেন। তৎকালীন লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার হেলালুদ্দীন (বর্তমান নির্বাচন কমিশন সচিব) এই স্থানে একটি পর্যটন কেন্দ্র নির্মাণের জন্য প্রস্তাব রাখেন। ওই প্রস্তাবে বান্দরবান জেলা প্রসাশক ও সেনা রিজিয়ন অর্থ সহায়তা দিয়ে এর যাত্রা শুরু করে।
************************
১৯৯০ সালে আলীকদম জোন কমান্ডার লেঃ কর্ণেল মেজবা-উর রহমান এ স্থানে সড়কের পাশে একটি গোলঘর নির্মান করে নাম দিয়েছিলেন ‘মনোহরা’। এর কদিন পর বিগ্রেডিয়ার জেনারেল শাখাওয়াত হোসেন (সাবেক ইসি) সহ কয়েকজন সামরিক অফিসার, তৎকালীন লামা প্রেসক্লাবের সভাপতি রুহুল আমিনসহ ‘মনোহরায়’ বনভোজন করেন। সেই দিনই বনভোজনের ফাঁকে এই স্থানটিকে স্মৃতিময় করে রাখার প্রথম প্রয়াস ছিল; যেটা আজকের এই পর্যটন কেন্দ্রের গোড়াপত্তন। এ ধারাবাহিকতায় ১৪০৯ বাংলা নববর্ষ উপজাতিদের সাংগ্রাই উৎসব উদযাপনের জন্যে তৎকালীন বান্দরবান জেলা প্রশাসক হাফিজুর রহমান ভূঁঞা লামা আসার পথে ‘মনোহরায়’ সংক্ষিপ্ত যাত্রা বিরতি করেন। তৎকালীন লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার হেলালুদ্দীন (বর্তমান নির্বাচন কমিশন সচিব) এই স্থানে একটি পর্যটন কেন্দ্র নির্মাণের জন্য প্রস্তাব রাখেন। ওই প্রস্তাবে বান্দরবান জেলা প্রসাশক ও সেনা রিজিয়ন অর্থ সহায়তা দিয়ে এর যাত্রা শুরু করে।
সামরিক অসামরিক এ ক’জন গুণি কর্মকর্তা বর্তমানে আমাদের কাছে নেই। তবে ‘মিরিঞ্জা’ পর্যটন কেন্দ্রসহ এলাকার বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ডে মিশে আছে তাদের স্মৃতি, মেধা ও মননের চাপ। এই শিল্প বিকাশে এবং এর উত্তরোত্তর সুন্দর ও সাবলিল করতে বর্তমানে কারো মনযোগ নেই। গতানুগতিক ধারায় লামা উপজেলা পরিষদ এর রক্ষণা বেক্ষণ করছেন। ইতোপূর্বে আলীকদম সেনা জোনের অর্থ সহায়তায় সেখানে গড়ে তোলা হয়েছিল একটি শিশুপার্ক। পার্কটিও ভঙ্গুর অবস্থা বিরাজ করছে। লামা উপজেলা থেকে ৬ কিঃ মিঃ দূরে পাঁচ শ্ একর পাহাড় ও জলধার নিয়ে প্রায় দেড় কিলোমিটার এলাকা জুড়ে নির্মিত হয়েছে এ পর্যটন কেন্দ্রটি। এখানকার পাহাড় ও পাহাড়ীদের বিচিত্র আচার অনুষ্টান অদূরে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু সাফারী পার্ক ও কক্সবাজারে বেড়াতে আসা দুরাগত পর্যটকদের কাছে এই স্থানটির গুরুত্ব বাড়িয়ে তোলতে পারে। প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ দিয়ে পরিকল্পিতভাবে এর বিকাশ ঘটানো হলে ব্যপক পর্যটকের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হবে সম্ভাবনাময় “মিরিজ্ঞা” পর্যটন কেন্দ্র।
মিরিঞ্জিা পর্যটন কেন্দ্রটিসহ লামা-আলীকদমের নান্দঁনিক স্থানগুলোকে সরকারের পর্যটন কর্পোরেশনের আওতাভুক্ত করাসহ এর সৌন্দর্য্য বৃদ্ধির দাবী জানান, লামা-আলীকদমবাসি।
চলবে...
*****************************************************************************