Check PAGE RANK of Website pages Instantly

Check Page Rank of your Web site pages instantly:

This page rank checking tool is powered by PRChecker.info service

Sunday, May 6, 2018

লামায় এনজিওতে জনবল নিয়োগে স্থানীয়দের অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে না!!!

কার্টেসিঃ মোহাম্মদ কামারুজ্জামান, সাংবাদিক, লামা।
******************************
লামায় বেসরকারি (এনজি) প্রতিষ্ঠানে জনবল নিয়োগে স্থানীয়দেরকে অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছেনা বলে অভিযোগ উঠেছে। জেলার সব চেয়ে জনবহুল বৃহত্তর লামা উপজেলায় ক্রমেই শিক্ষিত বেকার যুবক যুবতীদের সংখ্যা বেড়ে চলছে। এই উপজেলায় কর্মরত বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে বেশির ভাগ নিয়োগ প্রাপ্ত হয়েছেন রাঙ্গামাটি-খাগড়াছড়িসহ চট্টগ্রাম, কক্সবাজার জেলার বিভন্নি উপজেলার নাগরিকরা। এর ফলে স্থানীয় পাহাড়ী জনগোষ্ঠির শিক্ষিত প্রজম্মে বেকারত্বের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এনজিও নীতিমালায় কর্মচারী বা কর্মকর্তা নিয়োগের ক্ষেত্রে যোগ্যতানুসারে স্থানীয়রা চাকুরী পাচ্ছেনা এই উপজেলা কর্মরত এনজিও গুলোতে। এধরণের অভিযোগ নিয়ে বেশ কয়েকজন শিক্ষিত পাহাড়ী ছেলে-মেয়েরা পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রীসহ বিভিন্ন দপ্তরে স্মারকলিপি প্রদানের উদ্যাগ নিয়েছেন।
**
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ১২/৪/২০১২ খ্রিঃ তারিখ জারিকৃত বাংলাদেশে কর্মরত বিদেশী ও বৈদেশিক সাহায্যপুষ্ঠ বাংলাদেশী বেসরকারী সেচ্ছাসেবী (এনজিও) ক্ষেত্রে অনুসরণীয় কার্যপ্রণালী শীর্ষক পরিপত্রে তিনটি পার্বত্য জেলার জন্য কিছু বিশেষ বিধানাবলী উল্লেখ আছে। পরিপত্রের ৫(জ) অনুচেছদে পার্বত্য চট্রগ্রামে এনজিওসমুহের কার্যক্রম তত্ত্বাবধ্যন ও মূল্যায়ন করার জন্য জেলা পর্যায়ে  জেলা পরিষদের চেয়ারম্যন আহ্বায়ক ও জেলা প্রশাসককে সদস্য সচিব করে ৮ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি করে দেয়া হয়।
**
এই বিধানাবলীর খ) অনুচ্ছদে উল্লেখিত; ‘এনজিওসমূহ পার্বত্য জেলাসমূহে সকল প্রকার ইতিবাচক, উন্নয়নমূলক ও সেবামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে’।
গ)  অনুচ্ছদে উল্খে আছে;  ‘উন্নয়নমূলক বা সেবামূলক কার্যক্রম পরিচালনার পূর্বে পার্বত্য জেলাসমূহের সংশ্লিষ্ট এলাকায় বিরাজমান সমস্যা ও এলাকার অধিবাসীদের প্রকৃত প্রয়োজন চিহ্নিত করতে হবে। অতঃ পর সংশ্লিষ্ট এলাকায় বিরাজমান সমস্যা ও এলাকার অধিবাসীদের প্রকৃত প্রয়োজনের ভিত্তিতে এনজিওসমূহকে কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতি প্রদান করা হবে’। স্থানীয় পাহাড়ী শিক্ষিত বেকার যুবক-যুবতীদের দাবী অনুযায়ী উল্লেখিত বিধানাবলীর ‘খ’ ও ‘গ’ অনুচ্ছেদ দু’টি স্পষ্টত: লক্ষণ হচ্ছে।
**
স্থানীয় শিক্ষিত ছেলে-মেয়েদেরকে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে নিয়োগ প্রদান ও ইতোপূর্বে অন্য জেলা থেকে লামার কোটায় নিয়োগ প্রাপ্তদের এই উপজেলা থেকে সরিয়ে নেয়ার দাবীও উঠেছে। কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ ক্ষেত্রে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান তৈমু ও তাজিংডং নামের আরেকটি এনজিও এই অনিয়ম করে চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই দু’টি এনজিও লামা উপজেলায় বিভিন্ন পদে প্রায়-২৩০জনকে নিয়োগ দিচ্ছেন। এর মধ্যে তৈমু- ১১৫ ও তাজিংডং- ১১৪ জন। স্থানীয়দের আশংকা এসব নিয়োগে পূর্বের ন্যয় রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রাম জেলার বিভিন্ন উপজেলার লোকদেরকে নিয়োগ দেয়া হবে। স্থানীয়দের দাবী; এসব নিয়োগে যেন তাদেরকে অগ্রাধিকার দেয়া হয়। না হয় তারা আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে।
**
জনগোষ্ঠির উন্নয়নের জন্য এনজিও সংস্থাগুলোর অধিনে নিয়োগ প্রাপ্তরা ভিন্ন জেলার নাগরিক হওয়ায় নানা ধরণের বিভ্রান্তিও হচ্ছে। নৃ-জনগোষ্ঠির চেহারা ও ভাষাগত প্রায়ই মিল থাকায়, এই কর্মকান্ড’র অজুহাতে পাহাড়ে ভিনদেশিদের কোন অপতৎপরতা হচ্ছে কিনা, তাও ভাবার বিষয়। স্থানীয় শিক্ষিত প্রজম্মের মতে বৃহত্তর লামা উপজেলায় শিক্ষার দিক থেকে এখন পাহাড়ী ছেলে-মেয়েরা অনেকখানি এগিয়ে আছে। দেশের বিভিন্ন নাম করা কলেজ-ইউনির্ভসিটি, ভোকেশনাল ইনিষ্টিটিউট থেকে বিভিন্ন পেশায় ডিপ্লোমাধারীর সংখ্যা অনেক রয়েছে।
**
নানান জটিলতায় সরকারি চাকরি পাওয়ারও নিশ্চিয়তা হয়তো অনেকের নেই। তার আগে কোন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে পরিবারের উপর চাপ কমানোই তাদের লক্ষ। এই বাস্তবতায় লামা উপজেলায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরির কোটায় নিয়োগের ক্ষেত্রে শতভাগ স্থানীয়দের প্রাধান্য দেয়া উচিৎ।
বিষয়টির প্রতি বান্দরবান জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা প্রশাসক নজর দেয়া প্রয়োজন রয়েছে।