অগ্রযাত্রার ত্রিশ বছর পূর্ণ হচ্ছে “লামা মাতামুহুরী
ডিগ্রি কলেজ”। চড়াই উৎরায় নানা প্রতিকুল পরিস্থিতির মোকাবেলা করে সফলতার তিন দশকে
পদার্পণ করছে। ১৯৮৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এ কলেজটি। ২০১৬ সালে কলেজটি সরকারি ঘোষণা
হওয়ায় স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়েছে এলাকাবাসীর।
The Green city surrounded by natural beauty and cool green. LAMA is ethnically Rich in unlimited natural resources. There are numerous small spiral wavy hills and mountains, flowing rivers glide. The combination of beautiful scenery, rich and varied cultural inheritance Lama, just as the artist's paintings on canvas. In this region, each of events is general activity, education, development, socioeconomic and political issues and also daily news and views are published on news channel.
Check PAGE RANK of Website pages Instantly
Check Page Rank of your Web site pages instantly: |
This page rank checking tool is powered by PRChecker.info service |
Monday, February 27, 2017
Sunday, February 26, 2017
একটি বাড়ি একটি খামার (তৃতীয় সংশোধিত) প্রকল্পে জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি
৪৮৪৩ জন
নিয়োগ দেবে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ
স্থানীয়
সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের অধীন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের
অধীনে একটি বাড়ি একটি খামার (তৃতীয় সংশোধিত) প্রকল্পে জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি
প্রকাশিত হয়েছে। সাত ধরনের পদে চার হাজার ৮৪৩ জনকে এই অস্থায়ী নিয়োগ দেওয়া হবে।
Wednesday, February 22, 2017
চলতি সপ্তাহে সরকারি চাকুরীর বিজ্ঞাপন
চলতি সপ্তাহে সরকারি -বেসরকারী বাছাই করা কিছু চাকুরীর বিজ্ঞাপন: Jobs in Bangladesh
BRAC NGO Job Circular
লামায় যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপিত
মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০১৭ উপলক্ষ্যে প্রভাত ফেরী,
কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পন, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক ও পুরস্কার
বিতরণী অনুষ্ঠান সফলভাবে উদযাপন করা হয়। দিবসে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা,
বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের
কর্মকর্তা-কর্মচারী, বীরমুক্তিযোদ্ধা ও গন্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত
ছিলেন।
মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বান্দরবান লামায় যথাযোগ্য
মর্যাদায় উদযাপিত হয়।
Saturday, February 18, 2017
Digital Bangladesh: Dreams and reality
Digital Bangladesh is one among the nation's dreams, then special stress is given on the applying of digital technologies to understand Vision 2021, that we have a tendency to ordinarily decision Digital Bangladesh.
Friday, February 17, 2017
লামায় গভীর রাতে পাচারকালে পুলিশি অভিযানে পাথরের ট্রাক জব্দ ও জরিমানা
লামায় রাতে আধাঁরে অবৈধ পাথর পাচারকালে পাথর বোঝায় ট্রাক জব্দ করেছে লামা থানা পুলিশ। পরে জব্দকৃত পাথর নিলামে দিয়ে ট্রাক, ড্রাইভার ও গাড়ীর মালিককে মোবাইল কোর্ট আইনে ৩২ হাজার টাকা জরিামানা করেন লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খিন ওয়ান নু।
জানা গেছে, লামা থানার পুলিশ নিয়মিত রাস্তা ডিউটির সময় বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টায় লামা-চকরিয়া সড়কের কবিরার দোকান নামক স্থানে পাথর বোঝায় ট্রাক (ঢাকা মেট্রো-ট ১১-৩১১২) জব্দ করে। এই সময় পাথরের লোকজন পাথর পাচারের কোন বৈধ কাগজপত্র দেখাতে না পারায় পুলিশ গাড়ীটি জব্দ করে নিয়ে আসে।
পরে লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খিন ওয়ান নু মোটরযান আইন ১৯৮৩ এর ১৩৮ ধারায় ড্রাইভারকে ২ হাজার, অবৈধ পাথর পাচার ও বহনের দায়ে গাড়ীর মালিককে ১০ হাজার, জব্দকৃত পাথর নিলাম দিয়ে ১০ হাজার ৭১০ টাকা ও ফিটনেস বিহীর গাড়ীর জন্য ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
বিশেষ
কৃতজ্ঞতা: তথ্য ও ছবি: মোহাম্মদরফিকুল ইসলাম, লামা, বান্দরবান পার্বত্য জেলা।
অবহেলায় ফুটে থাকা পাহাড়ী ফুল:লামায় কোয়ান্টাম স্কুল
অবহেলায় ফুটে থাকা পাহাড়ী ফুল:লামায় কোয়ান্টাম স্কুল
বান্দরবানের লামা উপজেলা সদর থেকে ২৬ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত সরই ইউনিয়ন। সেখানের পাগলী খালের আগায় পাহাড়, ঝিরি, ছায়াঘন বনবনানী পরিবেষ্টিত অসংখ্য বন্য পশুপাখির বিচিত্র ডাকে মুখরিত নির্জন স্থানে প্রতিষ্ঠিত হয় ‘কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান। ১৯৮৯ সনে আধ্যাত্মিক পুরুষ ‘গুরুজী শহীদ আল বোখারী মহাজাতক’ এর দুঃসাহসী ও ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এটি প্রতিষ্ঠার পর প্রত্যন্ত ও দুর্গম পাহাড়ের ভাঁজে-ভাঁজে যেন বেজে উঠে অন্য আরেক রোমাঞ্চকর জেগে ওঠার উচ্চসিত শাশ্বত রাগীনির অমোগ সুর-মূর্ছনা।
বর্তমানে এ প্রতিষ্ঠানের প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখার জন্য দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে দলে দলে ভ্রমণপিপাসুরা আসা যাওয়া করেন। পাহাড়ের নির্জন স্থব্ধতার মিছিলের সাথে একাত্ম হয়ে যায় মৌন-মহান অন্তর্দর্শন অন্বেষার মেডিটেশন-ধ্যান কর্মসূচি। আধ্যাত্মিক সাধনার স্থান হিসেবে গড়ে ওঠার কারণে নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় ‘বোধিছড়া’।
তারই ফাঁকে গুরুজী প্রত্যক্ষ করলেন, পাহাড়ের অরণ্যচারী সুবিধাবঞ্চিত ও পিছিয়ে পড়া আদিবাসী গোষ্ঠীসহ বাঙ্গালি সন্তানদের দুর্বিসহ প্রাকৃতিক জীবনযাপনের অমানবিক করুণ পরিণতি। তিনি উতলা হয়ে উঠলেন; কি করে তাদের জীবনমানের বৈপ্লবিক উন্নয়ন সাধন করা যায়। তিনি বুঝতে পারলেন, একমাত্র শিক্ষার অভাবেই পাহাড়ে বসবাসকারী মানুষগুলোর এই করুণ পরিণতি রোখা সম্ভব। আধুনিক চিন্তাচেতনায় এদেরকে উজ্জীবিত করতে হলে প্রয়োজন শিক্ষার পাদপ্রদীপে নিয়ে আসা। গুরুজীর এই আগ্রহ বাস্তবায়নের কাজে তাঁর হাজারো সামর্থ্যবান ও দানশীল অনুসারীদের একাত্ম হতে বেশি সময় লাগেনি। সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয় ‘কোয়ান্টাম কসমো স্কুল এন্ড কলেজ’।
কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন সূত্রে জানা যায়, ৫০জন নিষ্ঠাবান শিক্ষকের পরিচালনায় এবং সেই সাথে আরো ৭৮জন তত্ত্বাবধায়কের নিরলস প্রচেষ্টায় ‘কোয়ান্টাম কসমো স্কুল এন্ড কলেজ’ এ নার্সারি থেকে এসএসসি পর্যন্ত প্রায় ১০০০জন শিক্ষার্থী আলোর পথে ধাপে ধাপে এগিয়ে চলছে। তাদের খাওয়া, পড়া ও থাকা সম্পূর্ণ ফ্রি। এতে করে স্থানীয় পাহাড়ী সম্প্রদায় শিক্ষা দিক্ষায় আগের তুলনায় অনেক এগিয়ে।
জেলার লামা, আলীকদম, নাইক্ষ্যংছড়ি, রুমা, রোয়াংছড়ি, থানচি এবং সদর উপজেলার অনাথ এবং শিক্ষাবঞ্চিত শিশু-কিশোরদের স্বাস্থ্য পরীক্ষাসহ যাবতীয় পরীক্ষা শেষে মেধার ভিত্তিতে ভর্তি করা হয় এখানে। অন্যান্য অবকাঠামো শিশু পার্ক, লাইব্রেরি, আবাসস্থল, হাসপাতাল, মিনি চিড়িয়াখানা, ছোট ছোট অসংখ্য কটেজসহ বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে বাকি জমিগুলোতে। কোয়ান্টামে শিক্ষার্থী এবং শিক্ষক ছাড়াও কোয়ান্টাম চিকিৎসক, স্বাস্থ্য সেবিকাসহ বিভিন্ন কাজের কর্মকতা-কর্মচারী রয়েছে প্রায় দুশ জন।
কোয়ান্টাম কসমো স্কুল এন্ড কলেজের তত্ত্বাবধায়ক সালেহ আহামদ বলেন, এলাকার ১৭ টি জাতিগোষ্ঠীর ৬টি ধর্মের ১০০০ জন আবাসিক ছাত্রের জন্য ৯টি আবাসিক হল, ২টি অডিটোরিয়াম, ২টি লাইব্রেরি, ৩টি খেলার মাঠ ও নানা আয়োজনে সমৃদ্ধ ২টি শিশু পার্ক রয়েছে। এখানে দেশের প্রচলিত শিক্ষার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের অফুরন্ত সুপ্ত প্রতিভার সর্বতোমুখী বিকাশ সাধনে লক্ষে মেডিটেশন নৈতিক শিক্ষা কার্যক্রম, চারু ও কারুকলা, সংগীত, নৃত্যকলা, খো খো, হ্যান্ডবল, কারাতে, ইয়াহু (ম্যারাথন ও মিনি) এবং পাহাড়ী গোষ্ঠীসমূহের সংস্কৃতি চর্চা কার্যক্রম প্রভৃতি বিষয়ে নিয়মিত প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।
ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষাক্ষেত্রে সাফল্য তুলে ধরে তত্ত্বাবধায়ক সালেহ আহামদ জানান, গত শিক্ষাবর্ষে পিএসসিতে ৩৯জন শিক্ষার্থীর মধ্যে শতভাগ উত্তীর্ণ হয়। তম্মধ্যে ২৯ জন- এ+, ১০ জন- এ গ্রেড পায়। জেএসসিতে ৩১=জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে শতভাগ উত্তীর্ণ হয়। তম্মধ্যে ১৬ জন এ+, ১৫ জন এ গ্রেড লাভ করে। এসএসসি পরীক্ষায় ১৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে শতভাগ উত্তীর্ণ হয়।
ক্রীড়া ক্ষেত্রে সাফল্য তুলে ধরে তিনি বলেন, অনুর্ধ ১৬ বিশ্ব যুব অলিম্পিক গেমস্ ২০১৪’র ২৯তম সাব কন্টিনেন্টাল কোয়ালিফাইংয়ে ‘আরচ্যারি’ ইভেন্টে কোয়ান্টাম কসমো স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র প্রেননং মুরুং একমাত্র প্রতিযোগী নির্বাচিত হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে। ৮ম বাংলাদেশ গেমসে রৌপ্য ও ব্রোঞ্জপদক অর্জন, জাতীয় বয়সভিত্তিক জিমন্যাস্টিকসে স্বর্ণপদক জয়, জাতীয় স্কুল খো খো-তে চ্যাম্পিয়ন, জাতীয় খো খো-তে রানার আপ ও ৩য় স্থান লাভ, জাতীয় খো খো দলে খেলার যোগ্যতা লাভ, হ্যান্ডবলে প্রথম বিভাগে উন্নীত, জাতীয় স্কুল ও মাদ্রাসা ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় হ্যান্ডবলে চ্যাম্পিয়ন, বান্দরবান কমিউনিটি পুলিশ হ্যান্ডবলে চ্যাম্পিয়ন, জাতীয় অনূর্ধ-২১ হ্যান্ডবলের বাছাই ক্যাম্পে অংশগ্রহণের যোগ্যতা অর্জন, জাতীয় স্কুল-মাদ্রাসা ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় টেবিল টেনিসে চ্যাম্পিয়ন, জাতীয় উম্মুক্ত টেবিল টেনিসে খেলার স্ট্যাটাস অর্জন, প্যারেড ও ডিসপ্লেতে উপজেলা, জেলা ও বিভাগে চ্যাম্পিয়ন, পাইপব্যান্ড বাদনে চট্টগ্রাম বিভাগকে নেতৃত্ব প্রদান এবং জাতীয় নজরুল সম্মেলনে অংশগ্রহণ উল্লেখযোগ্য।
তবে আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে, দীর্ঘদিনেও কোয়ান্টামে যাওয়ার সড়কটি মেরামত হয়নি। বান্দরবান শহর থেকে লামা উপজেলার সরই পর্যন্ত ৫২ কিলোমিটার সড়ক পুরোটাই ভাঙাচোরা। কয়েকটি স্থানে রাস্তার চিহ্নও দেখা যায় না। তবে লামা উপজেলা হয়ে কোয়ান্টামে যাবার সড়কটি মোটামুটি ভাল। কিন্তু দূরত্ব একটু বেশি। দূরত্ব আর ভাঙাচোরা রাস্তা পেরিয়ে যখনই পোঁছানো যায়, কোয়ান্টামের সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হতে হয়।
কোয়ান্টামে পৌঁছানোর পর সৌন্দর্য দেখে সকল কষ্টই ম্লান হয়ে যায়। কোয়ান্টামে কোনো কিছুরই অভাব নেই একটি জিনিস ছাড়া। সেটি হচ্ছ বিদ্যুৎ। কোয়ান্টাম প্রতিষ্ঠার দীর্ঘ ১৭ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো সেখানে পৌঁছায়নি বিদ্যুৎ। কেন বিদ্যুৎ পৌঁছায়নি?
কারণ জানা নেই বলে জানিয়েছে লামা কোয়ান্টামের কো-অর্ডিনেটর আনোয়ার আল হক। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবরে একাধিকবার লিখিত আবেদন করেও কোনো লাভ হয়নি অভিযোগ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের। তবে কোয়ান্টামে যে বিদ্যুৎ নেই এটি বুঝার উপায়ও নেই। অসংখ্য সোলারের সাহায্যে বিদ্যুতের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে কোয়ান্টাম। দিনের বেলায় সোলারের মাধ্যমে কম্পিউটার, হাসপাতালের যন্ত্রাংশ চালানোসহ যাবতীয় কাজ সম্পদান করা হয়। রাতের বেলায় শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার জন্য জেনারেটর ব্যবহার করা হয়।
তথ্য ও ছবি: বিশেষ প্রতিবেদক, ঢাকা।
বান্দরবানের লামা উপজেলা সদর থেকে ২৬ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত সরই ইউনিয়ন। সেখানের পাগলী খালের আগায় পাহাড়, ঝিরি, ছায়াঘন বনবনানী পরিবেষ্টিত অসংখ্য বন্য পশুপাখির বিচিত্র ডাকে মুখরিত নির্জন স্থানে প্রতিষ্ঠিত হয় ‘কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান। ১৯৮৯ সনে আধ্যাত্মিক পুরুষ ‘গুরুজী শহীদ আল বোখারী মহাজাতক’ এর দুঃসাহসী ও ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এটি প্রতিষ্ঠার পর প্রত্যন্ত ও দুর্গম পাহাড়ের ভাঁজে-ভাঁজে যেন বেজে উঠে অন্য আরেক রোমাঞ্চকর জেগে ওঠার উচ্চসিত শাশ্বত রাগীনির অমোগ সুর-মূর্ছনা।
বর্তমানে এ প্রতিষ্ঠানের প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখার জন্য দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে দলে দলে ভ্রমণপিপাসুরা আসা যাওয়া করেন। পাহাড়ের নির্জন স্থব্ধতার মিছিলের সাথে একাত্ম হয়ে যায় মৌন-মহান অন্তর্দর্শন অন্বেষার মেডিটেশন-ধ্যান কর্মসূচি। আধ্যাত্মিক সাধনার স্থান হিসেবে গড়ে ওঠার কারণে নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় ‘বোধিছড়া’।
তারই ফাঁকে গুরুজী প্রত্যক্ষ করলেন, পাহাড়ের অরণ্যচারী সুবিধাবঞ্চিত ও পিছিয়ে পড়া আদিবাসী গোষ্ঠীসহ বাঙ্গালি সন্তানদের দুর্বিসহ প্রাকৃতিক জীবনযাপনের অমানবিক করুণ পরিণতি। তিনি উতলা হয়ে উঠলেন; কি করে তাদের জীবনমানের বৈপ্লবিক উন্নয়ন সাধন করা যায়। তিনি বুঝতে পারলেন, একমাত্র শিক্ষার অভাবেই পাহাড়ে বসবাসকারী মানুষগুলোর এই করুণ পরিণতি রোখা সম্ভব। আধুনিক চিন্তাচেতনায় এদেরকে উজ্জীবিত করতে হলে প্রয়োজন শিক্ষার পাদপ্রদীপে নিয়ে আসা। গুরুজীর এই আগ্রহ বাস্তবায়নের কাজে তাঁর হাজারো সামর্থ্যবান ও দানশীল অনুসারীদের একাত্ম হতে বেশি সময় লাগেনি। সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয় ‘কোয়ান্টাম কসমো স্কুল এন্ড কলেজ’।
কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন সূত্রে জানা যায়, ৫০জন নিষ্ঠাবান শিক্ষকের পরিচালনায় এবং সেই সাথে আরো ৭৮জন তত্ত্বাবধায়কের নিরলস প্রচেষ্টায় ‘কোয়ান্টাম কসমো স্কুল এন্ড কলেজ’ এ নার্সারি থেকে এসএসসি পর্যন্ত প্রায় ১০০০জন শিক্ষার্থী আলোর পথে ধাপে ধাপে এগিয়ে চলছে। তাদের খাওয়া, পড়া ও থাকা সম্পূর্ণ ফ্রি। এতে করে স্থানীয় পাহাড়ী সম্প্রদায় শিক্ষা দিক্ষায় আগের তুলনায় অনেক এগিয়ে।
জেলার লামা, আলীকদম, নাইক্ষ্যংছড়ি, রুমা, রোয়াংছড়ি, থানচি এবং সদর উপজেলার অনাথ এবং শিক্ষাবঞ্চিত শিশু-কিশোরদের স্বাস্থ্য পরীক্ষাসহ যাবতীয় পরীক্ষা শেষে মেধার ভিত্তিতে ভর্তি করা হয় এখানে। অন্যান্য অবকাঠামো শিশু পার্ক, লাইব্রেরি, আবাসস্থল, হাসপাতাল, মিনি চিড়িয়াখানা, ছোট ছোট অসংখ্য কটেজসহ বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে বাকি জমিগুলোতে। কোয়ান্টামে শিক্ষার্থী এবং শিক্ষক ছাড়াও কোয়ান্টাম চিকিৎসক, স্বাস্থ্য সেবিকাসহ বিভিন্ন কাজের কর্মকতা-কর্মচারী রয়েছে প্রায় দুশ জন।
কোয়ান্টাম কসমো স্কুল এন্ড কলেজের তত্ত্বাবধায়ক সালেহ আহামদ বলেন, এলাকার ১৭ টি জাতিগোষ্ঠীর ৬টি ধর্মের ১০০০ জন আবাসিক ছাত্রের জন্য ৯টি আবাসিক হল, ২টি অডিটোরিয়াম, ২টি লাইব্রেরি, ৩টি খেলার মাঠ ও নানা আয়োজনে সমৃদ্ধ ২টি শিশু পার্ক রয়েছে। এখানে দেশের প্রচলিত শিক্ষার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের অফুরন্ত সুপ্ত প্রতিভার সর্বতোমুখী বিকাশ সাধনে লক্ষে মেডিটেশন নৈতিক শিক্ষা কার্যক্রম, চারু ও কারুকলা, সংগীত, নৃত্যকলা, খো খো, হ্যান্ডবল, কারাতে, ইয়াহু (ম্যারাথন ও মিনি) এবং পাহাড়ী গোষ্ঠীসমূহের সংস্কৃতি চর্চা কার্যক্রম প্রভৃতি বিষয়ে নিয়মিত প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।
ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষাক্ষেত্রে সাফল্য তুলে ধরে তত্ত্বাবধায়ক সালেহ আহামদ জানান, গত শিক্ষাবর্ষে পিএসসিতে ৩৯জন শিক্ষার্থীর মধ্যে শতভাগ উত্তীর্ণ হয়। তম্মধ্যে ২৯ জন- এ+, ১০ জন- এ গ্রেড পায়। জেএসসিতে ৩১=জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে শতভাগ উত্তীর্ণ হয়। তম্মধ্যে ১৬ জন এ+, ১৫ জন এ গ্রেড লাভ করে। এসএসসি পরীক্ষায় ১৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে শতভাগ উত্তীর্ণ হয়।
ক্রীড়া ক্ষেত্রে সাফল্য তুলে ধরে তিনি বলেন, অনুর্ধ ১৬ বিশ্ব যুব অলিম্পিক গেমস্ ২০১৪’র ২৯তম সাব কন্টিনেন্টাল কোয়ালিফাইংয়ে ‘আরচ্যারি’ ইভেন্টে কোয়ান্টাম কসমো স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র প্রেননং মুরুং একমাত্র প্রতিযোগী নির্বাচিত হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে। ৮ম বাংলাদেশ গেমসে রৌপ্য ও ব্রোঞ্জপদক অর্জন, জাতীয় বয়সভিত্তিক জিমন্যাস্টিকসে স্বর্ণপদক জয়, জাতীয় স্কুল খো খো-তে চ্যাম্পিয়ন, জাতীয় খো খো-তে রানার আপ ও ৩য় স্থান লাভ, জাতীয় খো খো দলে খেলার যোগ্যতা লাভ, হ্যান্ডবলে প্রথম বিভাগে উন্নীত, জাতীয় স্কুল ও মাদ্রাসা ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় হ্যান্ডবলে চ্যাম্পিয়ন, বান্দরবান কমিউনিটি পুলিশ হ্যান্ডবলে চ্যাম্পিয়ন, জাতীয় অনূর্ধ-২১ হ্যান্ডবলের বাছাই ক্যাম্পে অংশগ্রহণের যোগ্যতা অর্জন, জাতীয় স্কুল-মাদ্রাসা ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় টেবিল টেনিসে চ্যাম্পিয়ন, জাতীয় উম্মুক্ত টেবিল টেনিসে খেলার স্ট্যাটাস অর্জন, প্যারেড ও ডিসপ্লেতে উপজেলা, জেলা ও বিভাগে চ্যাম্পিয়ন, পাইপব্যান্ড বাদনে চট্টগ্রাম বিভাগকে নেতৃত্ব প্রদান এবং জাতীয় নজরুল সম্মেলনে অংশগ্রহণ উল্লেখযোগ্য।
তবে আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে, দীর্ঘদিনেও কোয়ান্টামে যাওয়ার সড়কটি মেরামত হয়নি। বান্দরবান শহর থেকে লামা উপজেলার সরই পর্যন্ত ৫২ কিলোমিটার সড়ক পুরোটাই ভাঙাচোরা। কয়েকটি স্থানে রাস্তার চিহ্নও দেখা যায় না। তবে লামা উপজেলা হয়ে কোয়ান্টামে যাবার সড়কটি মোটামুটি ভাল। কিন্তু দূরত্ব একটু বেশি। দূরত্ব আর ভাঙাচোরা রাস্তা পেরিয়ে যখনই পোঁছানো যায়, কোয়ান্টামের সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হতে হয়।
কোয়ান্টামে পৌঁছানোর পর সৌন্দর্য দেখে সকল কষ্টই ম্লান হয়ে যায়। কোয়ান্টামে কোনো কিছুরই অভাব নেই একটি জিনিস ছাড়া। সেটি হচ্ছ বিদ্যুৎ। কোয়ান্টাম প্রতিষ্ঠার দীর্ঘ ১৭ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো সেখানে পৌঁছায়নি বিদ্যুৎ। কেন বিদ্যুৎ পৌঁছায়নি?
কারণ জানা নেই বলে জানিয়েছে লামা কোয়ান্টামের কো-অর্ডিনেটর আনোয়ার আল হক। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবরে একাধিকবার লিখিত আবেদন করেও কোনো লাভ হয়নি অভিযোগ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের। তবে কোয়ান্টামে যে বিদ্যুৎ নেই এটি বুঝার উপায়ও নেই। অসংখ্য সোলারের সাহায্যে বিদ্যুতের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে কোয়ান্টাম। দিনের বেলায় সোলারের মাধ্যমে কম্পিউটার, হাসপাতালের যন্ত্রাংশ চালানোসহ যাবতীয় কাজ সম্পদান করা হয়। রাতের বেলায় শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার জন্য জেনারেটর ব্যবহার করা হয়।
তথ্য ও ছবি: বিশেষ প্রতিবেদক, ঢাকা।
Wednesday, February 15, 2017
লামা উপজেলায় নিবন্ধিত জেলেদের মাঝে পরিচয়পত্র বিরতরণ
আজ লামা উপজেলা পরিষদ
সভাকক্ষে উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তরের উদ্যোগে নিবন্ধিত জেলেদের পরিচয়পত্র বিরতরণ অনুষ্ঠানে
সভাপতিত্ব করেন জনাব খিন ওয়ান নু, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, লামা, বান্দরবান পার্বত্য
জেলা। এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লামা উপজেলা পরিষদের সম্মানিত চেয়ারম্যান,
বিশেষ অতিথি হিসেবে জনাব মোঃ মোস্তফা জামাল, সম্মানিত সদস্য, বান্দরবান পার্বত্য জেলা
পরিষদ, সদ্য যোগদানকৃত সহকারী কমিশনার (ভূমি), লামা জনাব সায়েদ ইকবাল, কমান্ডার, উপজেলা
মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড, ইউপি চেয়ারম্যানগণ, সরকারী-বেসরকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাবৃন্দ,
কমিটির সদস্যবৃন্দ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকমন্ডলী, সাংবাদিকগণ ও উপজেলাস্থ গণ্যমান্য
ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা প্রশাসন, লামার মাসিক আইন শৃংখলা সভা অনুষ্ঠিত
উপজেলা প্রশাসন, লামা কতৃক উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে মাসিক আইন শৃংখলা সভায়
সভাপতিত্ব করেন জনাব খিন ওয়ান নু, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, লামা, বান্দরবান
পার্বত্য জেলা। এছাড়াও মাসিক সাধারণ সভায় সভাপতিত্ব করেন জনাব থোয়াইনু অং
চৌধুরী, চেয়ারম্যান, উপজেলা পরিষদ, লামা। উক্ত সভায় সদ্য যোগদানকৃত সহকারী
কমিশনার (ভূমি), লামা জনাব সায়েদ ইকবাল, কমান্ডার, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা
কমান্ড, ইউপি চেয়ারম্যানগণ, সরকারী-বেসরকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের
কর্মকর্তাবৃন্দ, কমিটির সদস্যবৃন্দ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকমন্ডলী,
সাংবাদিকগণ ও উপজেলাস্থ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
লামা উপজেলায় জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ২০১৭ উদযাপিত
আজ লামা টাউন হল এ উপজেলা পর্যায়ে জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ২০১৭ উদযাপন উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসন ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব খিন ওয়ান নু'র সভাপতিত্বে অনুুষ্ঠিত হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব থোয়াইনু অং চৌধুরী, চেয়ারম্যান, উপজেলা পরিষদ, লামা। উক্ত অনুষ্ঠানে সদ্য যোগদানকৃত সহকারী কমিশনার (ভূমি), লামা জনাব সায়েদ ইকবাল, কমান্ডার, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড, অধ্যক্ষ, লামা ফাজিল মাদ্রাসা ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণসহ শিক্ষার্থীগণ উপস্থিত ছিলেন।
লামা বাজারে অভিযানে পলিথিন জব্দ, ৩ ব্যবসায়িকে জরিমানা
বান্দরবানের
লামায় ভ্রাম্যমান আদালত কর্তৃক পৌর শহরে অভিযান চালিয়ে পলিথিন জব্দ করেছে।
নিষিদ্ধ
পলিথিন রাখার দায়ে পরিবেশ সংরক্ষণ আইনের ১৯৯৫ এর ৬ “ক”র অপরাধে ১৫ ধারায় মুদি
ব্যবসায়ী মো: ইব্রাহীম-এর ৫ হাজার টাকা অর্থ দন্ড করেন।
একই সময়
ভোক্তা অধিকার আইনে হোটেল শাহ জব্বারিয়া ও মধুবন রেষ্টুরেন্টকে ৫ হাজার টাকা করে ২
জনকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট।
মঙ্গলবার
দুপুরে লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার খিনওয়ান নু-এর নেতৃত্বে নির্বাহী
ম্যাজিষ্ট্রেট মো: শাহেদ ইকবাল (সহকারী কমিশনার ভুমি) যৌথ অভিযান করেন।
লামা উপজেলায় নিষিদ্ধ পলিথিন ও নোংরা
পরিবেশে খাবার পরিবেশনের দায়ে তিন দোকানিকে ১৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন
ভ্রাম্যমাণ আদালত।মঙ্গলবার বিকেলে নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খিন ওয়ান নু এবং সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সায়েদ ইকবাল উপজেলা শহরে এ যৌথ অভিযান চালান।
বিশেষ কৃতজ্ঞতা: তথ্য ও ছবি: এম.বশিরুল আলম, লামা, বান্দরবান পার্বত্য জেলা।
Monday, February 13, 2017
লামার পাহাড়ি পল্লীতে আবারও অসন্তোষ: পাহাড়ী সন্ত্রাসীদের সাথে সেনাবাহিনীর গোলাগুলি
বান্দরবানের লামার রুপসীপাড়া ইউনিয়নের
দূর্গম নাইক্ষ্যংমুখ এলাকায় সোমবার বিকাল ৪টায় সেনাবহিনীর সাথে টানা ২ঘন্টা পাহাড়ি
সন্ত্রাসীদের মুখোমুখি গোলাগুলিতে ১জন নিহত ও ২জন শিশু আহত হয়েছে। নিহত পাহাড়ি
সন্ত্রাসীর নাম জানা যায়নি। আহতরা হলেন, মাংপ্রেন মুরুং (৮) ও দুই নোং মুরুং (৭)।
রুপসীপাড়া ইউনিয়নের ৭,৮ ও ৯নং
ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বার চামাচিং মুরুং জানায়, বিকাল ৪টার দিকে লামার রুপসীপাড়া
সেনা ক্যাম্পের ১টি নিয়মিত টহল টিম নাইক্ষ্যংমুখ এলাকায় যায়। সেখানে পৌঁছালে
নাইক্ষ্যংমুখে পূর্বে অবস্থানরত ১৫/২০ জনের অস্ত্রধারী একটি পাহাড়ি সন্ত্রাসী
গ্রুপ সেনাবাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ে।
সেনাবহিনী প্রস্তুত হয়ে পাল্টা গুলি
চালায়। এই সময় পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের গুলিতে নাইক্ষ্যং মুখ এলাকার পার্শ্ববর্তী
আলীকদম উপজেলার চৈক্ষ্যং ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার পালট মুরুং এর ছেলে
মাং প্রেন ও নাইক্ষ্যং মুখের ব্লু মেম্বার পাড়ার মেন আই মুরুং এর ছেলে দুই নোং
মুরুং আহত হয়। অপরদিকে সেনাবাহিনীর ছোঁড়া গুলিতে ১জন পাহাড়ি সন্ত্রাসী নিহত হয়।
খবর পেয়ে লামা সাব জোন থেকে আরও একটি
সেনা টিম ঘটনাস্থলে ছুটে যায় বলে জানায় লামা সাব জোনের দায়িত্বরত ল্যাফট্যানেন্ট
রাশেদ। সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলটি ঘিরে রেখেছে।
লামা-আলীকদম সেনা জোনের জোন কমান্ডার
লেঃ কর্ণেল সারোয়ার হোসেন সাংবাদিককে বলেন, ঘটনা নিয়ন্ত্রনে আনতে সন্ধ্যা ৬টায়
আলীকদম সেনা জোন থেকে আরেকটি সেনা টিম ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে।
বিশেষ কৃতজ্ঞতা: তথ্য ও ছবি: মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, এস.কে খগেশপ্রতি চন্দ্র খোকন, লামা, বান্দরবান পার্বত্য জেলা।
Subscribe to:
Posts (Atom)