কার্টেসিঃ মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, সাংবাদিক, লামা, বান্দরবান পার্বত্যজেলা।
.............................................................
বান্দরবানের লামায় ‘পুষ্টি চাল পরিচিতি’ শীর্ষক সচেতনতামূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত লামা টাউন হলে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং উপজেলা প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার খিনওয়ান নু'র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব রায়না আহম্মেদ। আরো উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান থোয়াইনু অং চৌধুরী, বিশ্ব খাদ্য সংস্থার প্রোগ্রাম অফিসার ড. মাহবুবুর রহমান, জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সুস্মিতা খীসা, জেলা খাদ্য কর্মকর্তা, সকল ইউপি চেয়ারম্যান, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা থানচি ও রুমা, সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধি সহ প্রমুখ। কর্মশালায় কক্সবাজারের মহেশখালী, কক্সবাজার সদর, বান্দরবানের লামা, থানচি ও বান্দরবান সদর উপজেলার সকল খাদ্য অফিসার, ট্যাগ অফিসার ও মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা অংশ নেন।
কর্মকর্তারা বলেন, পুষ্টি চালে ভিটামিন-এ, ভিটামিন-বি-১, ভিটামিন-১২, ফলিক অ্যাসিড, আয়রন ও জিংক রয়েছে। পুষ্টি চালের সংরক্ষণ ও রন্ধনপদ্ধতি অন্যান্য চালের মতোই। বর্তমানে এ কার্যক্রম দেশের ১৫টি জেলার ৩৫টি উপজেলায় সম্পন্ন করা হচ্ছে। আগামীতে ১১২টি উপজেলায় এ প্রকল্প চালুর পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। ‘সঠিক খাবার খেলে সঠিক পুষ্টি মেলে’ এই প্রতিপাদ্যে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি, নিউট্রিশন ইন্টারন্যাশনাল, ডিএসএম, আইসিডিডিআর,বি ও নেদারল্যান্ড সরকারের যৌথ উদ্যোগ এবং গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স কানাডার আর্থিক সহায়তায় এই কার্যক্রম চলছে।
কর্মশালায় মাল্টিমিডিয়া প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে পুষ্টি সচেতনতা, খাদ্য সুরক্ষা, পুষ্টি চাল উৎপাদন ও বিতরণের বিষয়ের উপর আলোকপাত করেন বিশ্ব খাদ্য সংস্থার প্রোগ্রাম অফিসার ড. মাহবুবুর রহমান। পুষ্টি চালের প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে নেদারল্যান্ড ভিত্তিক বৈজ্ঞানিক খাবার ও অন্যান্য সামগ্রী উৎপাদনকারী বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান ডিএসএম।
প্রধান অতিথি বলেন, বাংলাদেশ সরকার মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং খাদ্য অধিদপ্তর কর্তৃক বাংলাদেশে পুষ্টিচালের উৎপাদন ও ব্যবহার চালু করা হয়েছে। বর্তমানে এ কার্যক্রম বাংলাদেশের ১৫টি জেলার ৩৫টি উপজেলায় সম্পন্ন করা হচ্ছে। পরীক্ষামূলক পর্যায়ে এই উদ্যোগ উপকারভোগীদের কাছে গ্রহনযোগ্য ও সুফলদায়ক হিসেবে বিবেচিত হয়েছে বলে তিনি বলেন।