‘আমি মানুষের বাগান সৃষ্টি করতে চাই’
লামার কীংবদন্তি আলহাজ্ব মোঃ আলী মিয়ার ৭ম মৃত্যু বার্ষিকী আজ (২২ আগষ্ট)
আলহাজ্ব মো: আলী মিয়া : (১লা জানুয়ারি/১৯২৩- ২২ আগষ্ট/২০১০)লামার কীংবদন্তি আলহাজ্ব মোঃ আলী মিয়ার ৭ম মৃত্যু বার্ষিকী আজ (২২ আগষ্ট)
লামা উপজেলা পরিষদের প্রথম চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মোঃ আলী মিয়ার ৭ম মৃত্যু বার্ষিকী আজ ২২ আগষ্ট । বান্দরবানের লামা উপজেলার প্রবীণ রাজনৈতিক, সামাজিক উন্নয়নের রুপকার আলহাজ্ব মো: আলী মিয়ার ৭ম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষ্যে আজ ২২ আগষ্ট সোমবার বাদে ফজর কবর জিয়ারত ও কোরআন খতমসহ পারিবারিক ও সামাজিকভাবে পালিত হচ্ছে দিনটি।
২০১০ সালের ২২ আগষ্ট বার্ধক্য জনিত কারণে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন
হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। বরণ্য এই নেতার মৃত্যুতে লামাবাসি হারিয়েছে একজন প্রকৃত
বন্ধুকে। পার্বত্য লামা উপজেলায় মানুষের বাগান সৃষ্টির স্বপ্ন পুরণকারী এই গুণিজন
১৯২৩ সালের ১লা জানুয়ারী নোয়াখালী জেলার রামগঞ্জ উপজেলাধীন দেবনগর গ্রামের খন্দকার
পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মোহাম্মদ আনছার আলী খন্দকার। মাতার নাম
ফুল বানু। তিনি লামা উপজেলায় উন্নয়ন, বাঙ্গালী পরিবারদের পূনর্বাসন, যোগাযোগ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ক্রিড়া ও
সাংস্কৃতিক অঙ্গনে এবং অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সামাজিক সংগঠণ প্রতিষ্ঠায়
অনন্যা ভূমিকা রেখেছেন ।
বাল্যকাল থেকে উত্থান পতনের নানামুখি ট্রাজেডি উপেক্ষা করে জীবন
সংগ্রামে জয়ী এই কীর্তিমান মানুষকে লামাবাসি আজীবন স্মরণে রাখবে। তার মৃত্যু
বাষিকী উপলক্ষে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে আত্মীয় স্বজন, এলাকাবাসি, এতিম গরীব ও মিসকিনদের
বিশেষ আপ্যায়ন করা হবে বলে মরহুমের পারিবারিক সূত্রে জানাগেছে।
আলীর পাহাড়ে প্রত্যাবর্তন
***********
বিরল জ্ঞানের অধিকারী নোয়াখালী জেলায় জম্ম নেয়া আলী মিয়ার পিতা জীবনান্বষনে বিটিশ শাষনামলে শিশু আলী মিয়াকে সাথে নিয়ে স্ব-পরিবারে ভারতের মুর্শিদাবাদে গিয়ে বসতিস্থাপন করেন। ১৯৬১ সালে ভারতের শাসক গোষ্ঠি কর্তৃক জাতিগত দাঙ্গায় বর্ণবৈষম্যের শিকার হয়ে ১৯৬২ সালের শেষের দিকে রামগড় মহকুমায় অবস্থান করেন। ৬০’র দশকে আলী মিয়ার নেতৃত্বে সরকারের পূর্নবাসনের আওতায় ২০০ উদ্বাস্ত পরিবারকে বান্দরবানের লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নে পাটায়।
***********
বিরল জ্ঞানের অধিকারী নোয়াখালী জেলায় জম্ম নেয়া আলী মিয়ার পিতা জীবনান্বষনে বিটিশ শাষনামলে শিশু আলী মিয়াকে সাথে নিয়ে স্ব-পরিবারে ভারতের মুর্শিদাবাদে গিয়ে বসতিস্থাপন করেন। ১৯৬১ সালে ভারতের শাসক গোষ্ঠি কর্তৃক জাতিগত দাঙ্গায় বর্ণবৈষম্যের শিকার হয়ে ১৯৬২ সালের শেষের দিকে রামগড় মহকুমায় অবস্থান করেন। ৬০’র দশকে আলী মিয়ার নেতৃত্বে সরকারের পূর্নবাসনের আওতায় ২০০ উদ্বাস্ত পরিবারকে বান্দরবানের লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নে পাটায়।
সংগ্রামি আলী, মুক্তিযোদ্ধা আলীমিয়া :
********************
একদা বনে থাকা জঙ্গলী জানুয়ার আর হাতির সাথে যুদ্ধ করে কাঠুরিয়া আলী মিয়া স্বগোত্রেরলোকদের নিরাপদে রাখেন। ঝটের জ্বালা মেটাতে তিনি অনেক কঠোর পরিশ্রম করেছেন। পরিশ্রম আর ন্যয়নিষ্ঠতার গুণে ওই সময় আলী মিয়া পাহাড়ী বাঙ্গালীদের সমর্থন নিয়ে লামা ইউনিয়ন পরিষদে বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে পরক্ষ অংশ গ্রহন করে, শত্রুবাহিনীর বিপুল পরিমান অস্ত্র মুক্তি বাহিনীর হাতে তুলে দিতে দুর্দান্ত ভুমিকা রেখিছিলেন তিনি। সকল বিতর্ক এড়িয়ে ৯০ দশকের দিকে তিনি বীরমুক্তিযোদ্ধা খেতাব অর্জন পূর্বক মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় কর্তৃক তালিকায় অর্ন্তভুক্ত হতে সক্ষম হন।
********************
একদা বনে থাকা জঙ্গলী জানুয়ার আর হাতির সাথে যুদ্ধ করে কাঠুরিয়া আলী মিয়া স্বগোত্রেরলোকদের নিরাপদে রাখেন। ঝটের জ্বালা মেটাতে তিনি অনেক কঠোর পরিশ্রম করেছেন। পরিশ্রম আর ন্যয়নিষ্ঠতার গুণে ওই সময় আলী মিয়া পাহাড়ী বাঙ্গালীদের সমর্থন নিয়ে লামা ইউনিয়ন পরিষদে বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে পরক্ষ অংশ গ্রহন করে, শত্রুবাহিনীর বিপুল পরিমান অস্ত্র মুক্তি বাহিনীর হাতে তুলে দিতে দুর্দান্ত ভুমিকা রেখিছিলেন তিনি। সকল বিতর্ক এড়িয়ে ৯০ দশকের দিকে তিনি বীরমুক্তিযোদ্ধা খেতাব অর্জন পূর্বক মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় কর্তৃক তালিকায় অর্ন্তভুক্ত হতে সক্ষম হন।
জনদরদী আলী মিয়া জনপ্রতিনিধি হলেন :
******************
১৯৭৩-৭৪ সালে দেশে অনুষ্ঠিত প্রথম ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিপুল ভোটে তিনি লামা ইউনিয়ন পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হন। ১৯৭৭ সালে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তিনি লামা ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ১৯৮৫ সালে তিনি প্রথম লামা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
মানবতাবাদী এই নেতা নেতৃত্বের শুরু থেকেই লামা-আলীকদমে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, রাস্তা ঘাট, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, ব্রিজ কালভার্টসহ ব্যাপক উন্নয়ন করে। অন্ধকার পাহাড়ী এই জনপদে মানুষের বাগান সৃষ্টি করে আধাঁরে আলোর মশাল জ্বালিয়েদেন। মৃত্যুকালে তিনি ৩ স্ত্রী, ১০ ছেলে, ১১ মেয়েসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে যান। লামার কীংবদন্তি খ্যাত আলহাজ্ব মোঃ আলী মিয়াকে চির জীবন স্বরণ করবে লামাবাসি। ক্ষণজম্মা এই মানুষটি আজ আমাদের মাঝে নেই। কিন্তু জনবান্ধব কর্মের মাঝে তিনি বেঁচে থাকবেন যুগ পরম্পরায় প্রজম্মের অন্তরে।
******************
১৯৭৩-৭৪ সালে দেশে অনুষ্ঠিত প্রথম ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিপুল ভোটে তিনি লামা ইউনিয়ন পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হন। ১৯৭৭ সালে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তিনি লামা ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ১৯৮৫ সালে তিনি প্রথম লামা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
মানবতাবাদী এই নেতা নেতৃত্বের শুরু থেকেই লামা-আলীকদমে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, রাস্তা ঘাট, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, ব্রিজ কালভার্টসহ ব্যাপক উন্নয়ন করে। অন্ধকার পাহাড়ী এই জনপদে মানুষের বাগান সৃষ্টি করে আধাঁরে আলোর মশাল জ্বালিয়েদেন। মৃত্যুকালে তিনি ৩ স্ত্রী, ১০ ছেলে, ১১ মেয়েসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে যান। লামার কীংবদন্তি খ্যাত আলহাজ্ব মোঃ আলী মিয়াকে চির জীবন স্বরণ করবে লামাবাসি। ক্ষণজম্মা এই মানুষটি আজ আমাদের মাঝে নেই। কিন্তু জনবান্ধব কর্মের মাঝে তিনি বেঁচে থাকবেন যুগ পরম্পরায় প্রজম্মের অন্তরে।