কার্টেসিঃ মোহাম্মদ কামারুজ্জামান, সাংবাদিক, লামা, বান্দরবান পার্বত্য জেলা।
************************************
লামায় ৪৬ তম জাতীয় সমবায় দিবসে অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, সমবায়ের মূল প্রবক্তা বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তিনি পূর্ববঙ্গে তাঁর জমিদারিকালে কৃষি সমবায়ের উদ্দেশ্যে ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
সমবায় অগ্রযাত্রায় নারীদের বলিষ্ট ভূমিকার কথা উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, বিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি উত্তরবঙ্গের চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে তেভাগা দাবিতে নাচোলের ‘রানী মা’ খ্যাত ইলা মিত্র কৃষক সমবায়ের নামে তেভাগা আন্দোলন করেছিলেন।
তারপর আরেক সমবায় উদ্যোক্তা ড. আখতার হামিদ খান ১৯৫৯-৬০ সালে কুমিল্লা জেলায় কৃষকদের সংগঠিত করে তাদের কল্যাণার্থে সমবায়ের সুফল ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য ‘কুমিল্লা মডেল’ চালু করেন।
এটিই ১৯৬০ সালে সমবায়ের প্রাতিষ্ঠানিক রূপ হিসেবে কুমিল্লার কোটবাড়িতে ‘বাংলাদেশ একাডেমি ফর রুরাল ডেভেলাপমেন্ট (বার্ড)’ স্থাপিত হয়। এর কাজ মূলত গবেষণা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তি সৃষ্টি করে তাদের মাধ্যমেই দারিদ্র্য বিমোচন করা।************************************
লামায় ৪৬ তম জাতীয় সমবায় দিবসে অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, সমবায়ের মূল প্রবক্তা বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তিনি পূর্ববঙ্গে তাঁর জমিদারিকালে কৃষি সমবায়ের উদ্দেশ্যে ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
সমবায় অগ্রযাত্রায় নারীদের বলিষ্ট ভূমিকার কথা উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, বিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি উত্তরবঙ্গের চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে তেভাগা দাবিতে নাচোলের ‘রানী মা’ খ্যাত ইলা মিত্র কৃষক সমবায়ের নামে তেভাগা আন্দোলন করেছিলেন।
তারপর আরেক সমবায় উদ্যোক্তা ড. আখতার হামিদ খান ১৯৫৯-৬০ সালে কুমিল্লা জেলায় কৃষকদের সংগঠিত করে তাদের কল্যাণার্থে সমবায়ের সুফল ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য ‘কুমিল্লা মডেল’ চালু করেন।
বক্তারা বলেন, বর্তমানে সরকার দেশের সমবায়ীদের উপকারার্থে ‘একটি বাড়ি একটি খামার’ প্রকল্পটি বিগত দিনের সফলতার অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে সামনের দিনে দারিদ্র্য বিমোচনে আরো কার্যকর পদক্ষেপ রাখার জন্য ২০২০ সাল পর্যন্ত বৃদ্ধি করেছে। এ প্রকল্পটির উন্নয়ন ধারা অব্যাহত রাখতে ‘পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক’ নামে একটি ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেছে সরকার।
এই অঞ্চল সমবায়ী উর্বর ক্ষেত্র, এখানে সমবায় উদ্যাগের সফল প্রয়াস বয়ে আনতে পারে। দিবসের স্লোগানকে স্বার্থক করার আহ্বান জানিয়ে বক্তারা বলেন, মাতামুহুরী নদীতীরের জমিগুলো সমবায়ী সংগঠনগুলোকে হালসন লীজ প্রদান করে পেঁয়াজ-রুশুন, মরিচ চাষ করার পূর্ব ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনা প্রয়োজন।
এতে ‘উৎপাদন মুখী সমবায় করি’ প্রতিপাদ্যের বাস্তব প্রতিফলন হবে; অপরদিকে পরিবেশ ধংসকারী তামাক চাষ নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হবে।
‘উৎপাদন মুখী সমবায় করি, উন্নত বাংলাদেশ গড়ি’ এই স্লোগানকে প্রতিপাদ্য করে শনিবার উপজেলার সমবায় সংগঠনগুলোর উদ্যাগে, উপজেলা প্রশাসন ও সমবায় অধিদপ্তরের আয়োজনে এক বর্ণাঢ্য র্যালি উত্তোর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান ও বিশেষ অথিতি ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান থোয়াইনু অং চৌধুরী, বান্দরবান জেলা পরিষদের সদস্য মোস্তফা জামাল, এসি ল্যান্ড সায়েদ ইকবাল, নারী ফোরামের নেত্রী উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শরাবান তহুরা, মৌচাক কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি তমিজ উদ্দিন, বর্তমান সভাপতি, আ: শুক্কুর, প্রেসক্লাব সেক্রেটারী মো.কামরুজ্জামান প্রমূখ। বিশিষ্ট সমবায় ব্যক্তিত্ব ট্রেজারার জয়নাল আবেদীনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগতিক বক্তব্য দেন সমবায় অফিসার জাবেদ মীরজাদা।