Check PAGE RANK of Website pages Instantly

Check Page Rank of your Web site pages instantly:

This page rank checking tool is powered by PRChecker.info service

Sunday, December 24, 2017

অখন্ড লামা রক্ষার দাবীতে লামার রাজপথে নেমেছে হাজার মানুষ

অখন্ড লামা রক্ষার দাবীতে লামার রাজপথে নেমেছে হাজার মানুষ:
লামা’র সরই ইউনিয়নে গণশুনানী বন্ধের দাবীতে মানববন্ধন
কার্টেসিঃ মোহাম্মদ কামারুজ্জামান, সাংবাদিকলামাবান্দরবান পার্বত্য জেলা।
************************************
************************************
লামা উপজেলার অন্তর্গত আজিজ নগর, সরই, গজালিয়া এবং ফাইতং ইউনিয়নকে বিভক্ত করে ‘সরই’ নামক একটি পৃথক উপজেলা করার গণশুনানী বন্ধের দাবীতে মানববন্ধন, প্রতিবাদ সমাবেশ স্মারকলিপি পেশ করেছেন।  রবিবার সকাল ১০ টায় উপজেলা পরিষদ চত্বর সম্মুখে প্রধান সড়কে হাজার মানুষের অংশ গ্রহনে প্রায় ১ কি:মি; সড়কজুড়ে মান্ববন্ধন করে বিভিন্ন পেশাজীবি সংগঠনসহ তরুণ প্রজম্ম;র পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, একটি রাজনৈতিক সংগঠনের বর্ধিত সভার উপস্থিতির স্বাক্ষরকে তাদের অজান্তে মনগড়া আবেদনকারী দেখিয়ে ‘সরই’ নামক পৃথক একটি উপজেলা গঠনের পায়তারা করছে কর্তৃপক্ষ। এর প্রতিবাদে এবং এ লক্ষ্যে লামা উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক ২৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য গণশুনানী বন্ধ করার দাবী জানানো হয়।
বক্তারা বলেন, সরইকে পৃথক উপজেলা করার কোন আবেদন তারা করেননি এবং এ বিষয়ে মোটেও অবগত নয় স্থানীয়রা। একটি উচ্চ বিলাসী মহল নিজেদের উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য মনগড়াভাবে জেলা প্রশাসক এর নিকট বান্দরবান পার্বত্য জেলার অন্তর্গত আজিজনগর, সরই, গজালিয়া এবং ফাইতং ইউনিয়নকে বিভক্ত করে ‘সরই’ নামক পৃথক একটি উপজেলা গঠনের লক্ষ্যে; এলাকাবাসীর বরাত দিয়ে একটি মিথ্যা আবেদন করা হয়েছে বলে স্মারলিপিতে উল্লেখ করা হয়।
এদিকে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় প্রস্তাব প্রেরণের লক্ষ্যে জনমত জরিপের নিমিত্ত লামা উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক ২৮/১২/২০১৭ তারিখ বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টায় সরই ইউনিয়ন পরিষদ চত্ত্বরে সর্বস্তরের লোকজনের উপস্থিতিতে এক মতবিনিময় সভা গণশুনানীর আয়োজন করেন। মিথ্যা আবেদনের প্রেক্ষিতে সরকারের গৃহীত সিদ্ধান্তের ফলে এই গণশুনানীকে কেন্দ্র করে বর্তমানে এলাকায় বিভ্রান্তিকর, হতাশা গ্রস্থ,  প্রতিবাদমূখর  জনতা ফুসে উঠেছে।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, একটি স্বার্থান্বেষী মহল জনস্বার্থ বিরোধী, পূঁজিবাদ মহলের আবেদন যাচাই না করে কর্তৃপক্ষ উক্ত মনগড়া উক্ত আবেদনটি আমলে নিয়ে লামা উপজেলাকে দ্বি-খন্ডিত করণের ষড়যন্ত্র করছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। এই মিথ্যা আবেদনের প্রতিবাদ ও লামা উপজেলাকে দ্বি-খন্ডিত করার ষড়যন্ত্র উল্লেখ করে সরই ইউনিয়নকে উপজেলা করার সরকারি সিদ্ধান্ত বাতিলের জন্য প্রধান মন্ত্রী’র নিকট স্মারকলিপি পেশ করেছেন স্থানীয়রা।
এদিকে সরইকে পৃথক উপজেলা করণের কার্যক্রম বন্ধসহ লামাকে জেলা ও অখন্ড লামার ঐতিহ্য রক্ষায় ৬দিনব্যাপি বিভিন্ন কর্মসূচী ঘোষণা করেছেন উপজেলাবাসী। ঘোষিত কর্মসূচীর মধ্যে ২৭ ডিসেম্বর অর্ধদিবস হরতা ও ২৮ ডিসেম্বর পূর্নদিবস হরতলে ডাক দেয়া হয়েছে। মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় বক্তব্যদেন, লামা প্রেসক্লাব সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা প্রিয়দর্শী বড়ুয়া, সেক্রেটারী ও নাগরিক ফোরামের আহ্বায়ক মো.কামরুজ্জামান, রিপোর্টাস ক্লাব সভাপতি রফিকুল ইসলাম, ব্যবসায়িক সংগঠনের সেক্রেটারী জাপান বড়ুয়া, লামা রক্ষা পরিষদের আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম সোহেল, উপজেলা ছাত্রলীগ সেক্রেটারী মো: শাহিন, সাংবাদিক ফরিদ, ছাত্র নেতা লামা রক্ষা পরিষদের সদস্য সচিব সোহেল, মাহিন্দ্রা মালিক সমিতির নেতা জালাল উদ্দিন, মো: শাহিন আলম প্রমূখ ।

লামাকে বিভক্ত করে নতুন উপজেলা গঠণের প্রতিবাদে মানববন্ধন

কার্টেসিঃ মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, সাংবাদিকলামাবান্দরবান পার্বত্য জেলা।
************************************
লামা উপজেলার অন্তর্গত ফাইতং, সরই, আজিজনগর ও গজালিয়া ৪টি ইউনিয়ন নিয়ে  ৫নং সরই ইউনিয়নকে সরই নামক উপজেলা রুপান্তরের প্রস্তাব প্রেরণের প্রতিবাদে রবিবার সকাল ১০টায় লামা উপজেলা পরিষদ চত্বরে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করা হয়েছে। মানববন্ধন শেষে লামাকে অখন্ড রাখার এবং সরই ইউনিয়নকে উপজেলা রুপান্তরের কার্যক্রম বাতিলের দাবিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। লামা উপজেলা অখন্ডতা রক্ষা পরিষদের উদ্যোগে সহস্রাধিক মানুষ মানববন্ধনে অংশ নেয়।
লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার খিনওয়ান নু লামা উপজেলার গজালিয়া, ফাইতং, আজিজনগর ও সরই ইউনিয়ন নিয়ে সরই নামক নতুন উপজেলা গঠনের প্রস্তাব প্রেরণের জন্য জনমত জরিপে আগামী ২৮ ডিসেম্বর সরই ইউনিয়ন পরিষদে মত বিনিময় সভার আহবান করলে মানববন্ধন কর্মসূচীর মাধ্যমে এর প্রতিবাদ জানানো হয়। মানববন্ধন কর্মসূচী থেকে আগামী ২৭ ডিসেম্বর বুধবার অর্ধদিবস ও ২৮ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার পূর্ণদিবস লামা উপজেলায় সর্বাত্মক হরতাল পালনের আহবান জানানো হয়েছে। 
মুক্তিযোদ্ধা প্রিয়দর্শী বডুয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন কর্মসূচীতে বক্তব্য রাখেন মোহাম্মদ কামরুজ্জামান, মো. জালাল আহমদ, মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, কামাল উদ্দিন, ইউছুপ মজুমদার, জাপান বড়ুয়া, মো. সাইফুল ইসলাম সোহেল, আনোয়ার হোসেন সোহেল।
লামা উপজেলা চেয়ারম্যান থোয়াইনু অং চৌধুরী রবিবার সকালে জেলা প্রশাসকের নিকট লিখিত ভাবে জানিয়েছেন, মো. ইলিয়াছ গংদের কথিত ভুয়া বানোয়াট ও ভিত্তিহীন আবেদনের ভিত্তিতে সরই ইউনিয়নকে উপজেলা রুপান্তরের জন্য প্রশাসন কার্যক্রম গ্রহন করেছে। তিনি বিতর্কিত উপজেলা গঠনের কার্যক্রম বাতিলের জন্য জেলা প্রশাসককে অনুরোধ জানিয়েছেন।

Saturday, December 23, 2017

অখন্ড লামা রক্ষার দাবীতে উত্তপ্ত হচ্ছে লামার রাজপথ

কার্টেসিঃ মোহাম্মদ কামারুজ্জামান, সাংবাদিকলামাবান্দরবান পার্বত্য জেলা।
************************************
লামা উপজেলার অন্তর্গত আজিজ নগর, সরই, গজালিয়া এবং ফাইতং ইউনিয়নকে বিভক্ত করে ‘সরই’ নামক একটি পৃথক উপজেলা করার প্রতিবাদে আন্দোলনে নেমেছে লামা উপজেলার বিভিন্ন পেশাজীবি সংগঠন। নবীন-প্রবীন প্রজম্মের সমন্বয়ে গঠিত এসব সংগঠনের নেতৃবৃন্দদের দাবী; একটি রাজনৈতিক সংগঠনের বর্ধিত সভার উপস্থিতির স্বাক্ষরকে তাদের অজান্তে মনগড়া আবেদনকারী দেখিয়ে ‘সরই’ নামক পৃথক একটি উপজেলা গঠনের পায়তারা করছে কর্তৃপক্ষ। এর প্রতিবাদে এবং এ লক্ষ্যে লামা উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক ২৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য গণশুনানী বন্ধ করার দাবীতে শনিবার থেকে বৃহস্পতিবার ৬দিন ব্যাপি কর্মর্সূচী ঘোষণা করেছে লামা উপজেলার বিভিন্ন সংগঠন। 
আন্দোলনকারীদের অভিযোগে প্রকাশ, বিগত ২০ জানুয়ারি/২০১৭ তারিখে অনুষ্ঠিত রাজনৈতিক কর্মি সভায় উপস্থিতি স্বাক্ষর যুক্ত করে কে বা কারা ‘জনস্বার্থে লামা উপজেলার ‘সরই ইউনিয়ন’কে প্রশাসনিক কাঠামো হিসেবে উপজেলায় রুপান্তর করার’ মিথ্যা মনগড়া আবেদন করেন। উক্ত আবেদনপত্রে আবেদনকারী হিসেবে দেখানো হয়; বিগত ২০/০১/ ২০১৭ তারিখে লামা বাজার জেলা পরিষদ গেষ্ট হাউজে অনুষ্ঠিত রাজনৈতিক কর্মি সভায় উপস্থিত রাজনৈতিক নেতা কর্মিদেরকে। দাখিলকৃত ওই আবেদনটি তারা করেননি এবং এ বিষয়ে মোটেও অবগত নয় স্থানীয়রা। কিন্তু স্বার্থান্বেষী একটি মহল নিজেদের উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য জনস্বার্থকে জলাঞ্জলি দিয়ে মনগড়াভাবে জেলা প্রশাসক এর নিকট বান্দরবান পার্বত্য জেলার অন্তর্গত আজিজনগর, সরই, গজালিয়া এবং ফাইতং ইউনিয়নকে বিভক্ত করে ‘সরই’ নামক পৃথক একটি উপজেলা গঠনের লক্ষ্যে; এলাকাবাসীর বরাত দিয়ে একটি মিথ্যা আবেদন করা হয়েছে বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার, লামা বান্দরবান পার্বত্য জেলার কার্যালয়ের স্মারক নং- ০৫.৪২.০৩৫১.৩০৫.০.৮.০০২.২০১৭-১১১৫, তারিখ : ১৪/১২/২০১৭ খ্রী: মূলে জানাযায়, উক্ত মনগড়া আবেদনের ফলে, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় প্রস্তাব প্রেরণের লক্ষ্যে জনমত জরিপের নিমিত্ত ২৮/১২/২০১৭ তারিখ বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টায় সরই ইউনিয়ন পরিষদ চত্ত্বরে সর্বস্তরের লোকজনের উপস্থিতিতে এক মতবিনিময় সভা গণশুনানী অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিবাদকারীরা জানান, মিথ্যা আবেদনের প্রেক্ষিতে সরকারের গৃহীত সিদ্ধান্তের ফলে এই গণশুনানীকে কেন্দ্র করে বর্তমানে এলাকায় চরম বিভ্রান্তিকর ও হতাশা ব্যাঞ্জক, প্রতিবাদমূখর  পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে।
একটি স্বার্থান্বেষী মহল জনস্বার্থ বিরোধী, পূঁজিবাদ মহলের আবেদন যাচাই বাছাই না করে কর্তৃপক্ষ উক্ত মনগড়া ৭ পাতার আবেদনটি আমলে নিয়ে লামা উপজেলাকে দ্বি-খন্ডিত করণের ষড়যন্ত্র করছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। রাজনৈতিক কর্মি সভায় উপস্থিতি স্বাক্ষর ব্যবহার করে মিথ্যা আবেদনের প্রতিবাদ ও লামা উপজেলাকে দ্বি-খন্ডিত করার ষড়যন্ত্র উল্লেখ করে মনগড়া আবেদনটি প্রত্যাহার করার প্রার্থণা করে জেলা প্রশাসক এর নিকট অভিযোগ দাখিল করেছেন স্থানীয়রা।
অপরদিকে সরইকে পৃথক উপজেলা করণের কার্যক্রম বন্ধসহ লামাকে জেলা ও অখন্ড লামার ঐতিহ্য রক্ষায় বিভিন্ন কর্মসূচী ঘোষণা করেছেন উপজেলাবাসী। ঘোষিত কর্মসূচীর মধ্যে রয়েছে, ২২ ডিসেম্বর সন্ধায় লামা প্রেসক্লাবে নেতৃবৃন্দদের বৈঠক। ২৩ ডিসেম্বর বিকাল থেকে জনসচেতনতা মূলক প্রচারণার অংশ হিসেবে মাইকিং, ২৪ ডিসেম্বর মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান, ২৫ ডিসেম্বর আলোচনা সভা, ২৬ ডিসেম্বর শীর্ষস্থানীয়দের সাথে সাক্ষাত ও আলোচনা, ২৭ ডিসেম্বর অর্ধদিবস হরতাল ও ২৮ ডিসেম্বর পূর্ন দিবস হরতাল কর্মসূচী পালিত হবে।
দলমত ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে অখন্ড লামা চাই, সাবেক মহকুমা লামাকে জেলা কর করতে হবে, চট্টগ্রামের লোহাগাড়া-সাতকানিয়া নিয়ন্ত্রিত সরইকে পৃথক উপজেলা ঘোষণা বন্ধ কর করতে হবে; ইত্যাদি স্লোগানে লামা উপজেলার রাজপথ সরগম হয়ে উঠেছে। প্রতি মিনিটেই অখন্ড লামা রক্ষা আন্দোলনে যুক্ত হচ্ছে নবীন প্রবীন প্রজম্মের শত শত মানুষ।
এ বাস্তবতায় সরইকে উপজেলা ঘোষণার সিদ্ধান্ত বাতিল পূর্বক পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীরবাহাদুর এমপি’র হস্তক্ষেপ কামণা করেছেন লামা উপজেহলার সচেতন সমাজ।

Friday, December 22, 2017

লামাকে জেলা পূণ:র্বহাল না করে দ্বি-খন্ডিত করার ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রূখে দাঁড়াবে লামাবাসী

কার্টেসিঃ মোহাম্মদ কামারুজ্জামান, সাংবাদিকলামাবান্দরবান পার্বত্য জেলা।
************************************
বৃহত্তর লামা উপজেলার গজালিয়া থানাকে পাশ কাটিয়ে সরই ইউনিয়নকে থানা করার প্রতিবাদে সোচ্ছার হচ্ছে লামাবাসী। একই সাথে লামাকে পূর্ব ঘোষিত জেলা বাস্তবায়নের দাবীতে আন্দোলনে নামারও প্রস্তুতি নিচ্ছেন স্থানীয়রা।
সূত্রে জানাগেছে, সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে সরই ইউনিয়নকে থানা করার পক্ষে গোপন প্রতিবেদন প্রেরণ করেছেন। এ প্রেক্ষিতে সরকারের পূর্ব ঘোষণামতে গজালিয়াকে থানা করার পক্ষে স্থানীয় নেতৃবৃন্দ জনমতের ভিত্তিতে কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করেন। কিন্তু স্থানীয় জনগণের চাওয়াকে তুচ্ছজ্ঞান করে একটি মহল পূর্বঘোষিত থানা গজালিয়াকে পাশ কেটে চট্টগ্রামের লোহাগাড়া নিয়ন্ত্রিত সরই ইউনিয়নকে থানা করার চেষ্টা করছেন। এতদ সংক্রান্ত বিষয়ে ২৮ ডিসেম্বর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সরই ইউনিয়নে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে গণ শুনানী।
এদিকে সাবেক মহকুমা লামাকে পূর্বের ঘোষণানুযায়ী জেলা বাস্তবায়ন না করে, আরেকটি থানা করার বিষয়টি; লামা উপজেলাকে দ্বি-খন্ডিত করার ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছেন স্থানীয়রা। সামগ্রিক বিবেচনায় সাবেক মহকুমা লামা’কে পূর্ব ঘোষণামতে জেলা বাস্তবায়ন না করে; আরেকটি থানা করে বৃহত্তর এই উপজেলাকে দ্বি-খন্ডিত করে রাজনৈতিক গুরুত্ব কমিয়ে দেয়ার ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াবে তরুণ প্রজম্ম।
বিগত ২০১৪ সালে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার কর্তৃক গোপন প্রতিবেদন অনুযায়ী লামা উপজেলায় আরো একটি থানা বর্ধিত করার পক্ষে মতামত পেশ করেন। একই বিষয়ে ২০১৭ সালে মতামত চেয়ে লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার-এর নিকট পত্র প্রেরণ করেন উধর্তন কর্তৃপক্ষ। ওই সময় গজালিয়া, আজিজ নগর, ফাইতং ও সরই ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ গজালিয়াকে থানা ঘোষণার পক্ষে লিখিত দাবী জানান। কিন্তু পূজিবাদী কিছু উচ্চাভিলাসীদের মন রক্ষায় কর্তৃপক্ষ স্থানীয়দের দাবী ও নিয়মনীতি বিসর্জন দিতে চলেছেন; এমন অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় জনগোষ্টির পক্ষ থেকে।
জানা যায়, বাংলাদেশ সরকারের ‘থানা প্রশাসন পূণর্বিন্যাস অধ্যাদেশ ১৯৮২' এর অনুবলে প্রশাসন বিকেন্দ্রিকরণ কর্মসূচীর আওতায় ১৯৮২ ইং সালের ৭ নভেম্বর, বান্দরবান জেলাধীন লামা মহকুমার অর্ন্তগত- গজালিয়া, আলীকদম ও বাইশারী ইউনিয়নকে প্রথম শ্রেণীর ‘মানোন্নিত থানা’ ঘোষণা দেয়া হয়। একই সময় লামা মহকুমাকে জেলা ঘোষণা করা হয়। এ ঘোষণার নিদর্শন হিসেবে, এর আগে ২৭/৫/১৯৭৭ ইং তারিখে লামার সাবেক প্রশাসনিক এলাকা টিডিএন্ডডিসিতে পার্বত্য চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ও জেলা বোর্ড প্রশাসক জনাব আলী হায়দার খাঁন লামা জেলা বোর্ড বিশ্রামাগারের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেছিলেন। প্রস্তরের ওই স্বেত পাথরে লেখা ফলকটি এখনো বিদ্যমান। ১৯৮১ ইং সালে বান্দরবানকে জেলা, তারপর ১৯৮২ সালে লামাকে জেলা ঘোষণা করা হয়।
কিছুদিন পর দুর্গম যোগাযোগসহ নানান কারণে; আলীকদম থানা বহাল রেখে গজালিয়া ও বাইশারী থানা কার্যক্রম স্থগিত করে দেয় সরকার। বান্দরবান কেন্দ্রিক তৎসময় একচেটিয়া নের্তৃত্ব ধরে রাখার হীন উদ্দেশ্যে লামা জেলা এবং গজালিয়া, বাইশারী ও আলীকদমকে ঘোষিত থানা কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়ার ষড়যন্ত্র করেছিলেন বলে স্থানীয়রা জানান। এর ফলে সকল সম্ভাবনা থাকা সত্তেও বান্দরবান দক্ষিণ জনপদের বিভিন্ন সম্প্রদায় বাংলাদেশ সরকারের স্থানীয় সরকারের ‘থানা প্রশাসন পূণর্বিন্যাস অধ্যাদেশ ১৯৮২' এর অনুবলে প্রশাসন বিকেন্দ্রিকরণ-এর নাগরিক সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়ে যায়। বর্তমান বাস্তবতায় জনস্বার্থে “লামা” জেলা ও গজালিয়াকে উপজেলা বাস্তবায়ন করার জোর দাবী উঠেছে স্থানীয়ভাবে।
এলাকার জনপ্রতিনিধিরা জানান, গজালিয়ার ৬ নং ওয়ার্ডে থানা প্রশাসন করা হলে, এটি পার্শ্ববর্তী আজিজ নগর, সরই ও ফাইতং ইউনিয়ন সমুহের মধ্যবর্তী চুম্বক অংশ হবে।
পূর্ব ঘোষিত গজালিয়া থানার আয়তন-১২৪.৩১ বর্গ কি:মি:, গ্রাম-৮১ টি, মৌজা-৪টি, জন সংখ্যা- ১৭ হাজার, ভোটার- ৬৫১৭, হাট-বাজার ৬টি, এর মধ্যে ২টি সরকারি। গজালিয়া ৬ নং ওয়ার্ডের ভৌগলিক অবস্থান আজিজ নগর, সরই ও ফাইতং ইউনিয়নের মধ্যবর্তী স্থান। সব কিছু পার্বত্য অধিবাসী ও আদীবাসী জনগোষ্ঠি নিয়ন্ত্রিত। ফাইতং ইউনিয়নের আয়তন-৬৪.৭৫ বর্গ কি:মি:, গ্রাম/পাড়া-৪৯টি, মৌজা-১টি, জনসংখ্যা- ১৭৪০৭, ভোটার- ৭১৫৪, হাট-বাজার-২টি। ভূ-অবস্থান কক্সবাজার চকরিয়াস্থ আরাকান সড়কের পাশ ঘেঁসে। ব্যবসা বাণিজ্য ও নেতৃত্ব চকরিয়া নিয়ন্ত্রিত।
সরই ইউনিয়ন : আয়তন- ৯৪.২৪ বর্গ কি: মি:, গ্রাম- ৬০ টি, জনসংখ্যা-১৩২৭৩, ভোটার- ৫৯৬৮, হাট-বাজার- ৪টি, সরকারি-১টি, মৌজা- ৩টি। ভু-অবস্থান সমতল এলাকা লোহাগাড়া পুটিবিল্যা ইউনিয়ন ঘেঁসে। ব্যবসা- বাণিজ্য ও নের্তৃত্বে চট্টগ্রামের লোহাগাড়ানিবাসী দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।
আজিজ নগর ইউনিয়ন : আয়তন-৬১.৪৭ বর্গ কি: মি:, গ্রাম- ৬৪টি, মৌজা- ১ টি, জনসংখ্যা-১৬ হাজার, ভোটার- ৬৪৭০, হাট বাজার- ৪টি। ভূ-অবস্থান কক্সবাজার-ঢাকা চট্টগ্রাম মহা সড়কের পাশ ঘেঁসে (একজন পাকিস্তানী পুঁজিবাদ ব্যবসায়ির নাম করণে) অবস্থিত। ব্যবসা-বাণিজ্য ও নের্তৃত্বে লোহাগাড়া ও চকরিয়ার একাংশ কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত।
এই ৪টি ইউনিয়নের মোট আয়তন- ৩৪৪.৭৭ বর্গ কি: মি:। মোট জনমংখ্যা- ৬৩,৬৮০, মোট ভোটার-২৬১০৯, গ্রাম- ২৫৪ টি, হাট-বাজার-১৬ টি। জন সংখ্যা, যোগাযোগ ব্যবস্থা ও ভু-আয়তন এবং অবস্থান বিবেচনায়, সসর্বোপরি বিগত ১৯৮২ সালের ঘোষণানুযায়ী “লামা” জেলা ও “গজালিয়া’কে থানা (উপজেলা) ঘোষণা করা একান্ত অপরিহার্য্য বলে দাবী করেছেন লামা উপজেলা নাগরিক ফোরামের নের্তৃবৃন্দ।
জানাগেছে, একটি মহল পুঁজিবাদ ব্যবসায়ীদের মনরক্ষায় লোহাগাড়া নিয়ন্ত্রিত সরই ইউনিয়নকে উপজেলা (থানা) করার জোর তদবির করে চলছে। লামা নাগরিক ফোরামের নের্তৃবৃন্দ জানান, পার্বত্য অঞ্চলের অধিবাসী ও আদিবাসীদের অধিকার সু-রক্ষায় ও ভবিস্যৎ প্রজম্মের নেতৃত্ব বিকাশের লক্ষ্যে গজালিয়াকে থানা বা উপজেলা এবং লামাকে জেলা করা দরকার। ঐতিহাসিক বিচারে ও আইনগতভাবে লামা জেলা, বাইশারী ও গজালিয়া উপজেলা হওয়া দরকার। এর ব্যত্যয় ঘটলে আইনি লড়াইয়ে যাবেন স্থানীয়রা। এছাড়া সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়ে রাজপথে যৌথ আন্দোলনে নামারও চিন্তা করছেন নবীন-প্রবীন প্রজম্মের নেতৃবৃন্দ।

Monday, December 18, 2017

লামায় আর্ন্তজাতিক অভিবাসী দিবস-২০১৭ পালিত

কার্টেসিঃ মোহাম্মদ কামারুজ্জামান, সাংবাদিকলামাবান্দরবান পার্বত্য জেলা।
*********************************
লামায় আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস পালিত হয়েছে। “নিরাপদ অভিবাসন যেখানে, টেকসই উন্নয়ন সেখানে” এই স্লোগানকে প্রতিপাদ্য করে লামায় পালিত হলো আর্ন্তজাতিক অভিবাসী দিবস। এ উপলক্ষ্যে ১৮ ডিসেম্বর সোমবার সকাল ১১ টায় র‌্যালিত্তোর উপজেলা নির্বাহী অফিসার খিন ওয়ান নু'র সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান থোয়াই নূ অং চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য দেন প্রেসক্লাব সেক্রেটারী মো.কামরুজ্জামান, অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্যদেন, উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার, আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, এম ইমতিয়াজ, সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক নুরুল ইসলাম ফরিদ প্রমূখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মো: কামরুল ইসলাম পলাশ।
সভায় বক্তারা বলেন, আর্থসামাজিক উন্নয়নে অভিবাসী কর্মীদের অবদান; বড় একটি জায়গা করে নিয়েছে। বিশেষ করে বাংলাদেশের মতো দেশে অভিবাসীদের ভুমিকা যেমন বড়, তেমনি অদক্ষ অভিবাসীদের বিষয় নিয়ে ভোগান্তি হচ্ছে। এ থেকে উত্তরণের জন্য প্রত্যাক নাগরিককে সচেতন হতে হবে। বিভিন্ন ট্রেডে কাজ শিখে দক্ষ জনবল হয়ে, অভিবাসী হলে নিজে ও দেশের উন্নয়ন সম্ভব। এ সংক্রান্ত সরকারের সমাজ সেবা বিভাগসহ সংশ্লিস্টরা সহায়তা দিয়ে চলছে।
বক্তারা আরো বলেন, প্রতি বছর দেশে ২০ লাখের বেশি নারী-পুরুষ আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারে যুক্ত হচ্ছেন। এ বিপুলসংখ্যক মানুষের জন্য দেশে কর্মসংস্থান করা অনেক ক্ষেত্রে সম্ভব হয় না। বিশেষ করে সরকারী ও কলকারখানায় এতসংখ্যক কর্মীকে যুক্ত করা যায় না। এ কারণে বিপুলসংখ্যক কর্মী বিদেশে চাহিদা থাকায় চাকরি নিয়ে যান। চলতি বছরে এ পর্যন্ত বিদেশে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে প্রায় আট লাখেরও অধিক। অনুষ্ঠানে সরকারি তথ্যের বরাত দিয়ে বলা হয়, নিরাপদ অভিবাসন নিশ্চিত করতে সরকারের মন্ত্রণালয় বেশকিছু পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করছে। এরমধ্যে জনসচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে অবৈধ অভিবাসন প্রক্রিয়া বন্ধ করা। অভিবাসন প্রক্রিয়ার সঙ্গে সম্পৃক্তদের নৈতিকতা ও মূল্যবোধে আবদ্ধ হয়ে মন্ত্রণালয় একসঙ্গে কাজ করবে। এছাড়া অধিক মুনাফা লাভের আশায় অনৈতিকভাবে কোন কর্মীকে বিদেশে পাঠিয়ে বিপদে না ফেলা, প্রবাসী কর্মীদের মর্যাদা ও সম্মান কোনভাবেই ক্ষুন্ন হতে না দেয়া। সব পক্ষ মিলে এ কাজগুলো করা হচ্ছে।

Saturday, December 16, 2017

লামায় বর্ণিল আয়োজনে মহান বিজয় দিবস পালিত


কার্টেসি: জাহেদুল ইসলাম জাহিদ, লামা, বান্দরবান পার্বত্য জেলা।
মহান বিজয় দিবসের সূচনা লগ্নে বান্দরবানের লামা উপজেলা পরিষদ চত্বরে স্থাপিত শহীদ বেদীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছে উপজেলা পরিষদ, উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল, বিভিন্ন সরকারি কার্যালয় ও দফতর সমূহ, লামা প্রেসক্লাব, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, সাংস্কৃতিক সংগঠন, ব্যবসায়ী সংগঠনসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।
 উপজেলা পরিষদ চত্বরের শহীদ বেদীতে উপজেলা পরিষদ ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে শনিবার সকাল ৬টা ১মিনিটে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান উপজেলা চেয়ারম্যান থোয়াইনু অং চৌধুরী এবং নির্বাহী অফিসার খিন ওয়ান নু।
পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে অফিসার ইনচার্জ মোঃ আনোয়ার হোসেন ও লামা পৌরসভার পক্ষ থেকে প্যানেল মেয়র মোহাম্মদ হোসেন বাদশা শ্রদ্ধা জানান।

Thursday, December 14, 2017

লামায় বুদ্ধিজীবি দিবস-২০১৭ পালিত হয়েছে

কার্টেসিঃ মোহাম্মদ কামারুজ্জামান, সাংবাদিক, লামা, বান্দরবান পার্বত্য জেলা।
*******************************
লামায় শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবস পালিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টায় উপজেলা সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত দিবসের আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার খিনওয়ান নু। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন, সহকারী কমিশনার ভূমি সায়েদ ইকবাল, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আলহাজ্ব শেখ মাহবুবুর রহমান, প্রেসক্লাব সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রিয়দর্শী বড়ুয়া, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান ভুইয়া, বীরমুক্তিযোদ্ধা বেঙ্গল ইসমাইল, সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র সহকারি শিক্ষক মোজাম্মেল হোসেন, প্রেসক্লাব সেক্রেটারী মো.কামরুজ্জামান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন কামরুল ইসলাম পলাশ।
বক্তারা বলেন, যেসব বুদ্ধি জীবিদের আত্মত্যাগের ফসল হিসেবে আমরা একটি স্বাধীন দেশ পেয়েছি; তাদের স্বরণে প্রজম্মকে ইতিহাসের দলিল পাঠ করতে হবে। স্বাধীনতা যুদ্ধের শুরু থেকে শেষ অবদি যেসব যেসব শিক্ষক, সাহিত্যিক-সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবি, চলচিত্রকারক, কবি, দার্শনিক, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ারসহ মুক্ত চিন্তার মানুষদেরকে নির্মমভাবে হত্যার মাধ্যমে বাঙ্গালীকে মেধ্য শুণ্য করার জগণ্য অপরাধে লিপ্ত হয় পাকিস্তানিরা। এসব বর্বরচিত কাজে সহায়তা করেছিল দেশীয় রাজাকার, আলবদর, আলসাম্স। এর ফলে আমরা অপূরনীয় ক্ষতির শিকার হয়েছি।
বক্তারা বলেন স্বাধীনতা পরবর্তী ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট জাতীর জনককে স্ব-পরিবারে হত্যা, তার পরই চার বুদ্ধিজীবিকে জেলখানায় হত্যা করেও তারা ক্ষান্ত হননি। ২০০৪ সালের ২১ আগষ্ট জাতীর জনকের কণ্যা শেখ হাসিনাকেও হত্যার চেষ্ঠা চালিয়ে স্বাধীন দেশে তাদের শক্তিশালী জঙ্গী অবস্থানের জানান দেয়। জঙ্গীবাদের মাধ্যমে দেশকে একটি অকার্যকর রাষ্ট্র বনানোর জন্য এখনো পরাজিত শক্তি উৎপেতে আছে। সূতরাং নতুন প্রজম্মকে ইতিহাস চর্চা করে স্বাধীনতা ও মননশীল চেতণায় উদ্ভুদ্ধ হয়ে সকল ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সজাগ থেকে ত্যাগি মনোভাব পোষন করতে হবে।