Check PAGE RANK of Website pages Instantly

Check Page Rank of your Web site pages instantly:

This page rank checking tool is powered by PRChecker.info service

Friday, March 30, 2018

ফুলেল সংবর্ধনায় লামার নবাগত ইউএনও নূর-এ-জান্নাত রুমী

কার্টেসিঃ মোহাম্মদ কামারুজ্জামান, সাংবাদিক, লামা, বান্দরবান পার্বত্যজেলা।
************************************লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূর-এ-জান্নাত রুমী তাজা ফুলের স্নিগ্ধ ছোঁয়ায় সংবর্ধিত। লামা নবাগত ইউএনও ২৮ মার্চ বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত বুঝে নিয়ে দাপ্তরিক কাজে মনোনিবেশ করেন। যোগদানের প্রথম কার্যদিবসে পার্বত্য মন্ত্রীর পটকল হিসেবে শেখ রাসেল স্মৃতি ফুটবল কাপ এর ফাইনাল খেলায় বিশেষ অতিথি হিসেবে চাম্পাতলী মাঠে উপস্থিত হন। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সদ্য যোগদানকৃত নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় ছিল লোকারণ্যে পরিপূর্ন।
**
সকাল ১০টায় উপজেলা দূর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি কর্তৃক “দূর্নীতি প্রতিরোধ সপ্তাহ পালন উপলক্ষ্যে র‌্যালি ও আলোচনা সভায় তিনি বিশেষ অতিথির বক্তব্যে দূর্নীতিমুক্ত সমাজ, জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে তরুণ প্রজম্মসহ সকল সেক্টরের উদ্দেশ্যে নৈতিকতা-দায়িত্ববোধ থেকে কাজ করার আহ্বান জানান। এর আগে সকাল থেকে দলে দলে বিভিন্ন পেশা-শ্রেণির মানুষ, সামাজিক, রাজনৈতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে এবং কর্মচারী-কর্মকর্তারা তাজা ফুলেল শুভেচ্ছা জানান নবাগত ইউএনও কে।
**
বেলা ১২টায় লামা প্রেসক্লাব, রিপোর্টাস ক্লাব-এর সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ আনুষ্ঠানিক দেখা করেন নির্বাহী অফিসার নূর-এ-জান্নাত রুমীর সাথে। এসময় তিনি এলাকার উন্নয়নে সরকারের যাবতীয় কর্মকান্ড তরান্বিত করা ও আইন শৃঙ্খলার স্বাভাবিকতা বঝায় রাখতে মিডিয়ার সর্বাত্বক সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন। সরকারের সকল উন্নয়নে জনকল্যাণ সাধিত হওয়ার পেছনে মাঠ প্রশাসনের ঐতিহ্যগত ভূমিকা যেমনি রয়েছে, তেমনি জনপ্রতিনধি, সাংবাদিক সু-শীল সমাজেরও রয়েছে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা। অত্যান্ত স্বাবলিল ও দৃড়তার সাথে এই নারী কর্মকর্তা বলেন, ‘সরকার যখন যে দায়িত্ব দিবেন; তা পালন করাই আমাদের মূল লক্ষ্য’।
**
তিনি বলেন, ভুলভ্রান্তি মানুষের হতে পারে; এর জন্য কাউকে দোষারোপ না করে সংশোধন হয়ার সুযোগ দেয়া উচিৎ। সূতরাং কোন বিষয়ে পূর্বে আলোচনা করে আত্মপক্ষ সমর্থনের পথ রেখে প্রচার করা যেতে পারে। এলাকায় সরকারের যাবতীয় উন্নয়ন কর্মকান্ড জনকল্যাণ ও গতিশীলতা আনতে তিনি সাংবাদিকসহ সকলের সহযোগিতা চান।
এসময় লামা প্রেসক্লাবের সভাপতি প্রিয়দর্শী বড়ুয়া, সাধারণ সম্পাদক মো.কামরুজ্জামান, সহসভাপতি এমটি রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল করিম আরমান, কোষাধক্ষ্য এম বশিরুল আলম, সদস্য সাহাবউদ্দিন রিটু, রিপোর্টাস ক্লাব সভাপতি মো: রফিকুল ইসলাম, সদস্য আবুল কাশেম প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।

Saturday, March 10, 2018

লামায় সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৫০ বছর পূর্তি উৎসব সুবর্ণ জয়ন্তী সম্পন্ন

লামা সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৫০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর
কার্টেসিঃ মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, সাংবাদিক, লামা, বান্দরবান পার্বত্যজেলা।
ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা ও বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে বান্দরবান পার্বত্য জেলার লামা সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৫০ বছর পূর্তি ও সূবর্ণ জয়ন্তী উৎসব উদযাপন করা হয়েছে। সূবর্ণ জয়ন্তী অনুষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও বেলুন উড়িয়ে সুবর্ণ জয়ন্তী উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের সচিব হেলাল উদ্দিন আহমেদ, জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমির পরিচালক অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল, বান্দরবান জেলা প্রশাসক মো. আসলাম হোসেন, পুলিশ সুপার জাকির হোসেন মজুমদার। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃ-বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. রহমান নাছির উদ্দিন। এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন, আলীকদম জোন কমান্ডার মাহাবুর রহমান পিএসসি, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য কাজল দাশ, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইসমাইল, লামা উপজেলা চেয়ারম্যান থোয়াইনু অং চৌধুরী, পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য মোজাম্মেল হক বাহাদুর, লক্ষীপদ দাশ, মোস্তফা জামাল, ফাতেমা পারুল, উপজেলা নিবার্হী অফিসার খিংওয়ানু ও লামা পৌরসভার মেয়র ও সূবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন কমিটির আহবায়ক মো. জহিরুল ইসলাম।
সূবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে শনিবার সকাল ১১টায় উক্ত বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালী বের করা হয়। ঘোড়ার গাড়ীতে চড়ে র‌্যালীর নেতৃত্ব দেন পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপি। এছাড়া আলোচনা সভা, মধ্যাহ্ন ভোজ, স্মৃতি চারণ ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। প্রধান অতিথি পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি অনুষ্ঠানের ব্যয়ের জন্য লামা সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অনুষ্ঠানের সভাপতি বীথি তংচংগ্যার হাতে ২ লক্ষ টাকার চেক প্রদান করেন।
লামা সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের সূবর্ণ জয়ন্তী অনুষ্ঠানকে ঘিরে সমগ্র লামাবাসী আনন্দে মেতে উঠে। এই যেন নবীন-প্রবীণ শিক্ষার্থী, সাবেক-বর্তমান শিক্ষক, অভিভাবক ও স্থানীয়দের মিলন মেলায় পরিণত হয় বিদ্যালয় প্রাঙ্গন।

Friday, March 9, 2018

নির্মাণের ৪ বছরেও চালু হয়নি লামা সদর ইউপি কমপ্লেক্স ভবন!!!

নির্মাণের ৪ বছরেও চালু হয়নি লামা সদর ইউপি কমপ্লেক্স ভবন!!!
.............................................................
কার্টেসিঃ মো. নুরুল করিম আরমান, সাংবাদিক, লামা।
নির্মাণের চার বছর পরও চালু হয়নি বান্দরবানের লামা উপজেলার ২নং লামা সদর ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন।
এলাকাবাসীর দীর্ঘ দিনের দাবির প্রেক্ষিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপির প্রচেষ্টায় ভবনটি নির্মাণ করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। 
নির্মাণ কাজ শেষে ২০১৪ সালে ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃপক্ষের নিকট হস্তান্তর করা হয়। অথচ হস্তান্তরের দীর্ঘ দিনেও চালু না হওয়ার কারণে বর্তমানে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে ভবনটি। আবার এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে রাতের বেলায় ভবনটিতে চলে বখাটেদের আড্ডা। ভোগান্তি লাঘবে দ্রুত পরিষদ কমপ্লেক্স ভবনটি চালুর দাবি জানিয়েছেন ইউনিয়নবাসী।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, উপজেলা সদর থেকে বিচ্ছিন্ন ইউনিয়নের নাম লামা ইউনিয়ন। এর এলাকাসমূহ খুবই দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় অবস্থিত। বর্তমানে পৌর শহরে অবস্থিত দুটি কক্ষে অস্থায়ী ভাবে চলে পরিষদের বিভাগীয় কার্যক্রম। তাই স্থানীয় জনসাধারণকে মাতামুহুরী নদীসহ প্রায় ৪ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে সরকারি সেবা নিতে যেতে হয় পৌর শহরে। 
শুকনো মৌসুমে কোনো মতে নৌকায় পার হতে পারলেও বর্ষা মৌসুমে নদী পাড়ি দেয়া ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। এতে চরম ভোগান্তির সম্মুখীন হন স্থানীয় জনসাধারণ। এ ভোগান্তি লাঘবে প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপির ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ইউনিয়নের আশ্রয়ন প্রকল্প এলাকায় ৫০ শতক জমির ওপর ভবনটি নির্মাণ করা হয়। 
৮৮ লাখ ৪৯ হাজার টাকা ব্যয়ে ২০১৪ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি লামা ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ভবনের নির্মাণ কাজ শেষ করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের তৎকালীন চেয়ারম্যান ও বর্তমানে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি ২০১৩ সালের ৫ সেপ্টেম্বর ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।  নির্মিত ভবনে এলজিইডি, শিক্ষা, বিআরডিবি, আনসার ভিডিপি, জনস্বাস্থ্য, প্রাণিসম্পদ ও কৃষি বিভাগের কার্যক্রমের জন্য নবনির্মিত ভবনে নির্ধারিত কক্ষ রয়েছে। এ ছাড়া চেয়ারম্যান, সদস্য, সচিবের জন্য অফিস কক্ষসহ রেস্ট হাউস এবং হলরুমও রয়েছে এটিতে। 
বৃহস্পতিবার দুপুরে সরজমিন পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায়, দোতলা পরিষদ কমপ্লেক্স ভবনটির বারান্দায় জ্বালানী কাঠের স্তুপ। দীর্ঘদিন ব্যবহার না হওয়ায় দরজায় লাগানো তালাগুলোতে মরিচা পড়ে গেছে। নষ্ট হয়ে গেছে ভবনের রংও। দেখলে মনে হবে যেন, এটি অনেক দিনের পুরানা একটি পরিত্যক্ত ভবন। অথচ ভবনে বিদ্যুৎ সংযোগও রয়েছে। প্রতিটি কক্ষে রয়েছে বৈদ্যুতিক পাখা। 
ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আক্তার কামাল ও স্থানীয় বাসিন্দা মালেক, জসিম, আবদুর রহিমসহ অনেকে বলেন, দীর্ঘ চার বছরেও চালু না হওয়ায় ভবনটি রাতের বেলায় বখাটেদের আস্তানায় পরিণত হয়। আর ভবন থাকা সত্ত্বেও উপজেলা সদরের পৌরসভায় অবস্থিত লামা ইউপির অস্থায়ী অফিসে গিয়ে জনসাধারণকে সেবা গ্রহণ করতে হয়। 
তারা আরও বলেন, এলাকাবাসীর দাবীর প্রেক্ষিতে ইউনিয়ন পরিষদ ভবনটি নির্মাণের ব্যবস্থা করায় প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপির নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। জনস্বার্থে পরিষদ কমপ্লেক্স ভবনটি চালু করা হলে জনসাধারণের ভোগান্তি লাঘব হবে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) লামা উপজেলা প্রকৌশলী মোবারক হোসেন জানান, ইউনিয়ন পরিষদ ভবন নির্মাণের পর পর চেয়ারম্যানের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। নবনির্মিত ভবনে ইউপি’র প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্ব এখন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের ওপর। 
এ বিষয়ে লামা সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মিন্টু কুমার সেন জানিয়েছেন, যোগাযোগের অসুবিধার কারণে নির্মিত ভবনে বিভাগীয় কার্যক্রম করা যাচ্ছেনা। মাতামুহুরী নদীর রাজবাড়ি পয়েন্টে নির্মাণাধীন ব্রিজের নির্মাণ কাজ শেষ হলে পরিষদ চাঙ্গা হবে বলেও জানান তিনি। 
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের বান্দরবান নির্বাহী প্রকৌশলী মোহন চাকমা সাংবাকিদকদের জানিয়েছেন, ইউনিয়ন পরিষদের নির্মিত ভবনে বিভিন্ন বিভাগীয় কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। পরিত্যক্ত অবস্থায় ফেলে রাখার কোনো সুযোগ নেই।

Tuesday, March 6, 2018

লামায় উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জাতীয় পাট দিবস-২০১৮ পালিত হয়েছে

"সোনালী আঁশের সোনার দেশ, পাট পন্যের বাংলাদেশ” ও "বাংলার পাঠ বিশ্বমাত" প্রতিপাদ্য বিষয়কে উপজিব্য করে আজ লামা উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জাতীয় পাঠ দিবস -২০১৮ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত পাঠ র‍্যালী ও আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জনাব খিন ওয়ান নু, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, লামা, বান্দরবান পার্বত্য জেলা।
উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব থোয়াইনু অং চৌধুরী, চেয়ারম্যান, উপজেলা পরিষদ, লামা। এসময় জনাব মো: জনাব সায়েদ ইকবাল, সহকারী কমিশনার (ভূমি) লামা ও পৌরসভার মেয়য় জনাব জহিরুল ইসলামসহ সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের সকল কর্মকর্তা/কর্মচারী, স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, বিভিন্ন সংগঠন ও সংস্থা, সাংবাদিক ও শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তাবৃন্দ, উপজেলাস্থ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধাণ ও সহকারী শিক্ষকগণ ও কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীগণ উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ, পাটজাতপণ্যের ব্যবহারকারীগণ, বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠন ও সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। লামা বাজারের র‌্যালী শেষে উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

Monday, March 5, 2018

লামায় পুষ্টি চাল বিষয়ক সচেতনতামূলক কর্মাশালা সম্পন্ন।

কার্টেসিঃ মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, সাংবাদিক, লামা, বান্দরবান পার্বত্যজেলা।
.............................................................
বান্দরবানের লামায় ‘পুষ্টি চাল পরিচিতি’ শীর্ষক সচেতনতামূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত লামা টাউন হলে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং উপজেলা প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার খিনওয়ান নু'র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব রায়না আহম্মেদ। আরো উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান থোয়াইনু অং চৌধুরী, বিশ্ব খাদ্য সংস্থার প্রোগ্রাম অফিসার ড. মাহবুবুর রহমান, জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সুস্মিতা খীসা, জেলা খাদ্য কর্মকর্তা, সকল ইউপি চেয়ারম্যান, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা থানচি ও রুমা, সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধি সহ প্রমুখ। কর্মশালায় কক্সবাজারের মহেশখালী, কক্সবাজার সদর, বান্দরবানের লামা, থানচি ও বান্দরবান সদর উপজেলার সকল খাদ্য অফিসার, ট্যাগ অফিসার ও মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা অংশ নেন।

কর্মকর্তারা বলেন, পুষ্টি চালে ভিটামিন-এ, ভিটামিন-বি-১, ভিটামিন-১২, ফলিক অ্যাসিড, আয়রন ও জিংক রয়েছে। পুষ্টি চালের সংরক্ষণ ও রন্ধনপদ্ধতি অন্যান্য চালের মতোই। বর্তমানে এ কার্যক্রম দেশের ১৫টি জেলার ৩৫টি উপজেলায় সম্পন্ন করা হচ্ছে। আগামীতে ১১২টি উপজেলায় এ প্রকল্প চালুর পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। ‘সঠিক খাবার খেলে সঠিক পুষ্টি মেলে’ এই প্রতিপাদ্যে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি, নিউট্রিশন ইন্টারন্যাশনাল, ডিএসএম, আইসিডিডিআর,বি ও নেদারল্যান্ড সরকারের যৌথ উদ্যোগ এবং গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স কানাডার আর্থিক সহায়তায় এই কার্যক্রম চলছে।

কর্মশালায় মাল্টিমিডিয়া প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে পুষ্টি সচেতনতা, খাদ্য সুরক্ষা, পুষ্টি চাল উৎপাদন ও বিতরণের বিষয়ের উপর আলোকপাত করেন বিশ্ব খাদ্য সংস্থার প্রোগ্রাম অফিসার ড. মাহবুবুর রহমান। পুষ্টি চালের প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে নেদারল্যান্ড ভিত্তিক বৈজ্ঞানিক খাবার ও অন্যান্য সামগ্রী উৎপাদনকারী বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান ডিএসএম।
প্রধান অতিথি বলেন, বাংলাদেশ সরকার মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং খাদ্য অধিদপ্তর কর্তৃক বাংলাদেশে পুষ্টিচালের উৎপাদন ও ব্যবহার চালু করা হয়েছে। বর্তমানে এ কার্যক্রম বাংলাদেশের ১৫টি জেলার ৩৫টি উপজেলায় সম্পন্ন করা হচ্ছে। পরীক্ষামূলক পর্যায়ে এই উদ্যোগ উপকারভোগীদের কাছে গ্রহনযোগ্য ও সুফলদায়ক হিসেবে বিবেচিত হয়েছে বলে তিনি বলেন।

Saturday, March 3, 2018

লামা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের আশা-নিরাশার ৫০ বছর পূর্তিঃ ১০ মার্চ সুবর্ণ জয়ন্তি উৎসব!!!

১০ মার্চ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ৫০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানঃ লামা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় আশা-নিরাশার ৫০ বছর
*********************************
কার্টেসিঃ মোহাম্মদ কামারুজ্জামানসাংবাদিক, লামা
*********************************
লামা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সুবর্ণ জয়ন্তী উৎসব অনুষ্ঠিত হবে ১০ মার্চ। আশা-নিরাশার দোলায় খসে গেল ৫০ বছর। অর্ধশত বছর পূর্তিতে লামার নবীন প্রবীন প্রজম্মের সরব উপস্থিতিতে মুখরিত হয়ে উঠবে লামা সদর। প্রজাতন্ত্রের পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রীসহক বহু রতি মহারতিরা সুবর্ণ জয়ন্তী অনুষ্ঠানে যোগ দিবেন। ধন্য হবে বিদ্যালয় আঙ্গিণা; প্রত্যাশা পূরণ হবে স্থানীয়দের।
**
প্রতিষ্ঠার সংক্ষিপ্ত বর্ণনা :
**
দেশ স্বাধীনের আগে ১৯৬৭ সালে টিডিএন্ডডিসি প্রশাসনিক এলাকায় বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা লাভ করে। এলাকার কিছু শিক্ষানুরাগি ব্যাক্তির উদ্যাগে তৎসময় লামা জুনিয়ার হাইস্কুল নাম করণে এটি প্রতিষ্ঠা পেয়ে কিছুদিন পর লামা বহুমুখী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় নাম করণ হয়। ১৯৭৯ সালে লামা থানা মহকুমায় রুপান্তরিত হয়। লামার প্রথম মহকুমা প্রশাসক জুলফিকার হায়দার চৌধুরী ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আলী হায়দার খানের সহযোগিতায় তৎকালীন সরকার এটিকে সরকারি করণ করে ১৯৮০-৮১ সালে। এর পর গজালিয়া মৌজার টিডিএন্ডডিসি হতে বর্তমান স্থান ছাগল খাইয়া মৌজায় স্থানান্তরিত হয় বিদ্যালয়টি। জমি দাতা হলেন জনাব আবদু ছালাম। তিনি ৫ একর জমি দান করেন বিদ্যালয় ভবন ও মাঠ নির্মানের জন্য। বিদ্যালয়টি কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের অধিনে ১৯৮২ সালে প্রথম এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে।
**
যেভাবে যাঁদের অবদান রয়েছে :
**
একদা মাতামুহুরী নদী পথে যাওয়া ছনের ইজারার অর্থ দিয়ে এই বিদ্যাপিঠটির পথ চলা শুরু। লোকমূখে শুনা যায়; বমুবিলছড়ির হাজী হাফেজ আহমেদ ছিলেন নদী পথের ইজারাদার। এর প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে যাদের নাম শুনা যায়; তারা হলেন, লামা সার্কেল অফিসার (উন্নয়ন) সুলতান মাহমুদ, গজালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান বাবু ম্রাথোয়াই অং চৌধুরী, হাজী হাফেজ আহমেদ (টুনু মেম্বার) প্রতিষ্ঠাতা দাতা সদস্য, হাজী বদরুদ্দৌজা চৌধুরী, নুর আহম্মেদ (পোষ্ট মাষ্টার), খুইল্যা মিয়া সওদাগর, নুর মোহাম্মদ চৌধুরী, আবদুল লতিফ মেম্বার (বমুবিলছড়ি) ও ডাক্তার সূর্য্য কুমার চৌধুরী, আজিজুর রহমান কন্টাক্টর, লামা ইউনিয়নের প্রথম চেয়ারম্যান থইহ্লাখইন মার্মা প্রমূখ।
**
যাঁরা আলো ছড়িয়েছেন এবং আলোকিত হয়েছেন :
**
প্রথম প্রধান শিক্ষক ছিলেন; রশিদ আহমদ, এর পর নাছির আহমদ, নেপাল কান্তি দত্ত (ভারপ্রাপ্ত), নুরুল আলম, নেপাল কান্তি দত্ত। এই বিদ্যাপিঠের প্রথম এসএসসি পাশ ছাত্র মায়েছা মার্মা (বর্তমানে উচ্চমান সহকারী জেলা প্রশাসকের কার্যালয় বান্দরবান) তিনি লামা বহুমুখি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী হিসেবে চকরিয়া উচ্চ বিদ্যালয় সেন্টারে পরীক্ষায় প্রথম এসএসসি পাশ করেন। ১৯৮২ সালে লামা কেন্দ্রে প্রথম ব্যাচে পরীক্ষার্থী ছিলেন, ১৪ জন। এসএসসি পরীক্ষায় ফাষ্ট ডিভিশন পেয়েছিলেন, জাইতুন নাহার (বর্তমানে লামা আ:বা: উ: বি: সিনিয়র সহকারী শিক্ষক)। ১৯৮৩ সালে এই প্রতিষ্ঠান থেকে প্রথম ষ্টান্ড; কুমিল্লা বোর্ড থেকে অষ্টম স্থান পান সিরাজুল হক (বর্তমানে দুদুক-এর সহকারী পরিচালক)। এসএসসি সেন্টার হওয়ার পর প্রথম পরীক্ষার্থী ১৪ জন হলেন; এম রুহুল আমিন, জোবাইরা বেগম, রুহুল আমিন কুতুবী, জাহেদা বেগম, নজরুল ইসলাম, সফর আলী, আমির হোসেন, রহিমা বেগম, অংথোয়াইহ্লা মার্মা, উচ্চতমনি তঞ্চঙ্গা, ধুমং মার্মা, স্বপন কান্তি চৌধুরী, মো: মুরাদ, ও এহেছানুল করিম রিয়াজু।
**
আরো যাঁরা অবদান রেখেছেন :
**
বিদ্যালয়টি বর্তমান স্থানে স্থানান্তরিত হওয়ার পর বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৬ ইসিবি বর্তমান স্থানে বিদ্যমান একটি পাহাড় কেটে মাঠ ও ভবন নির্মানের উপযোগি করে দিয়েছিল। সে সাথে লামার কিংবদন্তী নেতা আলহাজ্ব মো: আলীমিয়া একটি পুকুর খনন করে দেয়। যে পুকরটি বর্তমানে স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের সাতার প্রশিক্ষণসহ স্থানীয়দের পানির চাহিদা পূরণে ভুমিকা রেখে চলছে। লামা শহরের অদূরে উত্তর দিকে কক্সবাজার জেলার চকরিয়াধিন বমুবিলছড়ি ইউনিয়নের দক্ষিনের কোলঘেষে এই বিদ্যাপিঠের অবস্থান। চারদিকের সবুজ বেষ্ঠনি স্কুল আঙ্গিানাটি এক চমৎকার পরিবেশে অবস্থিত। এ প্রতিষ্ঠানের অনেক ছাত্রছাত্রী সমাজ ও রাষ্ট্রের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন পদে অবদান রেখে যাচ্ছেন। সাংবাদিক মানবাধিকার কর্মি এম রুহুল আমিন বলেন, নাছির উদ্দিন, নুরুল আলম ও নেপাল কান্তি দত্ত; এ তিন শিক্ষকের অবদান লামাবাসী চিরকাল স্বরণ করবে। কারণ; এরাই প্রান্তিক এই জনপদে ছাত্রছাত্রীদেরকে পড়া লেখায় উৎসাহ যুগিয়েছিলেন। পাশাপাশি নিজ পকেটের অর্থদিয়ে পাহাড়ী ছেলে-মেয়েদেরকে লেখা পড়ায় প্রেরণা যুগিয়েছিলেন বিদ্যালয়ের অন্যতম শিক্ষক সমর কান্তি চৌধুরী। তিনি কিছুদিন বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
**
আলোয়-আধাঁর :
**
লামা উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এই জনপদে আধাঁরে আলো ফুটেছিল। কিন্তু সময়ের নিষ্ঠুর পথপরিক্রমায় সে আলো নিভু নিভু ভাব। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে ৯০’দশক পর্যন্ত বিদ্যালয়ের পড়ালেখার মান ছিল কাঙ্খিত। এরপর থেকে শিক্ষক সংকট, স্থানীয় শিক্ষকদের আধিপত্য বিস্তার, স্থানীয় নেতৃত্বের স্বার্থনান্ধতা, সংশ্লিষ্ট উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের অবহেলায় পড়ালেখার ক্রমবোনতি হতে থাকে। এই বিদ্যাপিঠের বহু ছাত্রছাত্রী বিসিএস পাশ করে ডাক্তার ইজ্ঞিনিয়ার, প্রফেসর, জজ, জুড়িসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট হওয়ার গৌরবার্জন করেছেন। বিগত কয়েক বছর ধরে শিক্ষক সংকট হেতু বিদ্যালয়টি স্বীয় ঐতিহ্য হারিয়েছে।
**
বুকভরা আশা নিয়ে অপেক্ষায় স্থানীয়রা :
**
এ বিষয়ে স্থানীয় অভিভাবক ও ছাত্রছাত্রীরা সমস্যা সমাধানের দাবী করেও কোন সুরাহা পাননি। ছাত্র অভিভাবকরা জানায়, ১০ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য সূবর্ণ জয়ন্তীকে ঘিরে আগমন ঘটবে অনেক কৃতি মানুষের। এর ফলে স্থানীয়দের দীর্ঘ প্রত্যাশা এবং প্রাপ্তির সমন্বয় সাধন হবে। নিরসন হবে বিদ্যালয়ের শিক্ষক সংকটসহ নানান প্রতিবন্ধকতা। লামা সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের দীর্ঘদিনের পুঞ্জিবিত সমস্যা নিরসনে কোন ফলপ্রসু কোন সুরাহা মিলবে; বিদ্যালয়ের ৫০ বছরের মিলন মেলাকে ঘিরে।
**
বিদ্যালয়ে যা আছে; যা নেই :
**
বিদ্যালয়ের মোট ভূমির পরিমান ১০.৯২ একর।  বর্তমানে বিদ্যালয়ে ২৭ জন শিক্ষকের স্থলে রয়েছে ৭ জন। ছাত্রসংখ্যা প্রায় ৭ শ্। ৭ জনের কাজ করছেন ২ জন কর্মচারী। ১টি সুবিশাল খেলার মাঠ, ১টি পুকুর, ১টি পাকা মসজিদ, পাঠাগার, আইটি ল্যাব-১টি, বিজ্ঞানাগার-১টি, জিমনেসিয়াম, ছাত্রবাস-১টি, শিক্ষক ডরমেটরী-১টি তাও জীর্ণদশায় রয়েছে। কর্মচারী ডরমেটরী-নেই। একাডেমিক ভবন-২টি, এর মধ্যে ১টি পুরাতন টিনশেড। টয়লেট বিহীন ছাত্রবাস ৪টি। প্রধান শিক্ষক নেই, সহকারী প্রধান শিক্ষকসহ ৮ জন শিক্ষক ৬শ্ ছাত্রছাত্রীকে পাঠদান করাচ্ছেন। ৭ জন কর্মচারীর স্থলে রয়েছে ২জন। বাংলা বিভাগে ও ইংরেজি বিভাগে ৪জন করে ৮জন শিক্ষক থাকার কথা, কিন্তু এদু’টি গুরুত্বপূর্ন বিভাগে ১জনও শিক্ষক নেই। গণিতের শিক্ষক ৩ জনের স্থলে ১জনও নেই। ভৌত বিজ্ঞান ২ জনের ১জনও নেই। জীব বিজ্ঞান ২ জনের একজনও নেই, ব্যবসায় শিক্ষা রয়েছে ১জন শিক্ষক। ১জন করে ভূগোল ও কৃষি শিক্ষক থাকার কথা, চারুকলা শিক্ষক ১জন আছে। শারিরীক শিক্ষক ১জনের স্থলে রয়েছে ২ জন (!) এছাড়া উচ্চমান সহকারী নেই, এমএলএসএস ৫ জনের স্থলে রয়েছে ১জন ও নিম্মমানসহকারী ১জন আছে।