Check PAGE RANK of Website pages Instantly

Check Page Rank of your Web site pages instantly:

This page rank checking tool is powered by PRChecker.info service

Monday, July 3, 2017

লামায় প্রবল বর্ষণে বিশদিনের ব্যবধানে পাহাড়ী ঢলে আবারও নিঁচু এলাকা প্লাবিত!!!

প্রবল বর্ষনের ফলে বিপদ সীমার উপর দিয়ে মাতামুহুরীর নদীর পানি প্রবাহিত হচ্ছে। পাহাড়ী ঢলে লামা উপজেলার নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পাহাড় ধ্বস ও বন্যার আশংকায় রয়েছে স্থানীয়রা। লামা-আলীকদম সড়কের বিভিন্ন পয়েন্ট ডুবে যাওয়ায় আলীকদমের সাথে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। সম্ভাব্য দর্গতদের আশ্রয়ের লক্ষ্যে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।

২ জুলাই বিকাল থেকে অতিবর্ষণের ফলে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে সোমবার দুপুর হতে লামা উপজেলার নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হতে শুরু করে। এর মধ্যে রয়েছে লামা পৌরসভার নয়া পাড়া, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বাসভবন, পশু চিকিৎসালয়, কৃষি অফিস, পুলিশ কোয়াটারসহ পরিষদের আবাসিক এলাকা, লামা বাজারের একাংশ, ক্যায়াংপাড়া, নুনারবিল, লাইনঝিরি , ছাগলখাইয়া, কলিঙ্গাবিল, হাসপাতাল পাড়া, ও চেয়ারম্যান পাড়া। এছাড়া পৌরএলাকার হলিচাইল্ড পাবলিক স্কুল ও পাহাড়ী ঢলের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। অপরদিকে, গজালিয়া , রুপসী পাড়া ও ফাসিয়াখালী ইউনিয়নের নিন্ম এলাকার গামগুলো প্লাবিত হয়েছে বলে জনপ্রতিনিধিরা জানান। ওইসব এলাকায় নদী তীরবর্তী ও ঝিরি সংলগ্ন এলাকায় প্রায় ১০ হাজার মানুষ পানি বন্দী হয়ে পড়েছে। এসব এলাকায় কয়েকটি স্থানে তীব্র স্রোতে দু’তীরের ভুমি নদী গর্ভে তলিয়ে যায়। ব্যবসায়ীরা তাদের মালামাল এবং উপজেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি দপ্তর সমুহ বন্যার আশংকায় মালামাল ও নথিপত্র নিরাপদে সরিয়ে নিচ্ছে। 

লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার খিনওয়ান নু জানিয়েছেন, দূর্যোগ পূর্ণ আবহাওয়ার কারনে পাহাড়ের পাদদেশ ও নিন্মাঞ্চলে ঝুকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের নিরাপদে সরে যাওয়ার জন্য মাইকিং করা হয়েছে। এছাড়া স্কুল ও মাদ্রাসা গুলো নিরাপদে আশ্রয় নেয়ার জন্য খুলে দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আশ্রিত লোকজনের খবরা খবর নেয়া হচ্ছে এবং প্রয়োজনীয় সহায়তার জন্য প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে। এদিকে লামা আলীকদম সড়কের ছাগল খাইয়া-লাইঝিরি, শিলেরতুয়া, দরদরাঝিরি, ক্যায়ারঝিরি, রেপাড়পাড়াসহ কয়েকটি পয়েন্ট দু’ উপজেলার সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে পড়েছে।
উপজেলা প্রশাসন থেকে মাইকিং করে নিন্মাঞ্চল ও পাহাড়ের পাদদেশে ঝুকিপূর্ণ বসবাসকারীদের নিরাপদে সরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। পৌরসভার মেয়র-কাউন্সিলর, ইউপি চেয়ারম্যান-সদস্যরা পানিবন্দি মানুষের খোঝ খবর নিচ্ছে বলে জানাগেছে।
অপরদিকে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ইনিশিয়েটিভস ফর হিলী পিপল্স ডেভেলপম্যান্ট-এর নির্বাহী পরিচালক মংচিংপ্রু মার্মা বন্যা কবলিত এলাকা ঘুরে দুর্গতদের খোঁজ নিতে দেখা যায়। প্রসঙ্গত: গত বিশ দিনের ব্যবধানে এ নিয়ে দু’বার নিচু এলাকার গ্রাম প্লাবিত হয়। এতে নিচু এলাকায় বসবাসকারী ও ব্যবসায়িদের বিভিন্ন পন্য সামগ্রীসহ কৃষকের বাড়িঘর গবাদিপশু, ফসলের ক্ষতি হয়।

বিশেষ কৃতজ্ঞতা-তথ্য: মোহাম্মদ কামারুজ্জামান, সাংবাদিক, লামা।
ছবিঃ ইন্টারনেট ও সোশ্যাল মিডিয়া।