Check PAGE RANK of Website pages Instantly

Check Page Rank of your Web site pages instantly:

This page rank checking tool is powered by PRChecker.info service

Tuesday, October 31, 2017

লামায় কৃষি বিভাগের ইঁদুর নিধন অভিযান'১৭ ও বীজ, রাসায়নিক সার বিতরণ সম্পন্ন

আজ লামা উপজেলায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে ইঁদুর নিধন অভিযান-২০১৭ উপলক্ষ্যে শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে জনাব থোয়াইনু অং চৌধুরী, চেয়ারম্যান, উপজেলা পরিষদ, লামা, বান্দরবান পার্বত্য জেলা ও সভাপতিত্ব করেন খিনওয়ান নু, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, লামা, বান্দরবান পার্বত্য জেলা।
উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে জনাব মোঃ মোস্তফা জামান, সম্মানিত সদস্য, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ মোঃ মাহবুবুর রহমান, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, উপজেলা কৃষি বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ উপজেলাস্থ সরকারী বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাগণ, কৃষিজীবী ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠান শেষে রবি/১৭-১৮ মৌসুমে ভূট্টা ও বিটি বেগুন উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় বিনামুল্যে বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরণ করা হয়।

Monday, October 30, 2017

লামায় কর্মজীবি ল্যাকটেটিং মাদার সহায়তা তহবিলের চেক বিতরণ ও হেল্থ ক্যাম্প উদ্বোধন

কার্টেসিঃ এম.বশিরুল আলম, সাংবাদিক, লামা, বান্দরবান পার্বত্যজেলা।
.............................................................

লামায় কর্মজীবি ল্যাকটেটিং মাদার সহায়তা তহবিলের শেষ কিস্তির চেক বিতরণ ও দুই দিন ব্যাপি হেল্থ ক্যাম্প ও উদ্বোধন হয়েছে।
সোমবার দুপুরে লামা উপজেলা প্রশাসন ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের আয়োজনে কর্মজীবি ল্যাকটেটিং মাদার সহায়তা তহবিল কর্মসূচী এর আওতায় ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে ভাতাভোগী মা ও সন্তানদের জন্য এ হেল্থ ক্যাম্প-এর আয়োজন করা হয়। এসময় তিন শত জন মাকে তিন হাজার টাকা করে চেক প্রধান করেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার খিন ওয়ান নু সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান থোয়াইনু অং চৌধুরী। অনুষ্ঠানে জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সুস্মিতা খীসার সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শারাবান তাহুরা, লামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাঃ জিয়াউল হক, লামা প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক মো. কামরুজ্জামান।

বক্তারা বলেন, সদাশয় সরকারের কর্মজীবি ল্যাকটেটিং মাদার সহায়তা প্রকল্পটি শিশুর যত্ন ও প্রাথমিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা রাখবে। নারীরা স্বাস্থ্য সম্পর্কে যত্নবান হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বক্তারা বলেন, একজন সুস্থ্য দুগ্ধ মা তার সন্তানকে শারিরীক ও মানসিক গঠনে সাহায্য করে। বাল্য বিবাহ রোধে সকল মাকে সচেতন হতে হবে।

Sunday, October 29, 2017

রংবিহীন ভাবনা:আমার শিশুকাল।

কার্টেসিঃ মোহাম্মদ কামারুজ্জামান, সাংবাদিক, লামা, বান্দরবান।
********************************************************
সময়টা ৭০ দশকের মাঝামাঝি হতে পারে। একদিন স্কুল ফাঁকি দিয়ে বড় খালার বাড়ি যাই। আমার সাথে আরো একজন ছিল। খালার জবাব দিহীতা এড়াতে সাথে থাকা বই খাতা, পেন্সিল-সিলেট তাদের পুকুর পাড়ের একটি বরই গাছের তলায় ছাঁয়ের মধ্যে পূতে রাখি। পাকা বরই (কুল) এর মৌসুম ছিল। দিনমান দুষ্টুমি শেষে বিকালে বাড়ি ফিরে আসি। পেট ব্যথার বাহানা দিয়ে সে সন্ধ্যায় কাচারিতে পড়তে যাইনি। সকালে স্কুলে যাওয়ার সময়ে বই খুঁজে আর পাচ্ছিলাম না। মনে পড়তে দৌড়তে লাগলাম খালার বাড়ির দিকে। ছাঁইয়ের স্তুপ হাতিয়ে বই খোঁজার দৃশ্য বড় খালা দেখেছিল। কিন্তু তা আমি বুঝতে পারিনি; ঘটনাচক্রে তা পরে বুঝেছি। রাতে হয়েছিল প্রচুর বিষ্টি; সূতরাং বইয়ের অবস্থা যা হওয়ার হয়েছে। সেদিন আর খালার বাড়িতে না থেকে তারই পাশে বড় পুপুর বাড়িতে আশ্রয় নিলাম। আর কি পরে মায়ের ধোলাই। মা যখন মারতেন দাদী এসে মারের হাত থেকে রক্ষা করতেন। আমি দাদীর অনেক বেশি আদর পেয়েছিলাম। এইতো মাত্র ক’দিন আগে সে বড় খালার মৃত্যু সংবাদ জেনেছি। হেমায়েত ভাই’র; খালার মেজো ছেলের ঢাকাস্থ রামপুরা সি ব্লকের বাসায় বার্ধক্যজনিত কারণে মারাযায়। আল্লাহপাক আমার খালাম্মাকে জান্নাত নসিব করুন.. আমিন। 
সময়ের ঢানায় ভর করে পার করেছি অনেকটা পথ পরিক্রমা।

Saturday, October 28, 2017

লামায় মৌচাকের সভাপতি আব্দু শুক্কুর, সাধারণ সম্পাদক মো. হানিফ নির্বাচিত!!!

সভাপতি আব্দু শুক্কুর, সাধারণ সম্পাদক মো. হানিফ!!!
লামায় মৌচাক কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লি: এর নির্বাচন সম্পন্ন।

কার্টেসিঃ মোহাম্মাদ রফিকুল ইসলাম, সাংবাদিক, লামা, বান্দরবান পার্বত্য জেলা।

বান্দরবানের সর্ববৃহৎ সমবায় সমিতি লামা মৌচাক কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লিমিটেড এর নবম ব্যবস্থাপনা পরিষদের নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা ও আনন্দঘন উৎসবমূখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে চেয়ার প্রতীক নিয়ে সর্বোচ্চ ১৫৭৬ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছে আব্দুর শুক্কুর এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী হারিকেন প্রতীক নিয়ে এ.এম ইমতিয়াজ পেয়েছেন ৮৪২ ভোট, মো. নুরুল ইসলাম ফরিদ ছাতা মার্কা প্রতীক নিয়ে  ৩৬ ভোট পেয়েছেন। সহ-সভাপতি পদে অন্যকোন প্রতিদ্বন্ধী না থাকায় বিনা প্রতিদ্বন্ধীতায় নির্বাচিত হয়েছে মোঃ ফরিদুল আলম।


অপরদিকে আনারস প্রতীক নিয়ে ১৪৪১ ভোট পেয়ে সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছে মোঃ হানিফ, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী মোঃ শফিউল আলম হাত পাখা প্রতীক নিয়ে ৫১৪ ভোট পেয়েছেন, মোঃ নাজিম উদ্দীন টেলিভিশন প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪৩৫ ভোট। মোঃ নুরুজ্জামান আম প্রতীক নিয়ে ১৫২৪ ভোট পেয়ে ।  ডিরেক্টর-১ পদে নির্বাচিত হয়েছেন, মোঃ মোজাম্মেল হক মই প্রতীক নিয়ে ১১৯৭ ভোট পেয়ে ডিরেক্টর-২ পদে নির্বাচিত হয়েছেন, মোঃ সুলতান আহম্মদ তালাচাবি প্রতীক নিয়ে ১০৬২ ভোট ডিরেক্টর-৩ পদে নির্বাচিত হয়েছে।

লামার পাহাড়ে কমলা চাষে সবুজ বিপ্লব!



কার্টেসিঃ নুরুল করিম আরমান, সাংবাদিকলামাবান্দরবান পার্বত্য জেলা।
 **************************************************************************************
অর্থনীতির ফুয়েল হিসেবে তো অনেক কিছুই আছে। বাংলাদেশের সোনালী আঁশ পাট কিংবা সাদা সোনা হিসেবে চিংড়ির সুনাম যথেষ্ট আছে। এগুলোই এখন অর্থনীতির চালিকা শক্তি হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। কিন্তু, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে কমলা যখন অর্থনীতির চালিকা শক্তি হয়, তখন অবাক হওয়াই স্বাভাবিক। বান্দরবানের কৃষকরা এখন সবুজ কমলা চাষেই মনোযোগী বেশি।
বান্দরবান জেলার পাহাড়গুলোতে কমলার চাষ অর্থনীতির নতুন বুনিয়াদ গড়ছে। আর্থিক সচ্ছলতার অপার সম্ভাবনা দেখে পাহাড়িদের পাশাপাশি বাঙালিরাও কমলা চাষে ঝুঁকছে। চলতি মৌসুমে জেলার ৭টি উপজেলায় ২ হাজার ৮০ হেক্টর পাহাড়ি জমিতে কমলার চাষ হয়েছে। তবে পচনশীল এই ফলের যথাযথ সংরক্ষণাগার না থাকায় তারা আর্থিক ঝুকিতেও রয়েছেন চাষীরা। পাহাড়ে দিন দিন এ কমলা চাষের পরিধি বৃদ্ধি পাচ্ছে। কদরও বাড়ছে কমলার। এখানকার পাহাড়ের মাটি, আবহাওয়া কমলা চাষের উপযোগি।

Wednesday, October 18, 2017

সফলতার এক বছর পার করলেন লামার ইউএনও খিনওয়ান নু...

কার্টেসিঃ মোহাম্মদ কামারুজ্জামান,সাংবাদিকলামাবান্দরবান পার্বত্য জেলা।
************************************
লামায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে যোগদানের পর সফলতার সাথে এক বছর পার করলেন খিনওয়ান নু। নারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে তিনি এই উপজেলায় ২য় ব্যাক্তি। এর আগে সামচুন নাহান সুমি নামের আরেকজন স্বপ্ন কণ্যা নির্বাহী অফিসার হিসেব ১৭ নভেম্বর/১৩ থেকে ২০ জুন/১৫ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেছিলেন পাহাড়ি এই উপজেলায়।

খিনওয়ান নু ২৭তম ব্যাচে বি.সি.এস ক্যাডার (প্রশাসন) লাভ করেন। এর আগে তিনি বান্দরবান সদরে সহকারি কমিশনার ভুমি’র দায়িত্ব পালন করেছিলেন। মেধায় মনননে একজন সু-দক্ষ সরকারি প্রশাসনের ক্যাডার অফিসার হিসেবে মিসেস খিনওয়ান-নু-এর প্রসংশা রয়েছে।
গত ১৩ অক্টোবর/১৬ এই স্বপ্ন কণ্যা লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে যোগদান করেন।
অত্যান্ত সু-দক্ষ প্রশাসনিক সমন্বয়, বিচক্ষনতার সাথে সদাশয় সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড তদারকি করছেন। যৌতুক-বাল্যবিবাহ রোধ, বাজার মনিটরিং, মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে অবৈধ পাথর, বালু উত্তোলন-পাচার নিরোধ, পাহাড় কর্তন ইভটিজিং প্রতিরোধ, দুর্ঘটনা এড়াতে পরিবহন সেক্টরের লোকদেরকে কর্মশালার মাধ্যমে সচেতনতা বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন জাতীয় আন্তর্জাতিক দিবসগুলো যথাযথ মর্যাদায় পালন করছেন সমাজের এই স্বপ্ন কণ্যা।

সাম্প্রতিক বাস্তবতায় এলাকায় সম্প্রীতি সু-রক্ষায় ইউনিয়ন ওয়ার্ড পর্যায়ে সম্প্রীতি সু-রক্ষা কমিটি গঠনপূর্বক স্থানীয়দের মাঝে সম্প্রীতি সু-দৃড় করণের অব্যাহত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে কাজ করছেন। ত্রাণ কার্যক্রম তদারকি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, মৎস্য, সমাজসেবা বিভাগ, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার মাধ্যমে নারী-শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ ও উন্নয়ন, একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পসহ সরকারের সকল সেবা মূলক বিষয়গুলো নিবিড় তদারকি করছেন নারী সমাজের প্রেরণাদানকারী এই ইউএনও।

সব মিলিয়ে একটি রাজনৈতিক স্থীতিশীলতার মধ্যদিয়ে এগিয়ে চলছে লামা উপজেলা। লামাবাসী এই স্বপ্ন কণ্যা ইউএনওর দীর্ঘায়ু ও সফলতা কামণা করেছেন। স্থানীয়রা মনে করেন এই ইউএনও’র দায়িত্ব পালনকালে একটি কেন্দ্রীয় শহীদ মিণার প্রতিষ্ঠিত হবে এই উপজেলায়। যা তিনি যোগদানের কয়েকমাস পরে স্থানীয়দেরকে আশ্বস্থ করেছিলেন।

Tuesday, October 17, 2017

লামায় ৫০ হাজার লিটার মদ জব্দ!!!

কার্টেসিঃ মোঃ নুরুল করিম আরমান, সাংবাদিকলামাবান্দরবান পার্বত্য জেলা।
************************************
বান্দরবানের লামা উপজেলার একটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠি পাড়ায় অভিযান চালিয়ে ৫০ হাজার লিটার দেশীয় তৈরি চোলাই মদ ও মদ তৈরির উপকরণ জব্দ করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। 
মঙ্গলবার উপজেলার আজিজনগর বাজার সংলগ্ন মারমা পাড়া থেকে এসব জব্দ করা হয়। এ সময় মিশু মারমা (৩৫) নামের এক নারীকে আটকের পর জরিমানা করে ভ্রাম্যমান আদালত। 
সূত্র জানায়, আজিজনগর বাজার সংলগ্ন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠি মার্মা পাড়ায় বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে বিপুল পরিমাণ দেশীয় চোলাই মদ তৈরি ও পাচারের জন্য মজুত করা হয়েছে’ এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চট্টগ্রামের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অভিযান চালান। এই অভিযানে নেতৃত্ব দেন উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সায়েদ ইকবাল। মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত একটানা অভিযান চালায় দলটি। 
সূত্রটি আরো জানায়, এ সময় পাড়ার বিভিন্ন ঘর থেকে বাণিজ্যিকভাবে তৈরিকৃত ৫০ হাজার লিটার মদ, উপকরণ জব্দ করেন। পাশাপাশি মদ তৈরি ও পাচারের সাথে জড়িত পাড়ার বাসিন্দা ইয়াতে মারমার স্ত্রী শিশু মারমাকে আটক করে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন। পরে উদ্ধারকৃত চোলাই মদ ও মদ তৈরির উপকরণ সমূহ প্রকাশ্যে ধ্বংস করা হয়। চট্টগ্রাম মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক ফজলুর রহমান, উপ-পরিচালক একেএম শওকত ইসলাম, শামীম আহমেদ, সহকারী পরিচালক জিল্লুর রহমান ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অভিযানে অংশ নেয়। 
লামা উপজেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সায়েদ ইকবাল ৫০ হাজার লিটার চোলাই মদসহ উপকরণ জব্দ ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা করার সত্যতা নিশ্চিত করেন।

লামায় জাতীয় কণ্যাশিশু দিবস পালিত...



কার্টেসিঃ মোহাম্মদ কামারুজ্জামান,সাংবাদিকলামাবান্দরবান পার্বত্য জেলা।
 *****************************************************
লামা জাতীয় কণ্যা শিশু দিবস পালিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ১০ টায়কণ্যাশিশুর জাগরণ আনবে দেশে উন্নয়নএই স্লোগানকে প্রতিপাদ্য করে বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী ও স্থানীয়দের সমন্বয়ে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালি ও শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়।
লামা উপজেলা প্রশাসন ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর কর্তৃক আয়োজিত দিবসের কর্মসূচীর অংশ হিসেবে র‌্যালিতে নেতৃত্বদেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার খিনওয়ানু। 
এতে উপজেলা চেয়ারম্যান থোয়াইনু অং চৌধুরী, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সুস্মিতা খিসা, নারী ফোরামে নেত্রী উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শরাবান তহুরাসহ বিভিন্ন বিভাগীয় প্রধান ও সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
র‌্যালি শেষে এক আলোচনা সভায় উপজেলা চেয়ারম্যান থোয়াইনু অং চৌধুরী বলেন, পুরুষ শাষিত সমাজ ব্যবস্থায় কণ্যাশিশুরা নারীর ন্যায় নানাভাবে শোষনের শিকার। সরকার এই বাস্তব নির্মমতা থেকে বেরকরে আনতে, কণ্যা শিশুদের অনুকুল পরিবেশ সৃষ্টিতে কাজ করছেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার খিনওয়ান নু বলেন, সরকার নারী বান্ধব পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে কণ্যা শিশুদের সাভাবিক বিকাশে কাজ করছেন।
উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সুস্মিতা খিসা বলেন, নারী ক্ষতায়নের প্রথম দাফ কণ্যাশিশুদের মানসিক বিকাশে সমোচিত প্রয়াস নিয়েছেন সরকার। 
মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মাধ্যমে দেশের নারী সমাজকে উন্নয়নের কাতারে যুক্ত করতে নারী বান্ধব পরিবেশ তৈরি করেছেন। বাল্য বিবাহ রোধে কাজ করে কণ্যা শিশুদের সাভাবিক বিকাশ নিশ্চিত করার পাশাপাশি তাদের অনুকুল অবয়ব গড়ে তুলতে সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টির জন্য ব্যাপক প্রয়াস অব্যাহত রেখেছে বর্তমান সরকারের মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

Friday, October 13, 2017

লামায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বাল্য বিবাহ বন্ধ, বর কনে পরিবারকে জরিমানা

কার্টেসিঃ মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, সাংবাদিকলামাবান্দরবান পার্বত্য জেলা।
************************************
কনের বয়স ১২। বাড়ি লামা উপজেলার সদর ইউনিয়নের বৈল্ল্যারচর এলাকায়। কনে লামার পার্শ্ববর্তী উপজেলা লোহাগাড়ার পুটিবিলা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ট শ্রেণীর ছাত্রী। অপরদিকে বর আব্বাস মিয়া (১৬) একই ইউনিয়নের চিউনি পাড়া এলাকার আব্দুল মজিদ ও হামিদা বেগমের ছেলে। দুই পরিবারের সম্মতিতে বিবাহ ঠিক হয়। শুক্রবার দুপুরে মেয়ের বাড়িতে সামাজিক ভাবে অনুষ্ঠান করে কনে তুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। 
উক্ত বাল্য বিবাহ সম্পাদনের বিষয়টি জানতে পেরে লামা উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) সায়েদ ইকবাল লামা থানা পুলিশ নিয়ে শুক্রবার বেলা ১১টায় মেয়ের বাড়িতে গিয়ে উপস্থিত হয়। বিবাহের সকল প্রস্তুতি দেখে উভয় পরিবারের অভিভাবকদের ডেকে বিবাহ বন্ধ করেন।
স্থানীয় ইউপি মেম্বার আবুল কাসেম বলেন, আমরা উভয় পরিবারকে নিষেধ করেছিলাম। তারা কারো কথা না শুনে বাল্য বিবাহ দিতে সব প্রস্তুতি গ্রহণ করে। প্রশাসনের দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ায় একটি মেয়ে বাল্য বিবাহের হাত থেকে রক্ষা পেল। লামা উপজেলা প্রশাসন ও লামা থানাকে ধন্যবাদ জানাই। 
উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) সায়েদ ইকবাল সাংবাদিককে বলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অনুমতিক্রমে আমরা যাই। বাল্য বিবাহটি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে বন্ধ করা হয়। বর কনে পরিবারের অভিভাবকের কাছ থেকে আর বাল্য বিবাহ দেবেনা এমন অঙ্গীকারনামা গ্রহণ করি। বাল্য বিবাহ সম্পাদনের মত অন্যায় করায় উভয় পরিবারকে মোবাইল কোট আইনে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

লামায় আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত।

বিশেষ কৃতজ্ঞতা: তথ্য ও ছবি: উথোয়াইমার্মা জয়, উদীয়মান ব্লগার, লামা, বান্দরবান পার্বত্য জেলা।
***********************************
বান্দরবান লামায় নানা কর্মসূচি মধ্যে দিয়ে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত হয়েছে। “দুর্যোগ সহনীয় আবাস গড়ি, নিরাপদে বাস করি” এবারের প্রতিপাদ্যের তাৎপর্য অনুধাবন করে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে আজ শুক্রবার সকাল ১০টায় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সায়েদ ইকবাল নেতৃত্বে উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালী বের হয়। র‌্যালীটি বাজারে প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে লামা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়।

এরপর লামা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী মিলনায়তন হলরুমে প্রধান শিক্ষক বিথী তঞ্চঙ্গ্যা সভাপতিত্বে দিবসটির উপর আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লামা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সায়েদ ইকবাল। সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান, লামা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মোজাম্মেল হোসেন, লামা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কর্মকর্তা শফিউল আলম, লামা থানা ইনচার্জ প্রতিনিধি ও সাংবাদিক সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী, সরকারি-বেসরকারি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারিগণ র‌্যালি ও আলোচনা সভায় অংশ গ্রহন করেন।

এ সময় প্রধান অতিথি বলেন, পাহাড়ে গাছ না কেঁটে সমতল জায়গা বা অন্যত্র স্থানে আমাদের সকলের আবাস গড়ে তুলতে হবে। প্রাক দুর্যোগ, দুর্যোগকালীন ও দুর্যোগ পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য আমাদের সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। বিভিন্ন দুর্যোগের বৈশিষ্ট্য, ক্ষয়ক্ষতি ও এর প্রভাব সম্পর্কে আমাদের সম্যক জ্ঞান রাখতে হবে এবং সে মোতাবেক জীবনযাত্রায় পরিবর্তন ও প্রতিফলন ঘটাতে হবে। 

আলোচনা সভা শেষে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস উপলক্ষে চিত্রাংকন প্রতিযোগীতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। সবশেষে লামায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা অগ্নিনির্বাপণসহ দুর্যোগ প্রতিরোধে মহড়া প্রদর্শনী করে দিবসটির গুরুত্ব তুলে ধরে। সার্বিক সহযোগিতায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর ও সেপলিং প্রকল্প।

Thursday, October 12, 2017

লামায় শিশুদের মৌসুমী প্রতিযোগিতা সম্পন্ন

বিশেষ কৃতজ্ঞতা: তথ্য ও ছবি: উথোয়াই মার্মা জয়, উদীয়মান ব্লগার, লামা, বান্দরবান পার্বত্য জেলা।
*************************************
লামায় উপজেলা শিশুদের মৌসুমি প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। বাংলাদেশ শিশু একাডেমির উদ্যোগে প্রাথমিক-মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের নিয়ে এই আয়োজন করা হয়।বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় উপজেলা পরিষদ হলরুমে জ্ঞান জিজ্ঞাসা, উপস্থিত বির্তক, দেশাত্মবোধক জারিগান ও নৃত্য প্রতিযোগিতা মধ্য দিয়ে এ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়।

বিকালে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সায়েদ ইকবাল সভাপতিতে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান(মহিলা) শারাবান তহুরা, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান, প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার যতিন্দ্র মোহন মন্ডল, জনাব মোঃ মোহায়মেনু, সহকারী প্রোগ্রামার(আইসিটি), একাডেমিক সুপারভাইজার রাশেদুল ইসলাম, রোরাল ডেভেলপম্যান্ট বোর্ডে সমন্বয়ক গোপাল চক্রবর্তী, লামামুখ উচ্চ বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক আবদুর শুক্কুর। অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন, সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আশীষ কুমার মহাজন।

অনুষ্ঠানের বিজয়ীদেরকে আগামী ১৬ অক্টোবরে জেলা পর্যায়ে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহন করানো হবে।

Saturday, October 7, 2017

লামায় বীর মুক্তিযোদ্ধা অর্জুন চন্দ্র শীলের মহা প্রয়াণ!!!

কার্টেসিঃ মোহাম্মদ কামারুজ্জামান,সাংবাদিকলামাবান্দরবান পার্বত্য জেলা।
************************************
************************************
লামা উপজেলার বীরমুক্তিযোদ্ধা অর্জুন চন্দ্র শীল  আর নেই। শনিবার বিকাল ৪:২০মিনেটে হ্নদযন্ত্র বন্ধ হয়ে লামা স্বাস্থ্য কন্দ্রের জরুরী বিভাগে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
**
১৯৭১ সালের রণাঙ্গণের এই বীর সেনানি লামা পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ড হাসপাতালপাড়ার বাসিন্দা। মৃত্যকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। পারবিারিক সূত্রে জানাগেছে, তিনি বেশ কয়েক মাস ধরে শারিরীকভাবে অসুস্থ্য ছিলেন। বিভিন্ন জায়গায় উন্নত চিকিৎসাও নেন তিনি। শনিবার বিকালে বুকের ব্যাথা অনুবব করে নিজেই হেটে লামা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যান। সেখানে জরুরী বিভাগে ডাক্তার তার প্রেসার পরীক্ষা-নিরিক্ষা করতেই কয়েক মিনিটের মধ্যে তিনি ধরার মায়া ত্যাগ করেন।
**
দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নিয়ে ১৯৭১ সালে পাক হানাদার বাহিনীর সাথে লড়েছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা অর্জন চন্দ্র শীল। জীবনের প্রায় সময়টুকু সমাজ সংসারে বিলিয়ে দিয়েছেন তিনি। পরিবার-পারিপাশ্বিক নিষ্ঠুর বাস্তবতায় জীবন সায়হ্নে এই বীর মুক্তিযোদ্ধার বুকে এসে ভর করে এক যন্ত্রণার পাথর খন্ড। অবশেষে অব্যাক্ত কষ্টের গল্প বুকে চেপে নিরবে অভিমানে চলে গেলেন সমাজ-সংসার ছেড়ে না ফেরার দেশে।
**
শনিবার মৃত্যুজনিত কারণে শাস্ত্রগতভাবে আজ রাতে তাঁর সৎকার সম্পন্ন করা হবে বলে জানাগেছে। শোকাহত পরিবারের কারো নিকট সৎকার সংক্রান্ত কোন সঠিক সময় ও তথ্য পাওয়া যায়নি। একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তার শেষকৃত্যানুষ্ঠান হবে বলে প্রশান সূত্রে জানাগেছে।
**
লামা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সকল সদস্য মুক্তিযোদ্ধা অর্জুন চন্দ্র শীলের মহা প্রয়ানে শোক প্রকাশ করেছে

Thursday, October 5, 2017

লামায় প্রাচীন জনবসতিসমূহ মাতামুহুরী নদী ও লামা খালের ভাঙ্গনে বিলীন হওয়ার আশংকা!!!



কার্টেসিঃ মোহাম্মদ কামারুজ্জামান,সাংবাদিক, লামা, বান্দরবান পার্বত্য জেলা।
***************************************************************
লামা উপজেলায় মাতামুহুরী নদী ও শাখা নদীর ভাঙ্গনে বিলীন হয়ে গেছে অনেক ঘরবাড়ি, ফসলি জমি, জনবসতি। ৩০ বছরে লামা খালের তীব্র স্রোতে তলিয়ে গেছে একটি প্রাচীন জনপদ, ভাঙ্গনের মুখে রয়েছে একটি গার্ডার ব্রিজসহ বহু বসতি ও দোকান পাট।
লামা উপজেলার বিভিন্ন স্থানে নদীর ভাঙ্গনে বসত ঘর, দোকান পাট, ফসলি জমি বিলিন হয়ে গেছে। গত ৩৫ বছরে দরদরী মৌজায় লামা খালের উত্তর তীরে গড়ে উঠা একটি বাঙ্গালী পাড়ার ৯০% তলিয়ে গেছে খালের গর্ভে। কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ প্রকল্প স্থাপনের ফলে ৬০’র দশকে তৎকালীন সরকারের পূনর্বাসন-এর আওতায় গড়ে উঠেছিল এই পাড়াটি। পাড়ার একাংশের নাম ইব্রাহীম লিডারপাড়া, অপর অংশ হৃদয় মাষ্টার পাড়া। স্থানীয় বান্দিারা জানায়, বিগত ৩০/৩৫ বছরে লামা খালের তীব্র স্রোতে উত্তর তীরের কয়েকশো ফুট জনবসতি ও বানিজ্যিক এলাকা খালে তলিয়ে যায়।

লামায় ঘরে ঘরে ‘ওয়াগ্যোয়েই পোয়ে’ উৎসবের আনন্দ...



কার্টেসিঃ মো. নুরুল করিম আরমান, সাংবাদিক, লামা, বান্দরবান পার্বত্য জেলা।
............................................................................................ 
শুরু হয়েছে পাহাড়ে বসবাসরত বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব ওয়াগ্যোয়েই পোয়ে বা প্রবারণা পুর্নিমা। তিন দিনব্যাপী এ উৎসব ঘিরে বান্দরবানের লামা উপজেলার প্রত্যন্ত পাহাড়ি পল্লীগুলোতে বুধবার সকাল থেকেই চলছে আনন্দের বন্যা।
জানা গেছে, বুধবার সকালে বৌদ্ধ বিহারে উপাসক-উপাসিকাগণের অষ্টমশীল ও বিশেষ প্রার্থনার মধ্য দিয়ে শুরু হয় উৎসবের প্রথম দিন। পরে হয়েছে ছোয়াইং দান। সন্ধ্যায় শুরু হবে ফানুস উড়ানো। এ সময় যুবকেরা নৃত্য-গীতে মেতে ওঠে।