Check PAGE RANK of Website pages Instantly

Check Page Rank of your Web site pages instantly:

This page rank checking tool is powered by PRChecker.info service

Thursday, August 2, 2018

লামায় উন্নয়ন প্রকল্প পরিদর্শনে পার্বত্য মন্ত্রণালয় সচিব নুরুল আমিন


মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম-০২ আগষ্ট’ ২০১৮ইং।
বান্দরবানের লামা উপজেলায় পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ ও সরকারী বিভিন্ন দপ্তরের অর্থায়নে বাস্তবায়িত নানা উন্নয়ন প্রকল্প পরিদর্শনে আসেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. নুরুল আমিন। বৃহস্পতিবার (২ আগষ্ট) বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে দিন ব্যাপী তিনি কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্প পরিদর্শন করেন তিনি। দুপুরে লামা উপজেলা পরিষদ হলরুমে বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, হেডম্যান, জনপ্রতিনিধি, সুধীজন ও সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় মিলিত হন।

এসময় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবের সফর সঙ্গী ছিলেন, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুরুল আবচার, বান্দরবানের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. হারুণ অর রশিদ, লামা উপজেলা চেয়ারম্যান থোয়াইনু অং চৌধুরী, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের প্রকল্প পরিচালক আব্দুল আজিজ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূর-এ জান্নাত রুমি, লামা থানা অফিসার ইনচার্জ অপ্পেলা রাজু নাহা সহ প্রমূখ।
মতবিনিময় সভায় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. নুরুল আমিন বলেন, পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের সকল কার্যক্রমে লাগাম দিতে হবে। অন্যথায় উন্নয়ন কাজে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হতে পারে। পার্বত্য অন্য দুই জেলা হতে বান্দরবানের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভাল বলে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন। উন্নয়ন হচ্ছে তবে কাজ বাস্তবায়নে দুর্নীতি ও অনিয়মের মাত্রা আরো কমাতে পরামর্শ দেন। তিনি উন্নয়নের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয়তা ও জনগুরুত্বকে অগ্রাধিকার দিতে বলেন। প্রত্যেকটি জনপদে যেন উন্নয়ন সমবন্টন হয় সেদিকে দায়িত্বরত ব্যক্তিদের দৃষ্টি রাখতে বলেন। বাল্য বিবাহ, মাদক নির্মূল, শিক্ষা খাত উন্নয়ন, কমিউনিটি ক্লিনিক, মা ও শিশুদের স্বাস্থ্য সেবা, লামার বন্যা নিরসনে মাতামুহুরী নদীর গতিপদ পরিবর্তন, মাতামুহুরী নদীর ভাঙ্গন রোধ, আশ্রয়ণ প্রকল্পের উন্নয়ন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভূমি সমস্যা সমাধান, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন নিয়ে তিনি আলোচনা করেন।
মতবিনিময় সভা শেষে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নুরুল আমিন, উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে লামা মাতামুহুরী ডিগ্রী কলেজের ১৮ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নির্মিত বাউন্ডারী ওয়াল, ৩৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ছাত্রী নিবাস, ১৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে শহীদ মিনার, ৫০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে কনফারেন্স হল, সাড়ে ৮ কোটি টাকা ব্যয়ে মাতামুহুরী ব্রিজের উপর নির্মাণাধীন ১৭০ মিটার পিসি গার্ডার ব্রিজ, ২ কোটি ব্যয়ে লামা পৌর বাস টাার্মিনাল, ৩ কোটি ৬৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে রুপসীপাড়া বাজারস্থ ব্রিজ, ৩৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে রুপসীপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রাবাস, ২০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে রুপসীপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দ্বিতল ভবনের সম্প্রসারণ, ১৫ লক্ষ ব্যয়ে বাজার মসজিদের উন্নয়ন, ১৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে বঙ্গবন্ধুৃ পাঠাগার, ১৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে আনসার ভিডিপি ক্লাব, ১৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে মুসলিম পাড়া যুব ক্লাবের উন্নয়ন কাজ পরিদর্শন করেন।
দিন শেষে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব লামা উপজেলার লাইনঝিরিস্থ বিএটিবি রেষ্ট হাউজে রাত্রি যাপন করেন এবং শুক্রবার (০৩ আগষ্ট) পার্শ্ববর্তী আলীকদম উপজেলায় বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ পরিদর্শন করবেন বলে জানা যায়। তিনি সেখানে বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, হেডম্যান, জনপ্রতিনিধি, সুধীজন ও সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভা করার কথা রয়েছে।

তথ্যসূত্র: লেখকের ফেসবুক পেজ, সাংবাদিক, লামা, বান্দরবান পার্বত্য জেলা।

লামার গজালিয়ায় একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত


।। মংছিংপ্রু, লামা, বান্দরবান পার্বত্য জেলা।। ২০১৮-০8-01।

শেখ হাসিনার উপহার একটি বাড়ি একটি খামার, বদলাবে দিন তোমার আমার এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে লামা উপজেলায় গজালিয়া ইউনিয়নের একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের ‘ক্যাংগহখ্যাং পাড়া গ্রাম উন্নয়ন সমিতি’র’ উদ্যোগে উঠান বৈঠন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ০১ আগষ্ট বুধবার বিকালে গজালিয়া ইউনিয়নস্থ গাইন্ধ্যা পাড়ায় ক্যাংগহখ্যাং সমিতির অফিসে এ উঠান বৈঠক হয়।

 একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নপ্রসূত একটি অগ্রাধিকার মূলক প্রকল্প এবং ১০টি উদ্যোগের মধ্যে এটিই প্রথম নম্বর উদ্যোগ। নিজস্ব পুঁজি ব্যবস্থাপনায় প্রান্তিক পর্যায়ে স্থানীয় প্রাকৃতিক ও মানব সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবিকায়ন নিশ্চিত করে দারিদ্র্য নিরসন ও টেকসই উন্নয়ন করার হল এ প্রকল্পের মূল লক্ষ্য।  এ প্রকল্পের আওতায় লামা উপজেলায় মোট ৬৪টি গ্রাম উন্নয়ন সমিতির গঠন করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট অফিস সূত্রে জানা গেছে।

অনুষ্ঠিত ক্যাংগহখ্যাং পাড়া গ্রাম উন্নয়ন সমিতি’র সভাপতি উশৈঞ্য মার্মা সভাপতিত্বে উঠান বৈঠকে  প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূর-এ-জান্নাত রুমি। বিশেষ অতিথি ছিলেন, গজালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান বাথোয়াইচিং মার্মা, একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের উপজেলা সমন্বয়ক উবাঞেই রাখাইন, উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা গোপাল কৃষ্ণ চক্রবর্তী।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বলেন, একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ১০টি ব্রান্ডিং প্রকল্পের মধ্যে একটি। এ প্রকল্পের আওতায় জনগোষ্ঠীকে সম্পৃক্ত করে দরিদ্র মানুষের জন্য স্থায়ী তহবিলের ব্যবস্থা করা এবং ঐ তহবিলকে আয়বর্ধক কাজে নিয়মিতভাবে ব্যবহার করে স্থায়ী আয়ের ব্যবস্থার মাধ্যমে দারিদ্র্য দূর করার লক্ষ্যে একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, প্রকল্প মাধ্যমে উপজেলার প্রান্তিক জনগোষ্ঠির উপার্জনের ব্যবস্থা হবে, দরিদ্র মানুষ দারিদ্রতার হাত থেকে রক্ষা পাবে। ভিশন ২০২১ সালে মধ্যে ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত মধ্যম আয়ের দেশে ও ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য নিয়ে আমাদের সকলকে সামনে দিকে চলতে হবে। এছাড়া তিনি এ প্রকল্পের মাধ্যমেই দরিদ্র মানুষের ভাগ্যের চাকা পরিবর্তন করা সম্ভব বলে পরামর্শ প্রদান করেন।

উঠান বৈঠকে আলোচনা শেষে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি প্রকল্পের আওতায় সমিতি’র সদস্যদের মাঝে ঋণ বিতরণ করেন। এসময় গজালিয়া ইউপি মহিলা সদস্য হাইচিংনুং মার্মা, ইউপি সচিব পরিতোষ সহ সমিতি’র সকল সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

তথ্যসূত্র: লেখকের ফেসবুক পেজ, সাংবাদিক, লামা, বান্দরবান পার্বত্য জেলা।