কার্টেসিঃ
মো. নুরুল করিম আরমান, সাংবাদিক, লামা, বান্দরবান
পার্বত্য জেলা।
............................................................................................
শুরু হয়েছে পাহাড়ে বসবাসরত বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব ‘ওয়াগ্যোয়েই পোয়ে বা প্রবারণা পুর্নিমা’। তিন দিনব্যাপী এ উৎসব ঘিরে বান্দরবানের লামা উপজেলার প্রত্যন্ত পাহাড়ি
পল্লীগুলোতে বুধবার সকাল থেকেই চলছে আনন্দের বন্যা।
জানা গেছে, বুধবার সকালে বৌদ্ধ বিহারে উপাসক-উপাসিকাগণের অষ্টমশীল ও বিশেষ প্রার্থনার
মধ্য দিয়ে শুরু হয় উৎসবের প্রথম দিন। পরে হয়েছে ছোয়াইং দান। সন্ধ্যায় শুরু হবে ফানুস
উড়ানো। এ সময় যুবকেরা নৃত্য-গীতে মেতে ওঠে।
এদিকে, উপজেলার হাটবাজারে
ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী তরুণ-তরুণীদের মাঝে ধুম পড়েছে কেনাকাটার। পাশাপাশি প্রশাসনের
পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা।এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কেন্দ্রীয়
বৌদ্ধ মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি ময়ইনু কারবারি বলেন, এটা
আমাদের ধর্মীয় উৎসব। তবে রোহিঙ্গা সংকটের কারণে গতবারের মত এবছর বড় আকারের কোনো
আয়োজন নেই।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার খিনওয়ান নু বলেন, উৎসব যথাযথভাবে পালনের জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বৌদ্ধ
বিহারগুলোতে প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও অনুদান প্রদান করা হয়েছে। দেয়া হয়েছে বাড়তি
নিরাপত্তা।
উল্লেখ্য, ‘ওয়াগ্যোয়েই পোয়ে’
মার্মা শব্দ। এর অর্থ উপবাসের সমাপ্তি। অন্য অধিবাসীরা একে “ওয়াহ” বলে থাকেন। বৌদ্ধ ধর্মালম্বীরা আষাঢ়ী পূর্ণিমা
থেকে আশ্বিনী পূর্ণিমা পর্যন্ত তিন মাস বর্ষব্রত (উপবাস) থাকার পর ধর্মীয় গুরুদের সম্মানে
এ বিশেষ উৎসবের আয়োজন করে। এই উৎসবই হলো ‘ওয়াইগ্যোয়েই পোয়ে’
উৎসব। মারমাদের পাশাপাশি বৌদ্ধ ধর্মালম্বী বড়ুয়া, চাকমা, তঞ্চঙ্গারাও এ উৎসবে যোগ দেয়।