Check PAGE RANK of Website pages Instantly

Check Page Rank of your Web site pages instantly:

This page rank checking tool is powered by PRChecker.info service

Friday, February 16, 2018

লামায় ৩৩/১১ কেভি বিদ্যুৎ সাব স্টেশনশহ একটি বাড়ি একটি খামার কার্যালয়ের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন

কার্টেসিঃ মোহাম্মদ কামারুজ্জামান, সাংবাদিক, লামা, বান্দরবান পার্বত্য জেলা।***********************************

জনগোষ্ঠির উন্নয়নে সরকার প্রতিটি সেক্টরে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে-প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর
লামায় ৩৩/১১ কেভি বিদ্যুৎ সাব স্টেশন’র আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন
সরকার খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্নতা, শিল্পের প্রসরতায়, নামেমাত্র মূল্যে কৃষকদেরকে ভুর্তকীর বিদ্যুৎ প্রদান করে আসছে। নিরবিচ্ছন্ন সেবা প্রদান, বিদ্যুত উৎপাদন বৃদ্ধিসহ, সোলার প্যানেলের মাধ্যমে গ্রামীন মানুষের ঘরে ঘরে আলো পৌঁছে দিতে সরকার সক্ষমতা অর্জন করেছে।

১৬ ফেব্রুয়ারি লামা ৩৩/১১ কেভি, ১ ইন্ট্রু ৫ এমভিএ বিদ্যুত সঞ্চালন কেন্দ্রের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন শেষে প্রধান অথিতির বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশেসিং এমপি এসব কথা বলেন। এসময় প্রধান অতিথি পানি সংকটাপন্ন মধুঝিরিবাসীর জন্য বিদ্যুত বিভাগের নিয়ন্ত্রণাধিন পুকুরটি জনতার জন্য উম্মোক্ত করে দেয়ার ঘোষণা ও একটি সীঁড়ি নির্মাণ, পুকুরটি সংস্কারের জন্য পৌর মেয়রকে নির্দেশ দেন।

লামা বিদ্যুৎ সঞ্চালন কেন্দ্রে পৌর মেয়র মো: জহিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জনসভায় অন্যান্্যদের মাঝে বক্তব্যদেন; বান্দরবান জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক, তিন পার্বত্য জেলা বিদ্যুত প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মো: মতিউর রহমান, লামা উপজেলা আওয়াশীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইসমাইল।

সম্প্রতি বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে লামা পৌরশহর মধুঝিরি গ্রামে ৩৩/১১ কেভি শক্তির একটি বিদ্যুৎ সঞ্চালন উপকেন্দ্র স্থাপিত হয়। প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা ব্যয়ে স্থাপিত এই প্রকল্পের কাজ ২০১৬ সালে সমাপ্তি হয়ে সেবা দিয়ে আসছিল। সঞ্চালন কেন্দ্রটি মাধ্যমে বর্তমানে ৩.৫ মে:ও: বিদ্যুত সরবরাহ হচ্ছে। জানাগেছে, স্থানীয় চাহিদা ও সঞ্চালন উপকেন্দ্রের সাথে সঙ্গতি রেখে ডেলিভারী ট্রান্সফরমার বৃদ্ধি করলে, চার মে:ও: বিদ্যুৎ ধারণ, ৫ মেগাবাইট ভোল্টেজ এ্যম্ফায়ার ট্রান্সফারমার ক্ষমতা রয়েছে সদ্য স্থাপিত সঞ্চালন উপ-কেন্দ্রটির। এর আওতাভুক্ত রয়েছে লামা-আলীকদম, সেনাবাহিনী, চকরিয়ারস্থ বিশাল এলাকা মানিকপুর, বমুবিলছড়ি, পাদু খোলা, পানিশ্যাবিল, পুকুরিয়া খোলা ইত্যাদি ভূ-এরিয়া।

১৯৮১ সালে লামা আলীকদম বিদ্যুতায়ন হয়। চকরিয়া ও দোহাজারি বিদ্যুৎ সঞ্চালন উপকেন্দ্র থেকে পাহাড়ী এই এলাকায় ২৯টি ট্রান্সফারমার-এর মাধ্যমে প্রায় ১২০ কি:মি: ১১ কেভি লাইনে চাহিদামতে ২.৫ মে:ও: পাওয়ার ডেলিভারী করা হতো। মানুষের ভোগান্তি লাগবে ২০১৭ সালে এই প্রকল্পটি সম্পন্ন করে আলীকদম সেনানিবাসের জন্য বিশেষভাবে ১১ কেভি পিডার এক্সপ্রেস লাইন প্রতিস্থাপন করেন। একইভাবে উপজেলার ইয়াংছায় ১১ কেভি, চকরিয়ার মানিকপুর, সুরুজপুরসহ আশপশের এলাকার চাহিদা মেটানোর জন্য। ১১ কেভি লামা পৌরসভাসহ আশপাশের চাহিদা মেটাবে। মোট ৪টি পিডারে বিভাজন হয়ে এই উপকেন্দ্রটি বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে। এর আওতায় গ্রাহক সংখ্যা রয়েছে- আবাসিক প্রায় চার হাজার, সেচ স্ক্রীম- প্রায় ৪০টি, বাণিজ্যিক সংযোগ প্রায় ১২ শত ও ক্ষুদ্র শিল্প সংযোগ রয়েছে একশোটির মতো। বিদ্যুতায়নের ফলে এলাকায় কৃষি, ক্ষুদ্রশিল্প ও আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে ব্যপক ভুমিকা রাখছে। আধুনিক সেচ ব্যবস্থার মাধ্যমে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্নতাসহ মাঝারি ও ক্ষুদ্র শিল্প, শিক্ষা-স্বাস্থ্য, তথ্য প্রযুক্তি বিকাশ ও প্রসারে নতুনত্ব আসছে।

এর পর দুপুর ১টায় পার্বত্য মন্ত্রী লামা উপজেলায় সদ্য নির্মিত একটি বাড়ি একটি খামার- কার্যালয় ভবনের উদ্বোধন ও ৯ জন খামারীর মাঝে ঋণ বিতরণ করেন। এরপর লামা রুপসিপাড়া বড়–য়াপাড়া নবনির্মিত বৌদ্ধ বিহরের উদ্বোধন করেন।