কার্টেসিঃ মোহাম্মদ কামারুজ্জামান, সাংবাদিক, লামা, বান্দরবান পার্বত্য জেলা।
****************************************************************
লামা-আলীকদমে পাহাড়ের ঢালুসহ নদী-শাখা খাল অসংখ্য ছড়া-নালার তীরবর্তী উর্বর মাটিতে নানান জাতের সবজি হয়। রোগবালাই না থাকায় কিটনাশকমুক্ত হয় এখানকার সবজি, ফল-মূল। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন হয়েছে। এর ফলে দুর্গমের সাথে শহরের যোগাযোগ স্থাপন হয়ে উৎপাদিত কৃষিপন্য দ্রুত বাজারজাত সম্ভব হচ্ছে।
কয়েকজন কৃষকের সাথে আলাপ করে জানা যায়, যোযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের ফলে চলতি বছর এ পর্যন্ত লামা রুপসিপাড়া ইউনিয়ন থেকে ২০ লাখ টাকার চিচিঙ্গা, ১৫ লাখ টাকার ঝিঙ্গে, ১০ লাখ টাকার করল্লা, ১০ লাখ টাকার পেপে, ২০ লাখ টাকার কলা, ১০ লাখ টাকার শসা, ১০ লাখ টাকার সিম ও মিষ্টি কুমড়া, পাহাড়ি আলু, ছড়াকচুসহ আরো প্রায় ৪০ লাখ টাকার বিভিন্ন জাতের সবজি রপ্তানি হয়েছে। স্থানীয়রা জানায়, সাম্প্রতিক সময়ে উপজেলার প্রত্যন্তাঞ্চলে সড়ক নেট ওয়ার্ক গড়ে উঠায় একই ভাবে পৌর এলাকাসহ লামা, সরই, গজালিয়া, ফাঁসিয়াখালী, ফাইতং ও আজিজ নগর ইউনিয়ন থেকেও বিপুল পরিমান সবজি রপ্তানি হচ্ছে। এছাড়া রসনা বিলাসিদের স্বাধগন্ধে নতুন মাত্রা যোগকারী মুখের রুচিবর্ধক বিভিন্ন জাতের লেবু রপ্তানি হয়েছে প্রায় ৫০ লাখ টাকার।
অপরদিকে পাশ্ববর্তী আলীকদম উপজেলার ৪টি ইউনিয়ন থেকেও প্রায় আড়াই থেকে তিন কোটি টাকার সবজি রপ্তানি হয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক রপ্তানিকারক জানায়, কৃষিপণ্যের উপর কয়েকদফা ট্যাক্স দেয়ার প্রথম পর্ব শুরু হয়; আলীকদম উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদ দিয়ে। সবজি ভর্তি বড় ট্রাক থেকে আলীকদম উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদ ট্যাক্স নেয় দু’হাজার টাকা। পিকআফ হলে দিতে হয় ষোলশ টাকা। একই পরিবহনকৃত পণ্যে কুমারী জেলা পরিষদ পয়েন্টে দিতে হয়- আড়াই ও দেড় হাজার টাকা করে।
লামা পৌরসভার লাইনঝিরি পয়েন্ট, ইয়াংছা পয়েন্ট (পুলিশ ও বাঁশ বিড়ম্বনা), কুমারী বাজারঘেষে সড়কে জেলা পরিষদ এর ট্যাক্স। এর মধ্যে মহাসড়কে পৌঁছতে আরো কয়েকটি তল্লাশি পয়েন্টে বাঁশ ফেলে সময়ক্ষেপন করে। শেষ গন্তব্য চট্টগ্রাম কিংবা ঢাকা পর্যন্ত পৌঁছতে হাইওয়ে পুলিশসহ অসংখ্য প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করতে বিরক্তিকর আর্থিক হয়রানির শিকার হতে হয়। লামা উপজেলার রুপসিপাড়া ইউনিয়ন থেকে দু’হাজার কেজি সমান এক পিকআফ সবজির উপর ইউপি কর হিসেবে ইজারাদার নেয়- আটশ টাকা। একই পণ্যের পিকআফ থেকে জেলা পরিষদ নেয়-এক হাজার টাকা। রপ্তানিকারকরা জানান, কয়েক দফা ট্যাক্স দেয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন তল্লাশি পয়েন্টগুলোতেও ট্যাক্সের চেয়ে বেশি টাকা দিতে হয়। এসব পয়েন্টগুলোতে টাকা না দিলে হয়রানিসহ সময় নষ্ট করে। এর ফলে সবজির সজিবতা হারায়। এসব সবজি টাটকা রাখতে দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছে বাজারজাত কিংবা বিদেশে রপ্তানির জন্য পক্রিয়াজাত করতে হয়। ফলে সময় বাঁচানোর তাগিদে পরিবহনকারীরা পথে যে কোন কারোর অন্যায় আবদারও রাখতে হয়। ২০-৩০ টাকা কেজি সবজি কিনে চট্টগ্রাম ঢাকায় পৌঁছতে পরিবহন খরছ হয় ৫ টাকা, ট্যাক্স খরছ হয় ৫ টাকা, বিড়ম্বনা এড়াতে খরছ হয় ১০ টাকা। কাঁচামাল হেতু কিছু সবজি নষ্ট হয়ে, এর বিক্রয় মূল্য দাড়ায় তিনগুণেরও বেশি।
The Green city surrounded by natural beauty and cool green. LAMA is ethnically Rich in unlimited natural resources. There are numerous small spiral wavy hills and mountains, flowing rivers glide. The combination of beautiful scenery, rich and varied cultural inheritance Lama, just as the artist's paintings on canvas. In this region, each of events is general activity, education, development, socioeconomic and political issues and also daily news and views are published on news channel.
Check PAGE RANK of Website pages Instantly
Check Page Rank of your Web site pages instantly: |
This page rank checking tool is powered by PRChecker.info service |
Thursday, August 31, 2017
লামা-আলীকদমের পাহাড়ি ঢালুতে উৎপাদিত কৃষিপণ্য রপ্তানিকারকরা ট্যাক্সের নামে ভোগান্তির শিকার ধারাবাহিক (পর্ব-০৩)
Tuesday, August 29, 2017
লামা-আলীকদমের পাহাড়ি ঢালুতে উৎপাদিত কৃষিপণ্য রপ্তানিকারকরা ট্যাক্সের নামে ভোগান্তির শিকার (পর্ব-০২)
কার্টেসিঃ মোহাম্মদ কামারুজ্জামান, সাংবাদিক, লামা, বান্দরবান পার্বত্য জেলা।
************************************************************************
লামা-আলীকদমসহ পার্বত্যাঞ্চলের সবজি বৈদেশিক মুদ্রার্জনে ভূমিকা রাখছে। এর পরেও এ সেক্টরটির প্রতি অমনযোগি সবাই। দেশে ধারাবাহিকভাবে কৃষিপণ্যের রপ্তানি আয় বাড়ছে। বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্যানুযায়ী, বিগত ২০১৬-১৭ অর্থবছরে এ খাতে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল, ৬০ কোটি ৮০ লাখ। কিন্তু বৈরি আবহাওয়ার পরে এই লক্ষমাত্রা অতিক্রম করেছে। এসব পণ্যের উপর টুল/ ট্যাক্স আদায়ে নিয়ম মেনে সহায়তা করা হলে ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে দ্বিগুন লক্ষ্যার্জিত হবে বলে মনে করেন এতদসংশ্লিষ্ট বিনিয়োগকারীরা।
অনুসন্ধ্যানে জানাযায়, পার্বত্যাঞ্চলের পাহাড়ি ঢালু জমি মৌসুমি সবজি চাষের উর্বর ক্ষেত্র। এখানে বিষমুক্ত ও ক্যামিকেল বিহীন সবজি চাষ সম্ভব। দেশের আর কোথাও এই ধরণের প্রাকৃতিক উপযোগিতা ও অনুকুল সুযোগ কম রয়েছে। এসব সম্ভাবনার কারণে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পাহাড়ে বিভিন্ন প্রজাতির সবজি চাষে অনেকে বিনিয়োগে উৎসাহি হচ্ছেন। স্থানীয় বিনিয়োগকারী মনির চৌধুরী জানান, সে সম্পূর্ন অর্গাইনিক পদ্ধতি ব্যবহার করে এখানে পেপে চাষ করেন। তার এসব পেপে বিদেশে সরবরাহের জন্য সে একটি প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তিবদ্ধ হন। কিন্তুু স্থানীয়ভাবে ট্যাক্স বিড়ম্বনায় সে এ চাষে উৎসাহ হারিয়ে ফেলেন। সে জানায়, পেপেসহ আরো কয়েকটি বিদেশে রপ্তানিযোগ্য কৃষি ফসল এখানে উৎপাদনের ভালো পরিবেশ রয়েছে। পরিবহনকালে ট্যাক্স আদায় ও তল্লাশির নামে হয়রানি, সড়ক মহাসড়কে পুলিশি হয়রানির কারণে সে ৪ লাখ টাকা লোকশান দিয়ে এ ব্যবসা থেকে সরে যায়। তার মতে এসব অনিয়ম বন্ধ হলে পার্বত্যালাকায় উৎপাদিত কৃষিপণ্য বিভিন্ন দেশে বাজারজাত করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব।
জানাগেছে, দেশের রপ্তানি আয় ২০২১ সালের মধ্যে ৬ হাজার কোটি ডলার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে রপ্তানি নীতি ২০১৫-২০১৮ এর অনুমোদন দিয়েছে সরকারের অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। প্রস্তাবিত রপ্তানি নীতিতে রপ্তানিকে উৎসাহিত করার জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রণোদনা প্রদান, সহজ ও স্বল্পসুদে ঋণের ব্যবস্থা, চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দরকে আধুনিকায়নসহ বেশ কিছু নতুন বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বলা হয়েছে ‘নতুন এই রফতানি নীতি চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকেই কার্যকর বলে বিবেচিত হবে’। প্রস্তাবিত রপ্তানি নীতিতে যে সাতটি বিষয়ের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে তার মধ্যে কৃষিজাত পণ্য ও ভেষজ সামগ্রী রয়েছে।
কৃষিবিদদের মতে পার্বত্যালাকার উর্বর মাটি সব চাষের অনুকুল পরিবেশ রয়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে বন্যা-প্লাবনে নিমজ্জিত হয়ে মৌসুমী চাষে ব্যঘাত সৃষ্টি হতে পারে। এ ক্ষেত্রে পার্বত্য পাহাড়ি ঢালু ভূমি প্লাবিত হয়না এবং সাম্প্রতিক সময়ে সামাজিক নিরাপত্তা ও যোগাযোগের সূচকও বৃদ্ধি পেয়েছে। সূতরাং চাষের নিরাপদ পরিবেশ হেতু বিনিয়োগকারীরা আগ্রহী হচ্ছেন।
লামা-আলীকদমের পাহাড়ি ঢালুতে উৎপাদিত কৃষিপণ্য রপ্তানিকারকরা ট্যাক্সের নামে ভোগান্তির শিকার (পর্ব-০১)
কার্টেসিঃ মোহাম্মদ কামারুজ্জামান, সাংবাদিক, লামা, বান্দরবান পার্বত্য জেলা।
*************************************************************
দেশ ব্যপি ক্রমেই বাড়ছে বিভিন্ন কৃষিপণ্যের চাহিদা। এই চাহিদা পূরণে ভূমিকা রাখছে পার্বত্যাঞ্চল। গুণগত মান ভালো হওয়ায় এসব কৃষি পণ্য উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাতকরণের পর তা রপ্তানির পরিমাণও বাড়ছে। পাহাড়ের সবজি মধ্যপাচ্য ও ইউরোপে রপ্তানি হচ্ছে। দেশের সব এলাকাতেই সবজি চাষ হয়, বণ্যা-প্লাবনের কারণে পার্বত্য উঁচু ভূমিতে চাষে ঝুঁকি থাকেনা।
দেশে নিয়মিত বিভিন্ন কৃষিপণ্য রপ্তানি হচ্ছে। এর মধ্যে পার্বত্যালাকায়; বরবটি, কাকরোল, ঝিঙ্গে, ছড়াকচু, মিষ্টি কুমড়া, বেগুন, চালকুমড়া, লাউ, কাঁচা পেঁপে, কাঁচা কলা, শসা ও শীতকালীন সবজি শিম, লাউ, বাঁধা কপি, ধনিয়া পাতা, টমেটো, কাঁচা মরিচ, মুলাসহ কয়েক প্রকার সবজি। মানের প্রশ্নে পার্বত্যালাকার সবজির চাহিদা বেশি। এ কারণে নানা সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে লামা-আলীকদমের পাহাড়ে কৃষিপণ্য উৎপাদন করছেন। কিন্তু উৎপাদনোত্তর বিনিয়োগকারীরা ট্যাক্সের নামে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। একই পণ্যের উপর কয়েকদফা ট্যাক্স নিচ্ছে ইজাদাররা। পথে পথে চাঁদাবাজি, টুল আদায়, ভ্যাট, ট্যাক্স ইত্যাদির দায়ভার গুনতে হয় সাধারন ভোক্তারা। যদিও ব্যবসায়ীরা প্রতিনিয়তই বলেন, তারা সরকারকে ট্যাক্স দেন, বিভিন্ন পয়েন্টে চাঁদা দিয়ে থাকেন। সত্যিকার অর্থে এ সমস্ত যাবতীয় ব্যায়ের ভার উঠে ভোক্তাদের পকেটে, ব্যবসায়ীরা এর একটি কানাকড়িও বহন করেন না।
অথচ এনবিআর-এ বলা হয়েছে, কৃষিপণ্যের ট্যাক্স যে কোন এক স্থানে আদায় হবে। কিন্তু এসব কৃষিপণ্য পরিবহনকালে হাইওয়ে পুলিশসহ সড়ক মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে তল্লাশির নামে আর্থিক হয়রানি করা হচ্ছে। ইউনিয়ন, উপজেলা, পৌরসভা ও জেলা পরিষদের বাঁশকলে নিস্পেষনের শিকার রপ্তানিকারকরা/ পরিবহনকারীরা। প্রাকৃতিক জৈবগুনসমৃদ্ধ পাহাড়ের ঢালুতে বিষমুক্ত/ ক্যামিকেল বিহীন উৎপাদিত এসব কৃষিপন্যে মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশে যাচ্ছে। এর ফলে এই এলাকায় নানা জাতের সবজি চাষে আগ্রহী হচ্ছেন কৃষকরা। প্রযুক্তি ও উৎপাদন ব্যয়ের সাথে সঙ্গতি রেখে বাজারজাত নিশ্চয়তা প্রদান করে, প্রান্তিক কৃষকদেরকে সরাসরি বিনিয়োগ করছেন কিছু সংখ্যাক ক্ষুদ্রাদ্যাক্তরা। কিন্তু ট্যাক্স বিড়ম্বনা ও পরিবহনকালে নানা হয়রানির কারণে উদ্যোক্তরা আগ্রহ হারাচ্ছেন। অপরদিকে সম্ভাবনাময় কৃষি উৎপাদনে কাঙ্খিত উপার্জন বঞ্চিত হচ্ছেন প্রান্তিক কৃষক; নিয়মের তোয়াক্কা না করে সুযোগ নিচ্ছেন অন্যরা। এনবিআর ঘোষণা বাস্তবায়ন করে চলমান অন্যায় থেকে উত্তোরণে অর্থমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামণা করেছেন ভুক্তভোগিরা।
Monday, August 28, 2017
লামায় উপজেলা প্রশাসনের কোরবানীর বর্জ্য বস্থাপনা ও নিরাপত্তা বিষয়ক সভা সম্পন্ন
লামা উপজেলা পরিক্রমা: ধারাবাহিক প্রতিবেদন-০৪
**********************************
মাতামুহুরী নদীর অব্যাহত ভাঙ্গনে লামা পৌর এলাকা, চকরিয়াস্থ বমুবিলছড়ি ইউনিয়নের একাংশসহ কয়েকটি স্থান নদী গর্ভে বিলীন হয়েগেছে। ৫০কোটি টাকার স্থাপনা ভাঙ্গনের মুখে। ভাঙ্গনের সাথে পাল্লা দিয়ে প্রতি বছর পাহাড়ী ঢলে সৃষ্ট বন্যায় লামা পৌর এলাকা ও পার্শ্ববর্তী বমুবিলছড়ি ইউনিয়নের নিম্মাঞ্চল প্ল¬াবিত হয়ে কৃষি ফসলসহ সম্পদের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। নদী ভাঙ্গন ও বন্যার কবল থেকে রক্ষাকল্পে প্রয়োজন নদীর গতি পরিবর্তন। সমস্যা নিরসনে লামা-চকরিয়ার রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ বিশেষজ্ঞ দল পরিদর্শন করেন প্রস্তাবিত এলাকা।
মায়ানমার সীমান্তাদ্রি থেকে মূলত: মাতামুহুরীর উৎপত্তি। অসংখ্য পাহাড়ের কোলঁেঘষে আলীকদম ও লামার বুক ছিড়ে চকরিয়া হয়ে মহনায় পতিত হয় এ নদী। এ অঞ্চলে জনবসতি তথা সভ্যতার সূচনালগ্ন থেকে পাহাড়ের ঝর্ণাধারায় এ নদীর মিঠাপানি দু’কুলের অধিবাসিদের জন্য ছিল মাতৃ আশির্বাদ। মাতামুহুরী নদী নাম করণের পেছনে রয়েছে মূলত: নদী তীরবর্তী বাসিন্দাদের মাতৃস্নেহে আগলে রাখার ইতিহাস। এখনো অনেকে এ নদীতে মোম জা¦লিয়ে মানত করে, নানা আঙ্গিকে পূজা দিয়ে অকল্যাণ থেকে রক্ষার প্রার্থণা করেন। মানুষ নদীর উপকারিতা ভুলে, পরিবেশ দূষন করায় নাব্যতা হারিয়ে ক্ষিপ্ত নদী বর্ষাকালে দু’তীরের অধিবাসিদেরকে তলিয়ে দেয়াসহ গ্রাস করে নিচ্ছে ভুসম্পদ ও স্থাপনা সমুহ।
Saturday, August 26, 2017
লামা উপজেলা পরিক্রমা: ধারাবাহিক প্রতিবেদন-০৩
************* সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে আনুমানিক পনর শ্ ফুট সু-উঁচু পাহাড় চুড়ায় নির্মিত হয়েছে পর্যটন কেন্দ্রটি। যেখানে দাড়িয়ে কক্সবাজার কুতুব দিয়া মহেশখালীর বেলাভূমি মনমুগ্ধকর দৃশ্য দেখাযায়। পরিকল্পিতভাবে এটিকে সাজানো হলে “মিরিঞ্জা’’ পর্যটন কেন্দ্রটি দেখতে আসবে দেশবিদেশের অনেক দর্শনার্থী। চারদিকে সবুজ বেষ্ঠনি, মেঘমালা আর সারিসারি পর্বতরাজি, অদূরবর্তী বঙ্গোপসাগরের উত্তাল তরঙ্গের সাথে একাকার সবুজের ঢেউ। শীতের কুয়াশা, বর্ষায় নরম মেঘের চাদরে প্রকৃতি তার ভালবাসায় জড়িয়ে রাখে আগন্তকদেরকে। লামা শহর থেকে ৬ ও চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক থেকে ১২ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত প্রধান সড়কের পাশ ঘেসে এ না›ঁদনিক স্থানটি। মিরিঞ্জিা পর্যটন কেন্দ্রটি ২০১০ সালে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের আওতাভুক্ত ঘোষণা করেছিলেন সরকার। পর্যটন এলাকায় ঝুলন্ত সেতু ও লেক সৃষ্টি করার জন্য ৪ কোটি ৯৯ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। এ শিল্পের বিকাশে তৎকালীন উপজেলা প্রশাসনের উদাসিনতায় উপরন্ত প্রায় কোটি টাকা অপচয় করে বাঁধ নির্মাণের ব্যর্থ চেষ্টা করে। একই বছর মিরিঞ্জা পর্যটনের বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয় করা হয় অন্য একটি পর্যটন স্পটে।
Thursday, August 24, 2017
লামা উপজেলা পরিক্রমা: ধারাবাহিক প্রতিবেদন-০২
******************************
২০০১ সালে পরিসংখান অনুসারে দেখা যায়, লামা উপজেলার আয়তন ৬৭১.৮৪ বর্গকিলোমিটার। ভৌগলিক অবস্থানগত দিক দিয়ে উত্তরে- বান্দরবান সদর উপজেলা, দক্ষিণে-নাইক্ষ্যংছড়ি, পূর্বে- রুমা, থানছি, আলীকদম উপজেলা এবং পশ্চিমে-চকরিয়া উপজেলা। পার্বত্য এ উপজেলার প্রশাসনিক ও শহর এলাকাটি ছোট ছোট পাহাড় বেষ্ঠিত সমতল ভূমিতে অবস্থিত। একবারেই কাছের পাহাড় সমুহ দু:খিয়া- সুখিয়াকে বেদ করে বয়ে যাওয়া খরস্রোতা মাতামুহুরীর তীর ঘেষে পূর্ব দিকে উত্তর-দক্ষিণমূখী লম্বমান। একটি মাত্র নদী; উপজেলার বুক চিরে বয়ে যাওয়া মাতামুহুরী নদীর উৎসস্থল; আরকান সীমান্ত অদ্রিমালার কোল ঘেসে। এ নদী এঁকেবেঁকে পশ্চিমমূখী বাঁক নিয়ে বঙ্গোপসাগরে পতিত হয়েছে। এই উপজেলার ভূমি ঢাল পশ্চিম মূখী।
Wednesday, August 23, 2017
লামা উপজেলা পরিক্রমা: ধারাবাহিক প্রতিবেদন-০১
Tuesday, August 22, 2017
লামায় উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা সম্পন্ন
লামা উপজেলায় প্রাতিষ্ঠানিক মৎস্য চাষীদের মাঝে পোনা বিতরণ
লামায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তিনদিন ব্যাপী ফলদ ও বৃক্ষ মেলা উদ্বোধন
লামার কীংবদন্তি আলহাজ্ব মোঃ আলী মিয়ার ৭ম মৃত্যু বার্ষিকীতে শ্রদ্ধা নিবেদন
লামার কীংবদন্তি আলহাজ্ব মোঃ আলী মিয়ার ৭ম মৃত্যু বার্ষিকী আজ (২২ আগষ্ট)
লামা উপজেলা পরিষদের প্রথম চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মোঃ আলী মিয়ার ৭ম মৃত্যু বার্ষিকী আজ ২২ আগষ্ট । বান্দরবানের লামা উপজেলার প্রবীণ রাজনৈতিক, সামাজিক উন্নয়নের রুপকার আলহাজ্ব মো: আলী মিয়ার ৭ম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষ্যে আজ ২২ আগষ্ট সোমবার বাদে ফজর কবর জিয়ারত ও কোরআন খতমসহ পারিবারিক ও সামাজিকভাবে পালিত হচ্ছে দিনটি।
***********
বিরল জ্ঞানের অধিকারী নোয়াখালী জেলায় জম্ম নেয়া আলী মিয়ার পিতা জীবনান্বষনে বিটিশ শাষনামলে শিশু আলী মিয়াকে সাথে নিয়ে স্ব-পরিবারে ভারতের মুর্শিদাবাদে গিয়ে বসতিস্থাপন করেন। ১৯৬১ সালে ভারতের শাসক গোষ্ঠি কর্তৃক জাতিগত দাঙ্গায় বর্ণবৈষম্যের শিকার হয়ে ১৯৬২ সালের শেষের দিকে রামগড় মহকুমায় অবস্থান করেন। ৬০’র দশকে আলী মিয়ার নেতৃত্বে সরকারের পূর্নবাসনের আওতায় ২০০ উদ্বাস্ত পরিবারকে বান্দরবানের লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নে পাটায়।
Monday, August 21, 2017
লামায় প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের উপজেলা প্রশাসনের শুকনো খাবার বিতরণ
লামা উপজেলায় সাম্প্রতিক সময় বন্যা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুকনো খাবার বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন জনাব থোয়াইনু অং চৌধুরী, চেয়ারম্যান, উপজেলা পরিষদ, লামা, বান্দরবান পার্বত্য জেলা। উপজেলা নির্বাহী অফিসার, লামা, বান্দরবান পার্বত্য জেলা জনাব খিনওয়ান নু'র সভাপতিত্বে এ সময় লামা সদর ইউপি চেয়ারম্যান, ফাঁসিয়াখালী ইউপি চেয়ারম্যান, সরই ইউপি চেয়ারম্যানসহ ওয়ার্ড মেম্বার ও সুবিধাভোগীগণ উপস্থিত ছিলেন।
Saturday, August 19, 2017
লামা-আলীকদমে এক নারী উদ্যাক্তার এগিয়ে চলার গল্প...
Thursday, August 10, 2017
লামায় চাল আটকের ঘটনায় আলীকদম উপজেলা চেয়ারম্যানের বক্তব্যে চার ইউপি চেয়ারম্যানের সংবাদ সম্মেলন
কার্টেসিঃ মোহাম্মদ কামারুজ্জামান, সাংবাদিক, লামা, বান্দরবান পার্বত্য জেলা।
আলীকদম উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কর্তৃক মিথ্যা ও মানহানিকর বক্তব্য দিয়ে ‘বিভ্রান্তি’ সৃষ্টির অভিযোগে উপজেলার চার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা বৃহস্পতিবার বিকেলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। আলীকদম প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত এ সংবাদ সম্মেলেন লিখিত বক্তব্যে সদর ইউপি চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন বলেন, লামায় প্রশাসন কর্তৃক চাল আটকের ঘটনায় আলীকদম উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের দেয়া বক্তব্য উদ্দেশ্য প্রণোদিত, বানোয়াট ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার শামিল।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন চৈক্ষ্যং ইউপি চেয়ারম্যান ফেরদৌস রহমান, নয়াপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান ফোগ্য মার্মা ও কুরুকপাতা ইউপি চেয়ারম্যান ক্রাতপুং ম্রো।
উল্লেখ্য, বুধবার লামা উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক ১৮৪ বস্তা চাল আটকের ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংবাদ মাধ্যমে আলীকদম উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আবুল কালামের দেওয়া বক্তব্যের জেরে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। পরে জানা যায়, জব্দ করা চালগুলি সেনাবাহিনীর রেশনের বৈধ চাল।
ইউপি চেয়ারম্যানদের দাবী, ‘উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের বক্তব্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও বানোয়াট। গত ২০১৬-১৭ অর্থবছরে আলীকদম উপজেলায় বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচী (এডিপি) খাতে ১ কোটি ১১ লাখ বরাদ্দের অর্থ লুটপাটের বিরুদ্ধে সম্প্রতি জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন ইউপি চেয়ারম্যানরা। মনগড়া ও অস্তিত্বহীন সংগঠনের নামে প্রকল্প দেখিয়ে সরকারি অর্থ লুটপাটের প্রতিবাদ করায় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দিয়ে আমাদের মানহানি করার অপচেষ্টা করছেন’।
লিখিত বক্তব্যে চেয়ারম্যানরা জানান, গত বুধবার লামা বাজারের একটি চালের দোকান থেকে ১৮৪ বস্তা চাল জব্দ করেন লামা উপজেলা প্রশাসন। চাল জব্দের ঘটনাকে কেন্দ্র করে আলীকদম উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আবুল কালাম কোন প্রকার যাচাই-বাছাই না করেই সংবাদ মাধ্যমে জানায়, চালগুলি আলীকদমের বিভিন্ন ইউনিয়নের। বিতরণ না করে সুযোগ বুঝে সংশ্লিষ্টরা কালোবাজারে বিক্রয় করে দিয়েছে’।
তারা বলেন, বৃহস্পতিবার আলীকদম ইউএনও কার্যালয়ে সেনাবাহিনীর প্রতিনিধির উপস্থিতিতে তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে প্রমাণিত হয়, লামায় জব্দকৃত চালগুলি সেনাবাহিনীর রেশনের চাল ছিল। সেগুলি ভিজিডির চাল নয়। লামায় জব্দ করা চালগুলো সিদ্ধ; আর আলীকদমে যেসব ভিজিডির চাল বিতরণ করা হয়, তা হয় আতপ চাল। আলীকদমে ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরের সর্বশেষ বরাদ্দ গত জুন মাসের ভিজিডির চাল ইতোমধ্যেই সুষ্ঠুভাবে বিতরণ করা হয়েছে বলে সংবাদিক সম্মেলনে বলা হয়।