Check PAGE RANK of Website pages Instantly

Check Page Rank of your Web site pages instantly:

This page rank checking tool is powered by PRChecker.info service

Tuesday, October 3, 2017

লামার প্রধান সড়কসহ অভ্যন্তরীণ রাস্তা-ঘাটের বেহাল অবস্থা!!!

কার্টেসিঃ মোহাম্মদ কামারুজ্জামান,সাংবাদিকলামাবান্দরবান পার্বত্য জেলা।
************************************
লামা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও রুপসিপাড়া সড়কের বেহাল অবস্থা। ছোট ছোট কালভার্ট ভেঙ্গে যাওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে পথ চলছে স্থানীয়রা। নিম্মমানের সামগ্রী ব্যবহার ও ধারণ ক্ষমতারিক্ত যানবাহন চলাচলের ফলে লামা সদর, রুপসিপাড়াসহ উপজেলার ৭ ইউনিয়নের অভ্যান্তরীন সড়কের বিভিন্ন অংশ ও কালভার্টগুলো ভেঙ্গে গিয়ে মরণ ফাঁদে রুপ নিয়েছে। রাস্তায় যান চলাচলে কোন নিয়ম-নীতি ও সংস্কারের উদ্যাগ নেই কর্তৃপক্ষের। টি,আর কাবিখা-কাবিটার অর্ধেক অর্থ সোলার প্যানেলে ব্যায় হওয়ায় গ্রামীণ রাস্তা ঘাট সংস্কার কাজ কমেছে আগের তুলনায়।
লামা-আলীকদম-ফাঁসিয়াখালী প্রধান সড়কসহ উপজেলার ৭ ইউনিয়নের অভ্যান্তরীন সড়ক ও কালভার্টগুলো ভেঙ্গে গেছে। প্রতিদিন শত শত মানুষ ঝুঁকি নিয়ে যানবাহনে যাতায়ত করছে। রোড্স এন্ড হাইয়ে ও এলজিইডি কর্তৃক নির্মিত বেশিরভাগ সড়কের বেহাল অবস্থা। উপজেলার সাথে জেলা শহরের একমাত্র অভ্যান্তরীণ যোগাযোগের মাধ্যম লামা-সুয়ালক সড়কের বিভিন্ন অংশে ভাঙ্গন-গর্তের সৃষ্টি হয়ে বেশ কিছু ব্রিজ কালভার্ট ভেঙ্গে ঝুঁকি বিরাজ করছে।
লামা-রুপসিপাড়া সড়কের অংহ্লাপাড়া ব্রিজের দু’শ্ ফুটের মধ্যে ২ বছর আগে করা একটি কালভার্ট ভেঙ্গে মৃত্যুকুপে পরিনত হয়েছে। ঝুঁকিপূর্নাবস্থায় এ সড়কে প্রতিনিয়ত অসংখ্য মটর বাইক, সিএনজি, জীফ, ট্রাক- পিকআপ যাত্রী ও উৎপাদিত কৃষিপণ্য, বিভিন্ন নির্মাণ সামগ্রী নিয়ে চলাচল করে। সড়কটির বিভিন্ন অংশে পাহাড়ের মাটি ধসে ও ভাঙ্গনের ফলে চলাচলে মারাত্মক ঝুঁকি নিতে হচ্ছে স্থানীয়দেরকে।
লামা সদর ইউনিয়ের ১ নং ওয়ার্ড লাইনঝিরি গ্রামের বিভিন্ন ছড়া-নালার উপর নির্মিত কালভার্টগুলো ভেঙ্গে গেছে। এর ফলে বিদ্যালয়গামি ছাত্র ও সাধারন পথচারিদের ভোগান্তি হচ্ছে। ইউনিয়নের অন্যান্য ওয়ার্ডেও একই চিত্র বিদ্যমান বলে স্থানীয়রা জানান।
ফাইতং ইউনিয়নের মূল সড়কসহ টি.আর.খাবিখা দ্বারা করা পাড়া কেন্দ্রিক রাস্তা ঘাট ভেঙ্গে গেছে। ওই ইউনিয়নে প্রায় ২৩টি ব্রিকফিল্ড-এ তৈরি ইট ও মালামাল পরিবহনের ফলে কার্পেটিং সড়কে খানা খন্দকের সৃষ্টি হয়েছে। অতিরিক্ত মাল বোঝায় ভারী যানবাহন চলার ফলে বর্ষায় কাদাপানিতে একাকার আর শীতে ধুলায় অন্ধকার থাকে এলাকাটি। স্থানীয়রা জানান, তারা চরম ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয়। ধুলাবালি ও ব্রিক ফিল্ডের ধূয়া নারী-শিশু ও বয়স্কদের শ্বাসকষ্ট প্রতিনিয়ত লেগেই থাকে।
ফাঁসিয়াখালী, আজিজ নগর ইউনিয়নের সড়কগুলো ১২ মাসই বালি ও পাথর আহরণকারীদের দখলে থাকে। ফলে রাস্তাঘাট-ব্রিজ কালভাট ভেঙ্গে জন দুর্ভোগ চরমাকার ধারণ করেছে। সরই ইউনয়নে কাঠভর্তি ভারী যানবাহন ও বালুর গাড়ির দখলে যায় রাস্তা ঘাট। বিগত বর্ষায় গজালিয়া ইউনিয়নের সড়ক সমুহ ভেঙ্গে চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সেখানকার বাসিন্দাদের।
জানাগেছে, এসব সড়ক সমুহে যানবাহন চলাচলে লোডিং আইন মানা হচ্ছেনা। অতিরিক্ত মালবোঝায় ট্রাক চলাচল ও বিগত ২০১৫ সালের প্রবল বর্ষন ২০১৭ সালের বর্ষন জনিত পরপর কয়েকদফা বন্যায় উপজেলার বিভিন্ন  রাস্তাঘাট ভেঙ্গে যায়।
জনপ্রতিনধিরা জানান, ঘরে ঘরে সোলার প্যানেল স্থাপন প্রকল্প বাস্তবায়নে সরকার টি,আর কাবিটা-কাবিখার ৫০% অর্থ ব্যায় করছে। এর ফলে ইউনিয়ন পরিষদগুলো চাহিদা অনুযায়ী আগেরমতো পর্যাপ্তভাবে রাস্তাঘাট সংস্কার করতে পারছেন না। এর ফলে বিগত বন্যায় ক্ষতি হওয়া গ্রামীণ রাস্তাঘাট সংস্কার বিহীন থেকে গেছে।
লামা উপজেলার রাস্তাঘাট সংস্কার, ভেঙ্গে যাওয়া ব্রিজ কালভার্ট নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মনযোগ আকর্ষণ করেছেন স্থানীয়রা।