Check PAGE RANK of Website pages Instantly

Check Page Rank of your Web site pages instantly:

This page rank checking tool is powered by PRChecker.info service

Tuesday, November 28, 2017

লামায় (সেইপ) অবহিতকরণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

কার্টেসিঃ মোহাম্মদ কামারুজ্জামান, সাংবাদিক, লামা, বান্দরবান।
*************************************
লামায় অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ কর্তৃক ‘স্কিলস ফর এমপ্লয়মেন্ট ইনভেষ্টমেন্ট প্রোগ্রাম (সেইপ) অবহিত করণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৮ নভেম্বর মঙ্গলবার  উপজেলা সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভাঃ) সায়েদ ইকবাল। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান থোয়াই নু অং চৌধুরী।

দারিদ্র বিমোচন ও টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করার লক্ষে বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ এ কর্মসূচী বাস্তবায়ন করছেন। কর্মসূচী সূত্রে জানাগেছে, ২০২০ সালের মধ্যে ৫ লক্ষ জনবলকে দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে। সেইপ প্রোগ্রাম কডিনেটর জিয়া উদ্দিন-এর সঞ্চালনায় অর্ধদিবস ব্যাপি অবহিতকরণ কর্মসূচীতে দক্ষতাবৃদ্ধি প্রশিক্ষণের উল্লেখযোগ্য বিষয় নিয়ে রেডিও, টিভিতে প্রচারাভিযানের ভিডিও চিত্র ও রেডিও জিঙ্গেল প্রদর্শন করা হয়।

সমাজের মধ্যবিত্ত, শিক্ষিত, অর্ধ শিক্ষিত, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রতিবন্ধি, নৃ-গোষ্ঠি, ৩০% নারীর অংশ গ্রহন নিশ্চিত করা হচ্ছে এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচীতে। প্রশিক্ষণ চলাকালে ভাতা প্রদান, প্রশিক্ষণ শেষে ৭০% চাকুরীর সুযোগ রাখা হয়েছে বলে সূত্রে জানাযায়। শিল্প প্রতিষ্ঠানের চাহিদার আলোকে বেসরকারি পর্যায়ে ১২ ইন্ড্রাস্ট্রি আ্যাসোসিয়েশন, সরকারি পর্যায়ে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, শিল্প মন্ত্রণালয়, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের আওতাধিন বিভিন্ন কারিগরী প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান এবং পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) ও বাংলাদেশ ব্যাংকের এসএমই বিভাগ তাদের সহযোগি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন, প্রশিক্ষনের প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা করছেন।

মোট ৩৭টি ট্রেডের উপর এই প্রশিক্ষণ হচ্ছে। এর মধ্যে অগ্রাধিকার ক্ষেত্র সমুহ হচ্ছে;  তৈরি পোষাক ও  টেক্সটাইল, নির্মাণ (কনস্ট্রাকশন), তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, জাহাজ নির্মাণ, চামড়া ও পাদুকা, ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি, এগ্রো ফুড্ প্রসেসিং, নার্সিং এন্ড হেল্থ টেকনোলজি।

অনুষ্ঠানে উপজেলার সরকারি বে-সরকারি বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক, সাংবাদিক, নারী ফেরাম ও জনপ্রতিনিধিরা অংশ নেন।

Monday, November 27, 2017

আসুন ডিপ্রেশনের ৮টি মারাত্মক লক্ষণ সম্পর্কে জানি!!!

‘ডিপ্রেশন’ শব্দটির সাথে বর্তমান যুগে পরিচয় থাকাটা খুবই স্বাভাবিক। তরুণ প্রজন্মের মধ্যে বহুল প্রচলিত একটি শব্দ- ‘ডিপ্রেশন’। কিছু বুঝে কিংবা না বুঝেই এই শব্দটি ব্যবহারের উদাহরণও কম নয়! ছোটখাটো মন খারাপকেও “আমি ডিপ্রেশনে আছি” বলে চালিয়ে দেয়াটা এখন হরহামেশাই ঘটে হয়তো আপনার বন্ধুমহলেও! ডিপ্রেশন মানে কি শুধুই মন খারাপ? নাকি তার চেয়েও অনেক বড় কিছু বোঝায় এই শব্দটি দ্বারা? মানবমনের একটি জটিল স্তরে গিয়ে মানুষ এই ডিপ্রেশনের শিকার হয়। রিডার্স ডাইজেস্ট অনুযায়ী, কেউ ডিপ্রেশনে ভুগছে কিনা তা জানার রয়েছে আটটি লক্ষণ। আজ সেই লক্ষণগুলো নিয়েই কথা বলবো। দেখে নেয়া যাক আসলেই কারা ডিপ্রেশনে ভুগছেন এবং কাদের মধ্যে দেখা যাচ্ছে এই লক্ষণগুলো?
১. অনুভূতিগুলো বেশিরভাগ লুকিয়ে রাখা:
অন্য কারো সাথে, প্রিয়জনদের সাথে, এমনকি কখনো কখনো নিজেদের সাথেও তারা তাদের সমস্যাগুলো নিয়ে কথা বলতে চায় না, সেগুলো লুকিয়েই রাখে। সমস্যাগুলো নিয়ে কথা বলতে তাদের ভালো লাগে না, তাই কখনো কারো সাথে ভাগ করে নিলে সেটি আরো স্পষ্টতা পাবে, এ ভয়ে সেগুলোকে সামনেই আসতে দেয় না। কিন্তু তাতে কি সমস্যা চলে যায়? চেপে রাখার কারণে তা আরো বাড়ে। কিন্তু সমস্যা নিয়ে ভাবাটাও তারা ভয় পায়। যতদিন পারা যায় পালিয়ে বেড়ায় এবং সমস্যাগুলোকে এর চূড়ান্ত পর্যায় পর্যন্ত বাড়তে দেয়। কোনো মন খারাপ বা কষ্টের অনুভূতিকে প্রকাশ করে না, কারণ তারা ভয় পান যে তা বেরিয়ে এলে কোনোভাবেই নিজেকে সামলাতে পারবে না, অনুভূতিগুলোকে তাই দমিয়েই রাখা হয়। কিন্তু একদিন সেগুলো একসাথে বিস্ফোরিত হবে, তখন? ডিপ্রেশনে ভোগা মানুষেরা অনুভূতির সকল দরজা-জানালা বন্ধ করে রাখে, ভ্যাপসা পরিবেশে একসময় নিজেরই গুমোট লাগে।
২. ভালো বা খারাপ- কোনোটাই না থাকা:
সাদা-কালোর মাঝখানে থাকা এক ধূসর এলাকায় আটকা পড়ে থাকে তাদের মন, বর্তমান সামগ্রিক পরিস্থিতি এবং তারা নিজে। তারা কখনো সত্যি করে বলেন না যে, তারা ভালো আছে না খারাপ! হয়তো নিজেরাই খুঁজে পায় না সেই ভালো থাকা না থাকার উত্তরটি। কেউ যখন জিজ্ঞেস করে, “কেমন আছেন?”, তখন সেই প্রশ্নটির উত্তর দিতে গিয়ে যেন ভাবনায় পড়ে যায় অথবা প্রতিদিন একটি মেকি প্রত্যুত্তর থাকে, “ভালো আছি” বা “আমি তো সবসময় ভালোই থাকি”। এটা যেন প্রশ্নকারীকে খানিকটা এড়িয়ে যাবার জন্যই জোর করে বলা।
৩. ইচ্ছে করেই প্রচন্ড ব্যস্ত একটি জীবন বেছে নেয়া:
দমিয়ে রাখা অনুভূতিগুলোর সাথে এঁটে উঠতে না পারার কারণে তারা বেছে নেয় নিজেদের প্রচন্ড ব্যস্ত রাখার পথটি, যাতে নিজের জন্য নিজেরই সময় না মেলে, অনুভূতিগুলো অতল গহ্বরে যাতে আরো চাপা পড়ে যায়। পড়াশোনা, চাকরি, অতিরিক্ত কাজের চাপ- সব মিলিয়ে তারা ধীরে ধীরে নিজেদের ডুবিয়ে দেয় একধরনের স্বেচ্ছাক্লান্তিতে। একটুও অবসর সময় রাখে না, দমবন্ধ একটি জীবন, তবু প্রাণ খুলে শ্বাস নিতে চায় না তারা! নিজের কাছ থেকে নিজেই কি পালায়? একটু বিনোদন, প্রিয়জনের সঙ্গ কিংবা একলা বসে ভাবা- কিছুই চায় না, নাকি পারে না? ডিপ্রেশন তাদেরকে তা করতে দিচ্ছে না। অতঃপর ধীরে ধীরে তলিয়ে যাওয়া হয় অতি পরিশ্রমে।
৪. অল্পতেই রেগে যাওয়া:
কারো অল্প হাসি বা আনন্দের প্রকাশেও যেন বিরক্ত লাগে তাদের। কেউ ভালো কথা বললেও আর ভালো লাগে না। একটু পরপর রাগ হয়। সুখ-দুঃখের অনুভূতিকে চাপা দিয়ে তাদের সকল আবেগের বিকল্প হিসেবে তখন দেখা দেয় রাগ। অল্পতেই, হয়তো অকারণেই রেগে যায় আশেপাশের সবার ওপর। দূরত্ব সৃষ্টি হয় তাদের সাথে। তাৎক্ষণিক রাগের বহিঃপ্রকাশটা বেশ প্রবল হয়। কাউকে আঘাত করা বা জিনিসপত্র ভাংচুর পর্যন্তও গড়ায়। আগে যদি এই স্বভাব না থেকেও থাকে, তবুও ডিপ্রেশনের সময় এমনটা হতে পারে। ব্যক্তির নিজের উপরও রাগ হয়, এলোমেলো কারণ দর্শায়, নিজেই বুঝতে পারে না কী এই রাগের উৎস? উত্তর- ডিপ্রেশন।
৫. অহেতুক ঝুঁকিপূর্ণ আচরণ করা:
ডিপ্রেশনে আক্রান্তদের, বিশেষত পুরুষদের মধ্যে কোনো কারণ ছাড়াই ঝুঁকি নেবার প্রবণতা বেড়ে যায়। খুব জোরে গাড়ি চালানো, পথ চলতে অন্যমনস্কতা, অতিরিক্ত ধূমপান কিংবা মদ্যপান, জুয়া খেলা, নিজেকে বা অন্যকে আঘাত করা ইত্যাদি ঝুঁকিপূর্ণ আচরণ দেখা দেয়। “যা ঘটে ঘটুক”- এ ধরনের একটা আচরণ দেখা দেয় ডিপ্রেশনে ভোগা মানুষের মধ্যে। দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োজনীয় অনেক কিছুই তারা এড়িয়ে যায়, সামাজিক সম্পর্কে অবনতি দেখা দেয়, নিঃসঙ্গতা পেয়ে বসে। তারা নিজের অজান্তেই এমন ঝুঁকিপূর্ণ কাজের মধ্যে ডুবে যায় এবং নিজের জীবনের অনেক ক্ষতি করে ফেলে।
৬. চিন্তা-ভাবনায় অস্পষ্টতা:
সব সমস্যাকে চেপে রাখার ফলে মস্তিষ্কের অবস্থা এমন হয় যে ভালো করে কিছু চিন্তা করতেই পারে না। কোনো একটি বিষয়ে ফোকাস করে তা নিয়ে ভাবা এবং পর্যায়ক্রমে সমাধান করাও হয়ে ওঠে দুঃসাধ্য একটি ব্যাপার। ভাবনায় খেই হারিয়ে ফেলা, অবিন্যস্ত কথোপকথন, কথায় যুক্তি কিংবা আবেগ দুটোরই প্রবল অভাব, কথা বলা কমে যাওয়া, কথা খুঁজে না পাওয়া ইত্যাদি ডিপ্রেশনের লক্ষণ। চিন্তা-ভাবনা ও তা প্রকাশের মাধ্যমেই একটি সফল যোগাযোগ স্থাপিত হয়। কিন্তু যখন ভাবনার গতি খুব ধীর হয়ে যায়, তখন সেভাবে কথাও আসে না আর যোগাযোগেও দেখা দেয় অস্পষ্টতা। এ সময় মানুষ প্রচন্ড সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগে। কী খাবে, কোথায় যাবে, কী কিনবে এসব সিদ্ধান্ত নেয়াও বেশ কঠিন কাজ বলে মনে হয়, অন্যান্য সমস্যার কথা ভাবা তো দূরের কথা!
৭. নিজের পছন্দের কাজগুলো আর না করা:
নিজের সৃজনশীলতার সাথে সম্পর্কিত কোনো কাজ, যেমন ছবি আঁকা, ছবি তোলা, গান গাওয়া, লেখালেখি, নাচ করা ইত্যাদি সব ধীরে ধীরে কমিয়ে দেয়া এবং একসময় আর না করা ডিপ্রেশনের একটি মারাত্মক লক্ষণ। যে কাজগুলো একজন শুধু করার জন্য করে না, বরং আত্মতৃপ্তির জন্য করে, তা নিজেকে পথচলার শক্তি যোগায়। কিন্তু ডিপ্রেশনে ভোগা মানুষগুলো সেই কাজগুলো করাই একসময় থামিয়ে দেয় এবং নিজেদের মধ্যে সেগুলো করার কোনো তাগিদ অনুভব করে না বলে জানায়। আশেপাশের মানুষজন অবাক হয়, হয়তো সে নিজেও অবাক হয়। কিন্তু তবু কোথায় কেমন যেন ছন্দপতন ঘটে যায়!
৮. অন্তর্মুখী ও এককেন্দ্রিক হয়ে পড়া:
ডিপ্রেশনে ভোগা মানুষটির জীবনে ধীরে ধীরে অন্যের জায়গা কমে যেতে শুরু করে এবং সবটুকু জুড়ে শুধু সে-ই থাকে। অন্যের ভালোলাগা, মন্দলাগা বা কোনো অনুভূতি তার কাছে তেমন কোনো দাম পায় না। একসময় নিজেও ব্যাপারটা বুঝতে পারে এবং এজন্য নিজেকে দোষী ভাবে। কিন্তু তারপরও নিজস্ব সেই গন্ডি থেকে বের হতে পারে না। পরিবার, বন্ধু-বান্ধব, প্রেমিক-প্রেমিকা সহ সব ধরনের ব্যক্তিগত ও সামাজিক সম্পর্কে অবহেলা, কারো মতামতকে প্রাধান্য না দেয়া, নার্সিসাস কমপ্লেক্সের সূত্রপাত ইত্যাদি লক্ষণ দেখা যায়। এর ফলে সকলেই ব্যক্তিটির কাছ থেকে দূরে সরে যেতে শুরু করে এবং সে পুরোপুরি একা হয়ে পড়ে। একাকিত্ব যত গ্রাস করে, ডিপ্রেশন আরো বাড়তে থাকে। একধরনের চক্রাকার প্রক্রিয়ায় ডিপ্রেশন গিলে খায় ব্যক্তিটিকে এবং তার জগতটাও ক্রমশ ছোট হয়ে আসে।
কার্টেসিঃ ফিচার ইমেজ- annabelle.ch/

Saturday, November 25, 2017

৭ই মার্চের ভাষণ স্বীকৃতি: লামার গজালিয়ায় আনন্দ শোভাযাত্রা সম্পন্ন



কার্টেসিঃ উথোয়াই মার্মা জয়, উদীয়মান ব্লগার, লামা, বান্দরবান পার্বত্য জেলা।

বঙ্গবন্ধু তার ৭ই মার্চের ভাষণে বিজয়ী দল হিসেবে আওয়ামীলীগের নির্দেশনা অনুযায়ী দেশ পরিচালনার ঘোষণা দেন।
জনগনের প্রতি পাকিস্তান সরকারের সঙ্গে সর্বাত্মক অসহযোগিতার নির্দেশ দিয়ে তিনি তার ভাষণে কোট-কাচারি, অফিস, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেন। প্রয়োজনে যুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষে তিনি বলেন, “প্রত্যেক গ্রামে ও মহল্লায়, আ’লীগের নেতৃত্বে সংগ্রাম পরিষদ গড়ে তোল এবং তোমাদের যার যা কিছু আছে তা নিয়ে প্রস্তুত থাকবা।
বক্তৃতায় আরো বলেন “প্রত্যেক ঘরে ঘরে দূর্গ গড়ে তোল। “এ কথায় গেরিলা যুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশকে মুক্ত করার প্রকাশ্য নির্দেশ পাওয়া যায়। ততকালিন দশ লক্ষ লোকের জনসবায় বঙ্গবন্ধুর বক্তৃতায় ‘বাংলাদেশ’ শব্দটি ব্যবহার করে ভবিষ্যৎ নতুন রাষ্ট্রের নামকরনে চুড়ান্ত করেন। তার ভাষণের শেষ অংশে “এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম ” ঘোষণা দিয়ে তিনি স্পষ্টভাবেই স্বাধীনতার ডাক দেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক সেই ৭ মার্চের ভাষণ ইউনেস্কোর “মেমোরি অব দ্য’ ওয়াল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্ট্রার” এ অর্ন্তভুক্তির মাধ্যমে” বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্যের’ র” স্বীকৃতি লাভ করায় সারা দেশের ন্যায় বান্দরবান লামায় গজালিয়া ইউনিয়নে আনন্দ শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

লামায় উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আনন্দ শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত



কার্টেসিঃ উথোয়াই মার্মা জয়, উদীয়মান ব্লগার, লামা, বান্দরবান পার্বত্য জেলা।
বান্দরবান লামায় আনন্দ শোভাযাত্রা উদযাপিত বান্দরবানের লামায় বিপুল উৎসাহ-উদ্দিপনা ও বর্ণাঢ্য কর্মসুচির মধ্যেদিয়ে “আনন্দ শোভাযাত্রা” উদ্যাপিত হয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ ইউনেস্কোর “মেমোরি অব দ্য ওর্য়াল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টার’-এ অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে “বিশ্ব প্রামাণ্য ইতিহ্যের” স্বীকৃতি লাভের অসামান্য অর্জনকে স্মরনীয় করে রাখার উদ্দেশ্যে এ “আনন্দ শোভাযাত্রা”র আয়োজন করা হয়। 

Friday, November 24, 2017

সুয়া চান পাখি আমার, আমি ডাকিতাছি তুমি ঘুমাইছ নাকি?

''সুয়া চান পাখি আমার, আমি ডাকিতাছি তুমি ঘুমাইছ নাকি'’- এমন বহু কালজয়ী গানের গায়ক, প্রখ্যাত সংগীত শিল্পী, গীতিকার ও বংশীবাদক বারী সিদ্দিকী আর নেই। বৃহস্পতিবার রাত দুইটায় রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯ টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে, সাড়ে ১০টায় বাংলাদেশ টেলিভিশনে এবং বাদ আসর নেত্রকোনা সরকারি কলেজ মাঠে তৃতীয় জানাযা শেষে তার নিজ গ্রাম কালিগ্রামের চল্লিশা বাজারের নিজের গড়া ‘বাঊল বাড়িতে দাফন করা হবে এ গুণী শিল্পীকে।
কয়েকদিন আগে থেকেই অসুস্থ হয়ে আইসিইউতে ছিলেন ‘পূবালী বাতাসে’র এ শিল্পী। সেখানে তাকে লাইফ সাপোর্ট দিয়ে রাখা হয়।
স্কয়ার হাসপাতালের নেফ্রোলজি বিভাগের চিকিৎসক ডা. আবদুল ওহাব খানের তত্বাবধানে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, তার দুটি কিডনি অকার্যকর। বহুমূত্র রোগেও ভুগছিলেন এ শিল্পী।
গত ১৯ নভেম্বর রাতে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হন। পরে মাঝরাতে তাকে অচেতন অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
১৯৫৪ সালের ১৫ নভেম্বর নেত্রকোনা জেলায় এক সঙ্গীতজ্ঞ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন বারী সিদ্দিকী। শৈশবে পরিবারের কাছে গান শেখায় হাতেখড়ি হলেও ১২ বছর বয়সেই ওস্তাদ গোপাল দত্তের কাছে তার আনুষ্ঠানিক তালিম শুরু হয়।  এরপর ওস্তাদ আমিনুর রহমান, দবির খান, পান্নালাল ঘোষসহ অসংখ্য গুণীশিল্পীর সরাসরি সান্নিধ্য লাভ করেন তিনি।
ওস্তাদ আমিনুর রহমান একটি কনসার্টে বারী সিদ্দিকীকে দেখে প্রশিক্ষণের প্রস্তাব দেন। পরে ছয় বছর ধরে তিনি ওস্তাদ আমিনুর রহমানের কাছে প্রশিক্ষণ নেন।
সত্তরের দশকে জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাথে যুক্ত হন বারী সিদ্দিকী। ওস্তাদ গোপাল দত্তের পরামর্শে ক্লাসিক্যাল মিউজিক নিয়ে পড়াশোনা শুরু করেন। পরবর্তীতে বাঁশির প্রতিও আগ্রহী হয়ে ওঠে বাঁশি ও উচ্চাঙ্গসঙ্গীতে প্রশিক্ষণ নেন। নব্বইয়ের দশকে ভারতের পুনে গিয়ে পণ্ডিত ভিজি কার্নাডের কাছে তালিম নেন।
দেশে ফিরে এসে লোকগীতির সাথে ক্লাসিক মিউজিকের সম্মিলনে গান গাওয়া শুরু করেন। ১৯৯৯ সালে বছর হুমায়ূন আহমেদের ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’ ছবিতে গান গেয়ে সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন দীর্ঘদিন ধরে সঙ্গীত নিয়ে কাজ করা বারী সিদ্দিকী।
তার জনপ্রিয় গানগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘সুয়াচান পাখি আমি ডাকিতাছি তুমি ঘুমাইছ নাকি’, ‘পুবালি বাতাসে’, ‘আমার গায়ে যত দুঃখ সয়’, ‘ওলো ভাবিজান নাউ বাওয়া’, ‘মানুষ ধরো মানুষ ভজো’ ইত্যাদি।
কার্টেসিঃ নিউজ অনলাইন-চ্যানেল আই।

Wednesday, November 15, 2017

সরকারী সফরে ভিয়েতনাম যাচ্ছেন লামার ইউএনও খিনওয়ান নু



কার্টেসিঃ মো. নুরুল করিম আরমান, সাংবাদিক, লামা, বান্দরবান।
১০ দিনের সরকারী সফরে মাঠ পর্যায়ে সরকারের অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য ভিয়েতনাম যাচ্ছেন বান্দরবানের লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার খিনওয়ান নু। 
মাঠ পর্যায়ে সরকারের মিশন-ভিশন বাস্তবায়নে উদ্ভাবনী উদ্যোগ গ্রহণ ও প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্ন প্রসুত অগ্রাধিকার ভিত্তিক একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের আওতায় উপকারভোগীদের জীবনমান উন্নয়নে সহজ শর্তে ঋণদান কার্যক্রম শতভাগ বাস্তবায়নে জোড়দারকরণ ও বেগবানকরণে কার্যকরী ভুমিকা পালন করায় তিনি এ সফরের সদস্য হিসেবে মনোনিত হয়েছেন। বিমান যোগে ভিয়েতনামে উপস্থিত হয়ে শনিবার থেকে অনুষ্ঠিত ‘Exposure Visit to Rural Transformation Program: The Vietnam Experience এ যোগদান করবেন তিনি। ১৮ সদস্য বিশিষ্ট সরকারী এ সফরে টিম লিডার হিসেবে থাকবেন, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের যুগ্ন সচিব নাসরিন আক্তার চৌধুরী।

Tuesday, November 14, 2017

লামায় মাসিক আইন শৃঙ্খলা, সধারণ সভাসহ বিজয় দিবসের প্রস্ততিমূলক সভা অনুষ্ঠিত...

কার্টেসিঃ মোহাম্মদ কামারুজ্জামান, সাংবাদিক, লামা, বান্দরবান।
******************************************
লামা উপজেলা মাসিক আইন শৃঙ্খলা, সধারণ সভা ও বিজয় দিবসের প্রস্ততিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৪ নভেম্বর (মঙ্গলবার) সকাল ১১ টায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার খিন ওয়ান নু-এর সভাপতিতে অনুষ্ঠিত বিজয় দিবসের প্রস্তুতিমূলক সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান থোয়াই নু অং চৌধুরী। বিশেষ অথিতি ছিলেন, সহকারী কমিশনার (ভুমি) সায়েদ ইকবাল, স্বা:প:প: কর্মকর্তা ডা: উইলিয়াম লুসাই, ভাইস চেয়ারম্যান শরাবান তহুরা, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন, বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব শেখ মাহবুবুর রহমান।
সভায় আগামী ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস-১৭ যথাযথ মর্যাদায় পালনের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে প্রস্তুত থাকার আহবান জানানো হয়। আনঁন্দঘন পরিবেশে দিবসটি সফলভাবে পালনের লক্ষ্যে বিভিন্ন দিক নির্দেশনা ও কর্মসূচী নির্ধারণসহ দিবস উদযাপন কমিটি, উপ-কমিটি গঠনের প্রস্তাব গৃহীত হয়। অনুষ্ঠানে সকল বিভাগীয় প্রধানদ্বয়, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বেলা ১২টায় নির্বাহী অফিসারের সভাপতিত্বে আইন শৃঙ্খলা কমিটির ৫টি বিষয় নিয়ে সভা অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে রয়েছে; উপজেলা চোরাচালান প্রতিরোধ কমিটির সভা, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কমিটির সভা, নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির সভা, আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভা ও সন্ত্রাস-নাশকতা প্রতিরোধ কমিটির সভা।
সভায় বক্তরা বলেন, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের তুলনায় পার্বত্য লামা উপজেলার আইন শৃঙ্খলা সন্তোষজনক। সভায় আজিজ নগর ইউপি চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন বলেন, আজিজ নগর হেডম্যানপাড়ায় বিপুল পরিমান চোলাইমদ তৈরি হচ্ছে। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন বাহিনী অভিযান করে এসব মদ ও তৈরির উপকরণ জব্দ করে কোন রকম এ অবস্থা নিয়ন্ত্রনে রাখা হচ্ছে।
কিন্তু ইদানিংকালে বেলাল হোসেন মধু নামের একজন ইয়াবা ছড়িয়ে দিচ্ছে পুরা ইউনিয়নে। ইয়াবা সম্রাট বেলাল হোসেনে ৩টি বাড়ি-ঠিকানা রয়েছে; এর মধ্যে আজিজ নগর ইউনিয়নে ২টি বাড়ি ও পার্শ্ববর্তী হারবাং এলাকায় রয়েছে আরেকটি বাড়ি। এর ফলে তাকে ধাওয়া করা হলে সে বিভিন্ন ঠিকানায় অবস্থান নেয়। এছাড়া ওই ইউনিয়নে বাহাদুর আলম টিসু ও স্থানীয় ভিডিপি পিসি নুর আলী নামের এ দু’জন ভূমি দস্যুতা ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করে সাধারণ মানুষকে অতিষ্ট করে তুলেছে। অপরাধিদের সাথে আজিজ নগর পুলিশ ক্যাম্পের আইসির যোগসাজস রয়েছে বলে চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন প্রকাশ্য সভায় অভিযোগ করেন। ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিগত মাসের আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে সম্পাদিত কর্মকান্ডের বর্নণা দিয়ে বলেন, থানায় ৫টি মামলা হয়েছে। ওয়ারেন্ট তামিল করা হয়েছে-৪৫টি, উপজেলার ইয়াংছা ও গজালিয়া এলাকায় ধর্ষণ ও ধর্ষনের চেষ্টায় ভিডিপি পিসিসহ ২ জন, অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে ভিনদেশি দু’ভান্তে, ও মাদকসহ আরো একজনকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও পরিবেশ অধিদপ্তর-এর কাজ নিয়ে জনমনে ব্যাপক প্রশ্ন উঠেছে।  উপজেলার সরই ইউনিয়ন হয়ে জেলা সদরের সংযোগ সড়কটিতে কয়েক মাসের ব্যবধানে দু’ মোটর চালক হত্যার ঘটনায় নিরাপত্তার অভাববোধ করছেন যাতায়তকারীরা। এমন শঙ্কা প্রকাশ করে বক্তারা বলেন, এসব খুনের অপরাধ থেকে কমিউনিটিকে রক্ষা করতে হলে; সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলোতে পুলিশ অফিসারারা গণসংযোগ অব্যাহত রাখতে হবে। এছাড়া জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাই-বাছায় সংক্রান্ত বিষয়ে সংশ্লিষ্টদেরকে আরো সতর্ক হওয়ার অনুরোধ জানানো হয়। কারণ ভূয়া জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করে অনেকে জমি বেছাবিক্রি সংক্রান্ত অনিয়মে জড়িয়ে পড়েছে। দুপুর ২টায় উপজেলা চেয়ারম্যান-এর সভাপতিত্বে মাসিক সাধারণ সভায় বিভাগীয় প্রধানরা বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ডের অগ্রগতি ও পর্যালোচনা প্রতিবেদন প্রদান করেন। সভায় ফাঁসিয়াখালী ইউপি চেয়ারম্যান জাকের মজুমদার তাঁ ইউনিয়নের গয়ালমারায় সেনা ক্যাম্প স্থাপন করে এলাকাবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করায় সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান।

Sunday, November 12, 2017

লামায় ছাত্রলীগের কান্ডারী হলেন মংক্যহ্লা ও শাহিন

লামা উপজেলায় ছাত্রলীগের সভাপতি মংক্যলাং, সাধারণ সম্পাদক শাহিন

কার্টেসিঃ মোহাম্মদ কামারুজ্জামান,সাংবাদিকলামাবান্দরবান পার্বত্য জেলা।
************************************

“শিক্ষা শান্তি প্রগতির নামে মোরা মুজিবের সৈনিক কাপিয়ে তুলবো সারা চরাচর মোরা কাপাবো দিগ্বিদিক ছাত্রলীগ জয় জয় ছাত্রলীগ”!!!!

লামা উপজেলা ও শহর শাখা ছাত্রলীগ কমিটির সভাপতি, সম্পাদক ও সাংগঠনিক পদ ঘোষণা

লামা উপজেলা ও শহর ছাত্রলীগের সম্মেলন শেষে কমিটির প্রেসিডেন্ট সেক্রেটারী ও সাংগঠনিক পদ সমুহের ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রিয় কমিটি। পূর্ব নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী আজ শনিবার ১১ নভেম্বর বাংলাদেশ ছাত্রলীগ লামা উপজেলা ও শহর শাখার বার্ষিক সম্মেলন ছিল। ব্যাপক উৎসাহ উদ্দিপনা ও জমজমাট আয়োজনের মধ্যদিয়ে সফল সমাপ্তি ঘটেছে এই সম্মেলনের। সূত্রে জানাগেছে; উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পদে মংসুইহ্লাম চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক পদে মো: শাহিনকে সেক্রেটারী ঘোষণা করা হয়েছে।
**
অপরদিকে লামা শহর শাখার সভাপতি পদে বিপ্লব নাথ ও সেক্রেটারী পদে সুমন মাহমুদকে ঘোষণা দেয়া হয়েছে। দিন ব্যাপি নানা কর্মসূচী শেষে সন্ধ্যায় লামা শহর মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে এই ঘোষণার পর শহর জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে খন্ড খন্ড আঁনন্দ মিছিল।
**
ঘোষিত ছাত্রলীগ নেতারা আগামী দিনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সুমহান ত্যাগ দায়িত্বশীলতায় ছাত্ররাজনীতির গৌরবময় ঐতিহ্য রক্ষা করে সাংগঠনিক কার্যক্রম বেগবান করবেন; বর্ণময় সভ্যতার এই উপজেলায়।এই নবীন নেতৃত্বে সকল অপশক্তি আর ষড়যন্ত্রকারিদের কবল থেকে মুক্ত হবে সমাজ; এমন প্রত্যাশা সকলের।

Saturday, November 11, 2017

লামায় ছাত্রলীগের সম্মেলন'১৭ "ছাত্রলীগ হবে আদর্শের পাঠশালা": সাইফুর রহমান সোহাগ।


কার্টেসিঃ মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, সাংবাদিকলামাবান্দরবান পার্বত্য জেলা।
************************************
****************** ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে বান্দরবানের লামা উপজেলা ও পৌর শাখা ছাত্রলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। শনিবার উপজেলা পরিষদ চত্বরে বিশাল পরিসরে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা এক পর্যায়ে বিশাল জনসভায় পরিণত হয়। সকালে ১ম পর্বে আলোচনা সভা ও বিকেলে ২য় পর্বে সম্মেলন কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হবে। 
উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন এর সভাপতিত্বে সম্মেলনে সম্মানিত অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ। বান্দরবান জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি কাউছার সোহাগ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মংচাইন মার্মার সঞ্চালনায় সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন বান্দরবান জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্ণা।

Friday, November 10, 2017

লামায় ছাত্রলীগ সম্মেলন ঘিরে সকল প্রস্তুতি সম্পন্নঃ এখন শুধুই অপেক্ষা!!!

কার্টেসিঃ-সিএইচটি টাইমস নিউজ ডেস্ক
*******************************
সংসদীয় আসন (৩০০) বান্দরবান পার্বত্য জেলার ভোটের রাজনীতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এলাকা লামা উপজেলা ও লামা পৌর শাখা ছাত্রলীগের সম্মেলনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি।লামা উপজেলার শীর্ষ ও জনপ্রিয় ছাত্রসংগঠন লামা উপজেলা ছাত্রলীগ ও শহর শাখা ছাত্রলীগের সম্মেলনে স্বয়ং কেন্দ্রীয় কার্য্যনির্বাহী সংসদের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন যা উপজেলার সার্বিক রাজনৈতিক পরিমন্ডলে ভিন্ন মাত্রা এনে দিয়েছে। 
এবিষয়ে সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব মংসাইনু মার্মা জানিয়েছেন, সম্মেলন সফল করার লক্ষ্যে বেশ কয়েকটি উপকমিটি গঠন করা হয়েছে।সেসব উপকমিটি সম্মেলন সফলভাবে শেষ করতে একযোগে কাজ করছে। আশাকরি বান্দরবান জেলা ছাত্রলীগের রাজনীতিতে এবারের উপজেলা সম্মেলনটি ঐতিহাসিক ভাবে ইতিহাসের পাতায় স্থান করে নিবে।এবিষয়ে তিনি সিএইচটি টাইমস ডটকমকে আরও বলেন,সম্মেলনের অতিথিদেরকে লামার প্রবেশ মুখ হাঁসের দিঘী এলাকায় প্রথমে ফাসিঁয়াখালী ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা বরন করে নিবে।পরে লামার পর্যটন স্পট হিসেবে সুপরিচিত মিরিঞ্জা থেকে লামা উপজেলা ও শহর শাখার নেতাকর্মীরা ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ,সম্মেলনের প্রধান অতিথি বান্দরবান জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি ক্য শৈ হ্লা, সম্মেলনের উদ্বোধক কাওসার সোহাগ সহ বান্দরবান জেলা আওয়ামীলীগ এর শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দ কে বরণ করে নিয়ে তিন শতাধিক মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা সহকারে লামার মূল শহরে প্রবেশ করবেন।