স্থগিত জেলা সাবেক মহকুমা লামাকে জেলা
পুনর্বহালের দাবীঃ এখনো স্মৃতিচিহ্ন লামা জেলা তথ্য অফিস নামে সাইন বোর্ড ঝুলছে...
***********************************
কার্টেসিঃ মোহাম্মদ কামারুজ্জামান, সাংবাদিক, লামা, বান্দরবান পার্বত্য জেলা।
***********************************
এরশাদ সরকার ৮০’র দশকে দেশের ৪৭ টি মহকুমাকে পুর্নাঙ্গ জেলা ঘোষণা করেন। সে সাথে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাকে গণমুখী করতে বেশ কয়েকটি নতুন এলাকাকে থানায় রপান্তরিত করা হয়। ১৯৮১-৮২ সালে দেশের এক দশমাংশ ভু-আয়তনের পার্বত্য চট্টগ্রামের একমাত্র জেলা রাঙ্গামাটির কাপ্তাই, খাগড়াছড়ি, রামগড়, বান্দরবান ও লামা মহকুমাকে পুর্নাঙ্গ জেলা ঘোষণা করেছিলেন।
***********************************
কার্টেসিঃ মোহাম্মদ কামারুজ্জামান, সাংবাদিক, লামা, বান্দরবান পার্বত্য জেলা।
***********************************
এরশাদ সরকার ৮০’র দশকে দেশের ৪৭ টি মহকুমাকে পুর্নাঙ্গ জেলা ঘোষণা করেন। সে সাথে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাকে গণমুখী করতে বেশ কয়েকটি নতুন এলাকাকে থানায় রপান্তরিত করা হয়। ১৯৮১-৮২ সালে দেশের এক দশমাংশ ভু-আয়তনের পার্বত্য চট্টগ্রামের একমাত্র জেলা রাঙ্গামাটির কাপ্তাই, খাগড়াছড়ি, রামগড়, বান্দরবান ও লামা মহকুমাকে পুর্নাঙ্গ জেলা ঘোষণা করেছিলেন।
কম জনসংখ্যা, দুর্গম
যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে “লামা জেলা” কার্যক্রম
স্থগিত করা হয়েছিল। স্থগিত জেলা লামায় বর্তমানে জন সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি যোগাযোগ
ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। লামাকে জেলা পুনর্বহালের দাবিটি এখন গন দাবিতে রুপ
নিয়েছে, প্রয়োজনে আইনের দরজায় যাবেন স্থানীয়রা।
সরকার ১৯৮১-৮২ সালে দেশের ৪৭ টি মহকুমাকে পুর্নাঙ্গ জেলা ঘোষণা
করেন। তার কয়েকদিন পর ৫টি মহকুমার জেলা কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করেন। এর মধ্যে
পার্বত্য চট্টগ্রামের রাঙ্গামাটির কাপ্তাই, খাগড়াছড়ির রামগড়
ও বান্দরবানের লামা মহকুমাকে ঘোষিত জেলা কার্যক্রম স্থগিত হয়ে যায়। ওই সময়
বান্দরবানের লামা মহকুমাধিন আলীকদম, গজালিয়া ও নাইক্ষ্যংছড়ির
বাইশারী ইউনিয়নকে থানা ঘোষণা করেছিলেন। কম জনসংখ্যার কারণে শুধুমাত্র আলীকদমকে
থানা হিসেবে বহাল রেখে লামা জেলা, গজালিয়া ও বাইশারী থানা
কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করেছিলেন। বর্তমানে লামা একটি পৌরসভা, জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে সমাজ-সভ্যতার অনেক অগ্রগতি হয়েছে। এখনো লামা জেলার
স্মৃতিচিহ্ন ও সময়ের স্বাক্ষী হয়ে আছে, ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত,
জেলা তথ্য অফিস, সহকারি পুলিশ সুপার, সড়ক ও জনপথ, উপ-পরিচালক বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন
কর্পোরেশন, উপসহকারি প্রকৌশলী গনপূর্ত, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর-এর অফিস, বিভাগীয় বন কার্যালয়, ও অধিগ্রহনকৃত জেলখানার ভুমি,
পুলিশ লাইন ও পুলিশ সুপারের কার্যালয়-এর জন্য ভুমি, আনসার ভিডিপি ট্রেনিং সেন্টারের ভুমি। এছাড়া একটি বিদ্যুৎ সরবরাহ কেন্দ্র,
সড়ক ও জনপদের কার্যালয়। রয়েছে একটি সরকারি ডিগ্রি কলেজ, ডিগ্রি মাদ্রাসাসহ অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ১টি পৌরসভা ও ৭টি ইউনিয়নে
মোট মৌজা ১৮ টি, এক হাজারেরও বেশি গ্রাম রয়েছে। উপজেলার মোট
আয়তন : ৬.৬৭৪ বর্গ কিলোমিটার, ভোটার সংখ্যা প্রায় ৬৫ হাজার।উত্তর দক্ষিণে লম্ববান, লামা উপজেলার ভু-ঢালু পশ্চিম মূখী। ছোট-বড় অসংখ্য পাহাড় আর জলদ্বার নিয়ে এই উপজেলায় বসবাস করছেন ৫ সম্প্রদায়ের মানুষ। সাবেক মহকুমা বর্তমান লামা উপজেলায় তিন লক্ষাধিক জন বসতি রয়েছে। ১টি পৌরসভা ও ৭টি ইউনিয়নের সাথে সদরের রয়েছে কার্পেটিং, এসবিবি ও কাচাঁ সড়ক নেট ওয়ার্ক। ৮৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়সহ ১৪টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, একটি ফাজিল মাদ্রাসা ও ২টি বেসরকারি কলেজ, এর মধ্যে ১টি ডিগ্রী লেভেল। রয়েছে সম্ভাবনাময় কয়েকটি পর্যটন স্পট, এর মধ্যে মিরিঞ্জিা, কোয়ান্টম, সাবেক বিলছড়ি বৌদ্ধ মন্দ্রিরসহ উপজেলার বুক ছিড়ে সাপেরমত একে-বেকে বয়ে যাওয়া মাতামুহুরী নদীর নান্দঁনিক দৃশ্য।
১৯৮২ সালে সরকার লামা মহকুমাকে জেলা করার জন্য স্থানীয়দের থেকে অনেক
জমি অধিগ্রহন করেছিলেন। ওই সব জমির বেশিরভাগ অংশে তামাকসহ নানান কৃষিপন্য চাষ
করাচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা। জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার কার্যালয়ের
ভবন হওয়ার বুকভরা আশা নিয়ে স্থানীয়রা নামেমাত্র মুল্য বাবদ অধিগ্রহনের মাধ্যমে
সরকারের বিভিন্ন বিভাগের অনুকুলে জমি হস্তান্তর করেছেন। ওইসব জমি এখন স্থানীয়দের
কাছে অমুল্য সম্পদে পরিনত হলেও কর্তৃপক্ষ এর সঠিক ব্যবহার করছেন না। অধিগ্রহনকৃত
বেশির ভাগ জমি বলাযায় পরিত্যক্তাবস্থায় রয়েছে।
সম্প্রতি লামা উন্নয়ন ও জেলা বাস্তবায়ন কমিটির ব্যানারে সাবেক লামা মহকুমা আলীকদম ও নাইক্ষ্যংছড়ি নিয়ে লামা পূর্বঘোষিত জেলা পূর্নবহাল, নাইক্ষ্যংছড়ির বাইশারী ও লামার গজালিয়াকে পূর্ব ঘোষিত থানা পূন:বহালের দাবীতে বিভিন্ন স্লোগানে ব্যানার-পোষ্টারে ছেয়ে গেছে ঘোটা উপজেলা।
এছাড়া দেশের বিভিন্ন শহরে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে অবস্থানরত লামার কৃতি সন্তানরা লামাকে জেলা পুন:বহালের দাবীতে সোচ্ছার হয়েছে। লামা উন্নয়ন ও জেলা বাস্তবায়ন, নাগরিক ফোরাম, লামা রক্ষা পরিষদ, সংগ্রাম পরিষদ-এর নেতৃবৃন্দ, ব্যবসায়ি ও জনপ্রতিনিধিরা জানান, ইতোমধ্যে লামা জেলা পুর্নবহালের দাবীতে প্রধানমন্ত্রী, পার্বত্য বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশেসিংসহ সরকারে সংশ্লিষ্ট প্রধানদের নিকট স্মারকলিপি প্রদান, বহু আবেদন নিবেদন করেছেন তারা। নেতৃবৃন্দ জানান, এতে সরকার থেকে কোন আশ্বাস না পেলে আন্দোলন সংগ্রামে নামবেন, একই সাথে নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় আইনের আশ্রয় নিতেও তারা প্রস্তুত রয়েছে। সাবেক মহকুমা লামা বর্তমানে জেলা হওয়ার সফল দাবীদার। এর ব্যত্যয় ঘটলে যে কোন সময় লামার রাজপথ মিছিলে মিটিং-এ সরব হতে পারে কমিটির নেতৃবৃন্দরা জানিয়েছেন।
সম্প্রতি লামা উন্নয়ন ও জেলা বাস্তবায়ন কমিটির ব্যানারে সাবেক লামা মহকুমা আলীকদম ও নাইক্ষ্যংছড়ি নিয়ে লামা পূর্বঘোষিত জেলা পূর্নবহাল, নাইক্ষ্যংছড়ির বাইশারী ও লামার গজালিয়াকে পূর্ব ঘোষিত থানা পূন:বহালের দাবীতে বিভিন্ন স্লোগানে ব্যানার-পোষ্টারে ছেয়ে গেছে ঘোটা উপজেলা।
এছাড়া দেশের বিভিন্ন শহরে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে অবস্থানরত লামার কৃতি সন্তানরা লামাকে জেলা পুন:বহালের দাবীতে সোচ্ছার হয়েছে। লামা উন্নয়ন ও জেলা বাস্তবায়ন, নাগরিক ফোরাম, লামা রক্ষা পরিষদ, সংগ্রাম পরিষদ-এর নেতৃবৃন্দ, ব্যবসায়ি ও জনপ্রতিনিধিরা জানান, ইতোমধ্যে লামা জেলা পুর্নবহালের দাবীতে প্রধানমন্ত্রী, পার্বত্য বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশেসিংসহ সরকারে সংশ্লিষ্ট প্রধানদের নিকট স্মারকলিপি প্রদান, বহু আবেদন নিবেদন করেছেন তারা। নেতৃবৃন্দ জানান, এতে সরকার থেকে কোন আশ্বাস না পেলে আন্দোলন সংগ্রামে নামবেন, একই সাথে নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় আইনের আশ্রয় নিতেও তারা প্রস্তুত রয়েছে। সাবেক মহকুমা লামা বর্তমানে জেলা হওয়ার সফল দাবীদার। এর ব্যত্যয় ঘটলে যে কোন সময় লামার রাজপথ মিছিলে মিটিং-এ সরব হতে পারে কমিটির নেতৃবৃন্দরা জানিয়েছেন।