Check PAGE RANK of Website pages Instantly

Check Page Rank of your Web site pages instantly:

This page rank checking tool is powered by PRChecker.info service

Tuesday, August 29, 2017

লামা-আলীকদমের পাহাড়ি ঢালুতে উৎপাদিত কৃষিপণ্য রপ্তানিকারকরা ট্যাক্সের নামে ভোগান্তির শিকার (পর্ব-০২)

কার্টেসিঃ মোহাম্মদ কামারুজ্জামান, সাংবাদিক, লামা, বান্দরবান পার্বত্য জেলা।
************************************************************************
লামা-আলীকদমসহ পার্বত্যাঞ্চলের সবজি বৈদেশিক মুদ্রার্জনে ভূমিকা রাখছে। এর পরেও এ সেক্টরটির প্রতি অমনযোগি সবাই। দেশে ধারাবাহিকভাবে কৃষিপণ্যের রপ্তানি আয় বাড়ছে। বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্যানুযায়ী, বিগত ২০১৬-১৭ অর্থবছরে এ খাতে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল, ৬০ কোটি ৮০ লাখ। কিন্তু বৈরি আবহাওয়ার পরে এই লক্ষমাত্রা অতিক্রম করেছে। এসব পণ্যের উপর টুল/ ট্যাক্স আদায়ে নিয়ম মেনে সহায়তা করা হলে ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে দ্বিগুন লক্ষ্যার্জিত হবে বলে মনে করেন এতদসংশ্লিষ্ট বিনিয়োগকারীরা।
অনুসন্ধ্যানে জানাযায়, পার্বত্যাঞ্চলের পাহাড়ি ঢালু জমি মৌসুমি সবজি চাষের উর্বর ক্ষেত্র। এখানে বিষমুক্ত ও ক্যামিকেল বিহীন সবজি চাষ সম্ভব। দেশের আর কোথাও এই ধরণের প্রাকৃতিক উপযোগিতা ও অনুকুল সুযোগ কম রয়েছে। এসব সম্ভাবনার কারণে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পাহাড়ে বিভিন্ন প্রজাতির সবজি চাষে অনেকে বিনিয়োগে উৎসাহি হচ্ছেন। স্থানীয় বিনিয়োগকারী মনির চৌধুরী জানান, সে সম্পূর্ন অর্গাইনিক পদ্ধতি ব্যবহার করে এখানে পেপে চাষ করেন। তার এসব পেপে বিদেশে সরবরাহের জন্য সে একটি প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তিবদ্ধ হন। কিন্তুু স্থানীয়ভাবে ট্যাক্স বিড়ম্বনায় সে এ চাষে উৎসাহ হারিয়ে ফেলেন। সে জানায়, পেপেসহ আরো কয়েকটি বিদেশে রপ্তানিযোগ্য কৃষি ফসল এখানে উৎপাদনের ভালো পরিবেশ রয়েছে। পরিবহনকালে ট্যাক্স আদায় ও তল্লাশির নামে হয়রানি, সড়ক মহাসড়কে পুলিশি হয়রানির কারণে সে ৪ লাখ টাকা লোকশান দিয়ে এ ব্যবসা থেকে সরে যায়। তার মতে এসব অনিয়ম বন্ধ হলে পার্বত্যালাকায় উৎপাদিত কৃষিপণ্য বিভিন্ন দেশে বাজারজাত করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব।
জানাগেছে, দেশের রপ্তানি আয় ২০২১ সালের মধ্যে ৬ হাজার কোটি ডলার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে রপ্তানি নীতি ২০১৫-২০১৮ এর অনুমোদন দিয়েছে সরকারের অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। প্রস্তাবিত রপ্তানি নীতিতে রপ্তানিকে উৎসাহিত করার জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রণোদনা প্রদান, সহজ ও স্বল্পসুদে ঋণের ব্যবস্থা, চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দরকে আধুনিকায়নসহ বেশ কিছু নতুন বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বলা হয়েছে ‘নতুন এই রফতানি নীতি চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকেই কার্যকর বলে বিবেচিত হবে’।  প্রস্তাবিত রপ্তানি নীতিতে যে সাতটি বিষয়ের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে তার মধ্যে কৃষিজাত পণ্য ও ভেষজ সামগ্রী রয়েছে।
কৃষিবিদদের মতে পার্বত্যালাকার উর্বর মাটি সব চাষের অনুকুল পরিবেশ রয়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে বন্যা-প্লাবনে নিমজ্জিত হয়ে মৌসুমী চাষে ব্যঘাত সৃষ্টি হতে পারে। এ ক্ষেত্রে পার্বত্য পাহাড়ি ঢালু ভূমি প্লাবিত হয়না এবং সাম্প্রতিক সময়ে সামাজিক নিরাপত্তা ও যোগাযোগের সূচকও বৃদ্ধি পেয়েছে। সূতরাং চাষের নিরাপদ পরিবেশ হেতু বিনিয়োগকারীরা আগ্রহী হচ্ছেন।